পটাশপুর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত এগরা মহকুমার মধ্যে পটাশপুর ২ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটা শহর।

পটাশপুর
শহর
পটাশপুর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
পটাশপুর
পটাশপুর
পটাশপুর ভারত-এ অবস্থিত
পটাশপুর
পটাশপুর
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান, ভারত
স্থানাঙ্ক: ২২°০১′১৭.৮″ উত্তর ৮৭°৩২′৩২.৩″ পূর্ব / ২২.০২১৬১১° উত্তর ৮৭.৫৪২৩০৬° পূর্ব / 22.021611; 87.542306
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলাপূর্ব মেদিনীপুর
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩০,০০০
ভাষা
 • সরকারিবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলভারতীয় সময় (ইউটিসি+০৫:৩০)
পিনকোড৭২১৪৩৯ (পটাশপুর)
লোকসভা ক্ষেত্রকাঁথি
বিধানসভা ক্ষেত্রপটাশপুর
ওয়েবসাইটpurbamedinipur.gov.in

ইতিহাস সম্পাদনা

বিনয় ঘোষের মত অনুযায়ী বর্গিরা অনেক দিন ধরে পটাশপুর তাদের শাসনে রেখেছিল। ঠিক সেই সময় পটাশপুর মেদিনীপুর জেলার মধ্যে যুক্ত ছিলনা। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন মেদিনীপুর জেলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে এসেছিল, এবং বর্গিরা সেই সময় মেদিনীপুর অঞ্চলে লুঠতরাজ চালাবার জন্যে পটাশপুরকে তাদের ভিত্তিভূমি বা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করত। ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা ওডিশার সঙ্গে পটাশপুরকে নিজেদের দখলের মধ্যে এনেছিল।[১]

ভূবিজ্ঞান সম্পাদনা

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা মহকুমার শহরসমূহ
এম: মিউনিসিপ্যাল সিটি/টাউন, সি টি: সেন্সাস টাউন, আর:রুরাল/আরবান সেন্টার
জায়গার সঙ্কুলানের জন্যে ছোটো ম্যাপ, বড়ো ম্যাপে আসল স্থানে সামান্য তফাত হতে পারে।

থানা সম্পাদনা

পটাশপুর ১ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং পটাশপুশ ২ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক দুটোই পটাশপুর থানার অধিক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে। পটাশপুর থানার আয়তন হল ৩৫৪.০৯ বর্গ কিলোমিটার এবং এই অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ৩০২,১৫৩ জন। পটাশপুর থানার কার্যালয় যে জায়গায় অবস্থিত তার নাম কসবা পটাশপুর।[২][৩]

নগরায়ন সম্পাদনা

এগরা মহকুমার ৯৬.৯৬ শতাংশ জনগণ গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। এখানকার মাত্র ৩.০৪ শতাংশ মানুষ শহরাঞ্চলে বাস করে, এবং এটাই পুরো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চারটে মহকুমার মধ্যে সবচেয়ে কম শহর অঞ্চলের বসবাসকারীদের অনুপাত।[৪]

টীকা: সংশ্লিষ্ট মহকুমার বিশিষ্ট ক্ষেত্রের পরিচিতির জন্যে প্রদত্ত মানচিত্রে সেই সব বিশেষ জায়গার বিবরণ দেওয়া আছে। ছোটো মানচিত্রে চিহ্নিত জায়গাগুলো বড়ো মাপের মানচিত্রের সঙ্গে সমন্বিত করা আছে।

জনসংখ্যা সম্পাদনা

পটাশপুর ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মানচিত্রে অবস্থান অনুযায়ী এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জনগণনা সংক্রান্ত সরকারি পুস্তিকার বর্ণানুক্রমিক তথ্যের ভিত্তিতে পটাশপুর হল কসবা পটাশপুর গ্রামের একটা অংশ।[৫]

২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতের জনগণনা মোতাবেক কসবা পটাশপুরের সর্বমোট জনসংখ্যা হল ৫,৮৫৩ জন; যার মধ্যে ৫২ শতাংশ অর্থাৎ ৩,০৩৭ জন পুরুষ এবং ৪৮ শতাংশ অর্থাৎ ২,৮১৬ জন হলেন মহিলা। ৬ বছর বয়সের নিচে মোট জনসংখ্যা হল ৯১৮। ৬ বছরের ওপর এই কসবা পটাশপুরের মোট সাক্ষর ব্যক্তির সংখ্যা হল ৩,৭৬৯ জন (মোট জনসংখ্যার ৭৬.৩৭ শতাংশ)।[৬]

পরিবহন সম্পাদনা

পটাশপুর-তেমাথানি সরকারি রাস্তা এগরা-পটাশপুর-অমর্ষি-ভগবানপুর-বাজকুল সরকারি রাস্তার সঙ্গে পটাশপুরে এসে মিলিত হয়েছে।[৭]

স্বাস্থ্য পরিসেবা সম্পাদনা

৩০ শয্যাবিশিষ্ট পটাশপুর গ্রামীণ হাসপাতালই হল পটাশপুর ২ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মধ্যে প্রধান স্বাস্থ্য পরিসেবা কেন্দ্র। এছাড়া প্রতাপদিঘি এবং আড়গোয়াল এই দুই জায়গায় দুটো ১০ শয্যাবিশিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে।[৮]

তথ্যসূত্রসমূহ সম্পাদনা

  1. Ghosh, Binoy, Paschim Banger Sanskriti, (বাংলা), part II, 1976 edition, page 143, Prakash Bhaban, Kolkata.
  2. "District Statistical Handbook 2014 Purba Medinipur"Tables 2.1, 2.2। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "Patashpur PS"। Purba Medinipur District Police। ১২ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. "District Statistical Handbook 2014 Purba Medinipur"Table 2.2। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  5. "District Census Handbook, Purba Medinipur, Series 20, Part XIIA, Census of India, 2011" (পিডিএফ)Map on Page 433। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৯ 
  6. "2011 Census – Primary Census Abstract Data Tables"West Bengal – District-wise। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. Google maps
  8. "Health & Family Welfare Department"Health Statistics। Government of West Bengal। ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৯