যখন কোন গোষ্ঠী,দল কিংবা উপদল কোন সংগঠন কিংবা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে থেকে গোপনে প্রতিষ্ঠান বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে তখন সেই গোষ্ঠী,দল কিংবা উপদল কে পঞ্চম বাহিনী বলা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পঞ্চম বাহিনীদেরকে নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্রের ছাপা পোস্টার।

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

স্পেনের একজন জাতীয়তাবাদী জেনারেল, এমিলিও মোলা ১৯৩৬ সালে এক রেডিও ভাষনে এই বিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেন। স্পেনে তখন রিপাবলিক ও জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ(১৯৩৬-৩৯) চলছিল।১৯৩৬ সালে যখন এমিলিও মোলার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী সৈনিকরা মাদ্রিদ অভিমুখে অগ্রসর হয় তখন তিনি এক রেডিও ভাষণে ঘোষণা করেন, তাঁদের চারটি সৈন্য বাহিনী মাদ্রিদের দিকে এগুচ্ছে এবং 'পঞ্চম বাহিনী' মাদ্রিদের অভ্যন্তরে থেকেই রিপাবলিকান সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। মাদ্রিদে যখন বোমা বর্ষন চলছিল তখন আর্নেস্ত হেমিংওয়ে তাঁর জীবনের একমাত্র নাটকটি রচনা করেন। তিনি এই নাটকের শিরোনামে 'পঞ্চম কলাম' বিভাষাটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত তাঁর পঞ্চম বাহিনী ও প্রথম উনপঞ্চাশ গল্প বইয়ে নাটকটি অন্তর্ভুক্ত হয়।

গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকেই রিপাবলিকান সরকার পুলিশ,সেনাবাহিনী ও মাদ্রিদের রক্ষনশীল মধ্যবিত্ত সমাজে জাতীয়তাবাদীদের প্রতি সন্দেহভাজন সহানুভূতিশীলদের বিরুদ্ধে 'শুদ্ধি অভুযান' চালায়। একারণে সন্দেহভাজন পঞ্চম বাহিনী খুব একটা কার্যকর হয় নি। তীব্র আক্রমণের মুখেও ১৯৩৯ সালের আগে মাদ্রিদের পতন হয় নি। তথাপি, বিভাষাটি চালু হয়ে যায়।

ব্যবহার সম্পাদনা

বর্তমানে এই শব্দটির দ্বারা সধারণত এমন বিশ্বাসঘাতকদের বোঝানো হয়ে থাকে,যারা স্বীয় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের শত্রুদের স্বার্থে কাজ করে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা