পঞ্চপদী ছড়া বা লিমেরিক (Limerick) হল পদ্যের এক বিশেষ ধরনের রচনা শৈলী, যা সাধারণত ৫টি চরণে হয়। মিলের বিন্যাস: ক ক খ খ ক। ৩য় ও ৪র্থ পঙ্‌ক্তি অন্যগুলোর চেয়ে মাপে ছোট হয়। ইংরেজি নার্সারী রাইম থেকে এর উৎপত্তি। সাধারণত পঞ্চপদী ছড়ার বক্তব্য অর্থবোধক হয় না। এই ছড়া সমূহ কখনো হাস্যরসাত্মক, আবার কখনো সীমা লঙ্ঘন করে থাকে।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

পদ্যের এই ধরনের উৎপত্তি আঠারো শতকের প্রারম্ভে ইংল্যান্ডে।[২] উনিশ শতকে এই ধারাটি জনপ্রিয় করে তুলেন এডওয়ার্ড লেয়ার,[৩] যদিও তিনি এই শব্দটির ব্যবহার করেন নি। সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে তথ্যসমৃদ্ধ কবিতা ও শ্লোক সংকলনের সম্পাদক গার্শন লেগম্যান মনে করেন লোক সাহিত্য হিসেবে সত্যিকারের পঞ্চপদী ছড়া সবসময় অশ্লীল। এছাড়া আর্নল্ড বেনেটজর্জ বার্নার্ড শও বলেন পঞ্চপদী ছড়াসমূহ খুব অল্পই মাঝারি মানের উপরে যেতে পেরেছে। লোক সাহিত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, এই ধারাটি বরাবরই সীমা লঙ্ঘন করে থাকে, অর্থাৎ নিষিদ্ধ বিষয়সমূহের নিয়ম লঙ্ঘন করাই এর কাজ। লেয়ার ছিলেন এই ধারার সৃজনশীল ব্যতিক্রম, যিনি অতিরিক্ত সীমা লঙ্ঘন না করে ব্যঙ্গ করতেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Limerick Lyrics। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০১৭ 
  2. An interesting and highly esoteric verse in limerick form is found in the diary of the Rev. John Thomlinson (1692–1761): 1717. Sept. 17th. One Dr. Bainbridge went from Cambridge to Oxon [Oxford] to be astronomy professor, and reading a lecture happened to say de Polis et Axis, instead of Axibus. Upon which one said, Dr. Bainbridge was sent from Cambridge,—to read lectures de Polis et Axis; but lett them that brought him hither, return him thither, and teach him his rules of syntaxis. From Six North Country Diaries, Publications of the Surtees Society, Vol. CXVIII for the year MCMX, p. 78. Andrews & Co., Durham, etc. 1910.
  3. Brandreth, page 108

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা