নেলী সেনগুপ্তা
নেলী সেনগুপ্তা (১২ জানুয়ারি ১৮৮৬ — ২৩ অক্টোবর ১৯৭৩) ছিলেন রাজনৈতিক কর্মী এবং সমাজকর্মী। দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে রক্ষা করার জন্য নিরলস সংগ্রাম করে গিয়েছেন।
নেলী সেনগুপ্তা | |
---|---|
নেলী সেনগুপ্তা | |
জন্ম | ১২ জানুয়ারি ১৮৮৬ |
মৃত্যু | ২৩ অক্টোবর ১৯৭৩ |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
পেশা | রাজনৈতিক কর্মী, সমাজকর্মী |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
আন্দোলন | অসহযোগ আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
দাম্পত্য সঙ্গী | যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত |
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ |
জন্ম ও পরিবারসম্পাদনা
নেলী সেনগুপ্তা ১৮৮৬ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফ্রেডারিক গ্রে ও মাতার নাম এডিথ হেনরিয়েটা গ্রে। দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর সাথে বিবাহ হয়। স্বামীর আদর্শে প্রভাবিত হয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন[১]।
রাজনৈতিক জীবনসম্পাদনা
নেলী সেনগুপ্তা ১৯১০ সালে কলকাতায় কংগ্রেস রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯২১ সালে মহাত্মা মহাত্মা গাঁধীর অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে চট্টগ্রামে খদ্দর বিক্রয় করার সময় প্রথম গ্রেফতার হন নেলী সেনগুপ্তা। ১৯৩০ সালে দ্বিতীয় অসহযোগ আন্দোলনের কাজ করার জন্য যতীন্দ্রমোহনের সঙ্গে দিল্লি, অমৃতসর প্রভৃতি জায়গায় যান। দিল্লিতে এক সভায় বক্তব্য রাখার সময় নেলী গ্রেফতার হন। ১৯৩৩ সালের ২৩ জুলাই, তার স্বামী কংগ্রেসের নেতা ও বিপ্লবী আন্দোলনের প্রতি গভীর সহানুভূতিশীল ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত কারাবন্দী অবস্থায় মারা যান। এরপরেও নেলী স্বাধীনতা সংগ্রামে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করে যেতে থাকেন। দেশ ভাগের পরে তিনি স্বামীর পৈতৃক ভূমিতে ছিলেন। ১৯৪৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সম্মাননাসম্পাদনা
১৯৭৩ সালে ভারত সরকার নেলী সেনগুপ্তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান 'পদ্মবিভূষণ’ উপাধি প্রদান করে। কলকাতা শহরের লিন্ডসে স্ট্রীট রাস্তাটি 'নেলী সেনগুপ্তা সরণী' হিসেবে নামাঙ্কিত হয়েছে। কেষ্টপুরে তার স্মৃতিতে একটি বালিকা বিদ্যালয় আছে।
মৃত্যুসম্পাদনা
নেলী সেনগুপ্তা ১৯৭০ সালে অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। ১৯৭৩ সালের ২৩ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা 67-68। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।