নেটি স্টিভেনস

মার্কিন বংশাণুবিজ্ঞানী যিনি যৌন ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন

নেটি মারিয়া স্টিভেনস (ইংরেজি: Nettie Maria Stevens, ৭ই জুলাই, ১৮৬১ – ৪ঠা মে, ১৯১২)[১] একজন মার্কিন বংশাণুবিজ্ঞানী যিনি যৌন ক্রোমোজোম আবিষ্কার করেন। ১৯০০ সালে গ্রেগর মেন্ডেলের বংশগতিবিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণাপত্রটি পুনরাবিষ্কারের কয়েক বছর পরে ১৯০৫ সালে স্টিভেনস লক্ষ্য করেন যে পুং কালো গুবরে পোকার শূককীটগুলি (মিলওয়ার্ম) দুই ধরনের শুক্রাণু উৎপাদন করে; একটি বৃহৎ ক্রোমজোমবিশিষ্ট ও অপরটি ক্ষুদ্র ক্রোমোজোমবিশিষ্ট। যখন বৃহৎ ক্রোমোজোমবিশিষ্ট শুক্রাণুটি কোনও ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে, তখন স্ত্রী সন্তান উৎপাদিত হয়; অন্যদিক ক্ষুদ্র ক্রোমোজোমবিশিষ্ট শুক্রাণুটি ডিম্বাণু নিষিক্ত করলে পুং সন্তান জন্ম নেয়।[২] তিনি যে ক্রোমোজোম জোড়টি নিয়ে গবেষণা করেন, সেটি পরবর্তীতে এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।[২][২][৩][৪]

নেটি স্টিভেনস
জন্ম
নেটি মারিয়া স্টিভেনস

(১৮৬১-০৭-০৭)৭ জুলাই ১৮৬১
ক্যাভেন্ডিশ, ভার্মন্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু৪ মে ১৯১২(1912-05-04) (বয়স ৫০)
বাল্টিমোর, ম্যারিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষাওয়েস্টফোর্ড অ্যাকাডেমি
মাতৃশিক্ষায়তনওয়েস্টফিল্ড নর্মাল স্কুল
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
ব্রিন মর কলেজ
পরিচিতির কারণএক্স-ওয়াই জৈবিক লিঙ্গনির্ধারণ পদ্ধতি
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রবংশাণুবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহব্রিন মর কলেজ, কার্নেগি ইনস্টিটিউশন অভ ওয়াশিংটন
অভিসন্দর্ভের শিরোনামফার্দার স্টাডিজ অন দ্য সিলিয়েট ইনফিউসোরিয়া, লিকনোফোরা অ্যান্ড বোভেরিয়া (Further studies on the ciliate Infusoria, Licnophora and Boveria) সিলিয়েট ইনফিউসোরিয়া, লিকনোফোরা ও বোভেরিয়ার উপরে অতিরিক্ত গবেষণা (১৯০৩)
ডক্টরাল উপদেষ্টাটমাস হান্ট মর্গান
ডক্টরেট শিক্ষার্থীঅ্যালিস মিডলটন বোরিং
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনএডমান্ড বিচার উইলসন
টমাস হান্ট মর্গান

মৃত্যু সম্পাদনা

ডক্টরেট উপাধিলাভের মাত্র ৯ বছর পরে ৫০ বছর বয়সে স্টিভেন্স স্তনের কর্কটরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯১২ সালের ৪ঠা মে বাল্টিমোর শহরে মৃত্যুবরণ করেন। সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনে তিনি প্রায় ৪০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন[৫] স্টিভেনস অবিবাহিত ও নিঃসন্তান ছিলেন।[৬] তাঁকে তাঁর বাবা এফ্রেম ও বোন এমা-র কবরের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।[৭]

উত্তরাধিকার ও সম্মাননা সম্পাদনা

১৯৯৪ সালে স্টিভেনসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল উইমেনস হল অভ ফেমে (জাতীয় খ্যাতনামা নারীদের ভবন) অভিষিক্ত করা হয়।[৮]

২০১৬ সালের ৭ই জুলাই স্টিভেনসের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে ইন্টারনেট অনুসন্ধান ইঞ্জিন ওয়েবসাইট গুগল একটি "ডুডল" বা চিত্র সৃষ্টি ও প্রকাশ করে, যাতে দেখানো হয় যে স্টিভেনস একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মধ্যে চোখ লাগিয়ে এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোম পর্যবেক্ষণ করছেন।

২০১৭ সালের ৫ই মে ওয়েস্টফিল্ড সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্টিভেনসের নামে তাদের বিজ্ঞান ও নবীকরণ কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক নামকরণ করার মাধ্যমে স্টিভেনসকে সম্মান প্রদর্শন করে। কেন্দ্রটির নাম দেওয়া হয় ডক্টর নেটি মারিয়া স্টিভেনস সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার।[৯]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Nettie Stevens | American biologist and geneticist"Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১২ 
  2. Brush, Stephen G. (জুন ১৯৭৮)। "Nettie M. Stevens and the Discovery of Sex Determination by Chromosomes"। Isis69 (2): 162–172। এসটুসিআইডি 1919033জেস্টোর 230427ডিওআই:10.1086/352001পিএমআইডি 389882 
  3. "Nettie Maria Stevens – DNA from the Beginning"www.dnaftb.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-০৭ 
  4. John L. Heilbron (ed.), The Oxford Companion to the History of Modern Science, Oxford University Press, 2003, "genetics".
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; :6 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  6. "Nettie Stevens - Biography, Facts and Pictures" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৫ 
  7. "Nettie Stevens: A Discoverer of Sex Chromosomes"। Nature। মার্চ ১৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৬, ২০১৬ 
  8. National Women's Hall of Fame, Nettie Stevens
  9. "Westfield State University News"। মে ৫, ২০১৭। আগস্ট ১৪, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৪, ২০১৮ 

আরও পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা