নীলফামারী সদর উপজেলা
নীলফামারী সদর বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
নীলফামারী সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে নীলফামারী সদর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৬′৩৬″ উত্তর ৮৮°৫০′৫৫″ পূর্ব / ২৫.৯৪৩৩৩° উত্তর ৮৮.৮৪৮৬১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
সদরদপ্তর | নীলফামারী |
সংসদীয় আসন | নীলফামারী-২ |
আয়তন | |
• মোট | ৩৭৩.১ বর্গকিমি (১৪৪.১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১ আদমশুমারি)[১] | |
• মোট | ৪,২৭,৯১৩ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৩০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৭৩ ৬৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
নামকরণ
সম্পাদনাদুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়।
সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হতো এখানকার উর্বর মাটির গুণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি। ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।[২][৩] তবে অনেকে মনে করেন নীলখামারীর অপভ্রংশ থেকে নয় বরং নীল খামারীর ইংরেজি নীল ফার্মার থেকে নীলফার্মারী এবং নীলফার্মারী থেকে বর্তমান নীলফামারী হয়েছে।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাঐতিহাসিকদের মতে, প্রাচীনকালে নীলফামারীসহ এ অঞ্চল কামরূপ রাজ্যের অংশ ছিল। এ অঞ্চলটি পাল, খেনবংশ, কোচবংশ প্রভৃতি রাজবংশ দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করেছে। নীলফামারীর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে জলঢাকা উপজেলার খেরকাটি নামক গ্রামে পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, পরবর্তীতে তার নামে এ এলাকার নাম হয় ধর্মপাল। ১৪শ শতাব্দির শেষদিকে অঞ্চলটি খেন রাজবংশের অন্তর্গত ছিল। আলাউদ্দিন হোসেন শাহ কামতা রাজ্য জয় করলেও এ অঞ্চল মুসলমানদের দখলে আসেনি। বরং কোচ রাজ্যের অন্তর্গত হয়।
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনানীলফামারী সদর উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান অক্ষাংশ ২৩°২৯' উত্তর এবং ২৩°৪২' উত্তর; দ্রাঘিমাংশ ৯০°৫৯' পূর্ব এবং ৯১°০৫' পূর্ব। আয়তন ২৩৯.১৪ বর্গ কিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তরে ডোমার উপজেলা ও জলঢাকা উপজেলা, দক্ষিণে সৈয়দপুর উপজেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ও জলঢাকা উপজেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনা- মোট পৌরসভাঃ ০১ টি, নীলফামারী পৌরসভা
- মোট ইউনিয়নঃ ১৫ টি।
ইউনিয়ন সমূহঃ
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাশিক্ষা
সম্পাদনাশিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- নীলফামারী মেডিকেল কলেজ
- নীলফামারী সরকারি কলেজ, নীলফামারী
- নীলফামারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, নীলফামারী
- নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ,
- মশিঊর রহমান ডিগ্রী কলেজ
- নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- সোনারায় সংগলশী উচ্চ বিদ্যালয়।
- কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, নীলফামারী
- ছমির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
সম্পাদনা- আসাদুজ্জামান নূর, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী
- খয়রাত হোসেন, সাবেক মন্ত্রী;
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;ইউনিয়নপরিসংখ্যান
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ "নামকরণ ও প্রতিষ্ঠা"। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা - নীলফামারী। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। ২০১৪। পৃষ্ঠা ২৩,২৫। আইএসবিএন 984-07-5356-8।
- ↑ "উপজেলা প্রশাসনের পটভূমি"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন। নীলফামারী সদর উপজেলা। ৩ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২০।