নির্মলকুমার সেন
নির্মলকুমার সেন (১৮৯৮-১৩ জুন ১৯৩২) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।[১] পূর্ববঙ্গে জন্ম নেয়া এই বাঙালি বিপ্লবী তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং জীবন বিসর্জন করেন।
নির্মলকুমার সেন | |
---|---|
জন্ম | ১৮৯৮ |
মৃত্যু | ১৩ জুন ১৯৩২ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
শিক্ষা | ম্যাট্রিকুলেসন |
মাতৃশিক্ষায়তন | চট্টগ্রাম এন. এম. স্কুল |
পরিচিতির কারণ | চট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি |
রাজনৈতিক দল | অনুশীলন সমিতি |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পিতা-মাতা |
|
জন্ম ও শৈশব ও বিপ্লবী দলে যোগদান
সম্পাদনানির্মলকুমার সেন ১৮৯৮ সালে চট্টগ্রামের কোয়েপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রসিকচন্দ্র সেন। ম্যাট্রিক পাস করে ডাক্তারি পড়ার জন্য চট্টগ্রাম এন. এম. স্কুলে ভর্তি হন। পরে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে চট্টগ্রামের গুপ্ত বিপ্লবী দলে যোগদান করেন।[২] অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ১৯২০ সালে ব্রহ্মদেশে যান। এর পরে গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলন-এ যোগদান করেন। ১৯২৪-এ গ্রেপ্তার হন এবং বিনা বিচারে ৩ বছর কারাবাসে কাটান। বিপ্লবী কাজে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে অর্থ সংগ্রহ করেন।[১]
চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন
সম্পাদনাগ্রেপ্তার থেকে মুক্তির পর পুনরায় বিপ্লবী কর্মকান্ডে অংশ নেন। ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। জালালাবাদ পাহাড়ে ব্রিটিশ সৈন্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন যুদ্ধে করার পর গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে যান। ১৯৩২ এর ১৩ জুন ব্রিটিশ সৈন্যরা সূর্য সেন ও প্রীতিলতাসহ অন্যান্য বিপ্লবীদের ধরতে সাবিত্রী চক্রবর্তীর বাড়ি ঘেরাও করে। সৈন্যদের সাথে গুলিবিনিময়ের সময় সূর্যসেন ও প্রীতিলতা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। নির্মল সেনের সঙ্গী অপূর্ব সেনের গুলিতে ব্রিটিশ অফিসার ক্যাপ্টেন ক্যামেরুন নিহত হন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নির্মল সেন।[১]