নিম্মী

ভারতীয় অভিনেত্রী

নবাব বানু (১৮ই ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ – ২৫শে মার্চ ২০২০), তাঁর মঞ্চ নাম নিম্মী দ্বারা বেশি পরিচিত) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন, যিনি ১৯৫০-এর দশক এবং ১৯৬০-এর দশকের প্রথম দিকে হিন্দি চলচ্চিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি প্রফুল্ল গ্রাম্য মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করার পাশাপাশি কল্পনাভিত্তিক এবং সামাজিক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অতঃপর তিনি সাজা (১৯৫১), আন (১৯৫২), উড়ান খাটোলা (১৯৫৫), ভাই-ভাই (১৯৫৬), কুন্দন (১৯৫৫), মেরে মেহবুব (১৯৬৩), পূজা কে ফুল (১৯৬৪), আকাশদীপ (১৯৬৫) এবং বসন্ত বাহার (১৯৫৬)-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রাজ কাপুর নবাব বানুকে "নিম্মী" নাম দিয়েছিলেন।

নিম্মী
জন্ম
নবাব বানু

(১৯৩৩-০২-১৮)১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩
মৃত্যু২৫ মার্চ ২০২০(2020-03-25) (বয়স ৮৭)
কর্মজীবন১৯৪৯–৬৫
দাম্পত্য সঙ্গীএস. আলি রাজা (বি. ১৯৬৫; মৃ. ২০০৭)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

নবাব বানু ১৯৩৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের আগ্রা এবং ওউধ সংযুক্ত প্রদেশের আগ্রার একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন ওয়াহিদান একজন গণিতবিদ, গায়িকা এবং অভিনেত্রী ছিলেন; যিনি চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে বেশ ভালভাবে যুক্ত ছিলেন। নিম্মীর বাবা আবদুল হাকিম একজন সামরিক ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন। নিম্মীর প্রকৃত নামের প্রথম অংশ "নবাব" তাঁর দাদু এবং দ্বিতীয় অংশ "বানু" তাঁর দাদী যুক্ত করেছিলেন। ছোটবেলায় নিম্মীর বোম্বে ভ্রমণের স্মৃতি ছিল। তাঁর মায়ের সঙ্গে মেহবুব খান এবং তাঁর পরিবারের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। এই পরিবার চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যবসায় বিশিষ্ট এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।[১]

নিম্মী যখন মাত্র এগার বছর বয়সী তখন তাঁর মা হঠাৎ মারা যান। তাঁর বাবা মিরাটে থাকতেন, যেখানে তিনি চাকরি করতেন এবং সেখানে তাঁর আর একটি পরিবারছিল। উক্ত সময়ের নিম্মীর মায়ের সাথে তাঁর বাবার যোগাযোগ খুব কম ছিল। তাই নিম্মীকে তার মাতামহের সাথে রাওয়ালপিন্ডির নিকটে অ্যাব্‌টাবাদে বাস করতে পাঠানো হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজন সংগঠিত হওয়ার পর অ্যাবটাবাদে পাকিস্তানের পতন ঘটে। নিম্মীর দাদি মুম্বইয়ে (তৎকালীন বোম্বে নামে পরিচিত) চলে আসেন এবং তাঁর অন্য আরেকটি মেয়ে, জ্যোতির বাড়িতে বসবাস করেন। একজন প্রাক্তন অভিনেত্রী, জ্যোতি ভারতের জনপ্রিয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা এবং সংগীত পরিচালক জি. এম. দুরানির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। [১]

পেশা সম্পাদনা

১৯৪৮ সালে, তাঁর মায়ের (যিনি ১৯৩০-এর দশকে চলচ্চিত্র জগতে কাজ করেছিলেন) পরিচিত বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মেহবুব খানের সাহায্যে নিম্মী চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন। মেহবুব খান তরুণ নিম্মীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তাঁর বর্তমান প্রযোজনা আন্দাজ এর চিত্রায়ন দেখার জন্য। সেখানে তাঁকে লক্ষ্য করে নিজের প্রযোজনা সংস্থা সেন্ট্রাল স্টুডিও দ্বারা নির্মিত আন্দাজ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তাঁকে নির্বাচন করেছিলেন। নিম্মী পূর্ব থেকেই চলচ্চিত্র জগতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং এই চলচ্চিত্রটি তাঁকে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়াটি বোঝার একটি সুযোগ করে দিয়েছিল। আন্দাজ নামক চলচ্চিত্রে নিম্মী রাজ কাপুরের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। [১]

মৃত্যু সম্পাদনা

২০২০ সালের ২৫শে মার্চ তারিখে ৮৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান।[২][৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা