নিত্যরঞ্জন সেন

ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব

নিত্যরঞ্জন সেন (? - ৭ জানুয়ারি, ১৯৩৪) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।[] ১৯৩০ সালে বিপ্লবমন্ত্রে দীক্ষা নেন। ১৯৩৩ সালে মাস্টারদা সূর্যসেন এবং তারকেশ্বর দস্তিদারের মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম যুব বিপ্লবী দলের চার জন সদস্য ইউরোপীয় ক্লাব (পল্টন) মাঠে ইংরেজদের ক্রিকেট খেলার সময় ৭ জানুয়ারি, ১৯৩৪ তারিখে বোমা ও রিভলভারের সাহায্যে কয়েকজন অফিসারকে আক্রমণ করেন। এতে পুলিস সুপার পিটার ক্লিয়ারি নিহত হয় এবং কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ আহত হন। মিলিটারির পাল্টা আক্রমণে ঘটনাস্থলে তিনি এবং হিমাংশুবিমল চক্রবর্তী নিহত হন। কৃষ্ণকুমার চৌধুরী এবং হরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রেপ্তার হয়ে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করেন।[]

নিত্যরঞ্জন সেন
জন্ম
মৃত্যু৭ জানুয়ারি, ১৯৩৪
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত
মাতৃশিক্ষায়তনচট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুল
পরিচিতির কারণচট্টগ্রামের অস্ত্রগার আক্রমণের ব্যক্তি
রাজনৈতিক দলঅনুশীলন সমিতি
আন্দোলনভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন

নিত্যরঞ্জন সেনের জন্ম চট্টগ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র ছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. রায়, প্রকাশ (২০২১)। বিস্মৃত বিপ্লবীচেন্নাই: নোশনপ্ৰেস, চেন্নাই, তামিলনাড়ু। 
  2. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৩৫৭, ৮৬৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬