নিচলামারী গণহত্যাকাণ্ড

(নিচলামারি গণহত্যাকাণ্ড থেকে পুনর্নির্দেশিত)

৩০শে ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে রাষ্ট্রীয় বোরোল্যান্ড গণতান্ত্রিক মোর্চা সংগঠনের বন্দুকবাজরা ১২ জন বাঙালি হিন্দুকে দরং জেলার নিচলামারিতে (বর্তমানে ওদালগুরি জেলা) গুলি করে হত্যা করে চাঞ্চল্য ছড়ায় যা নিচলামারি গণহত্যাকাণ্ড নামে কুখ্যাত৷[১][২] মৃৃতদের মধ্যে ছিলেন ৬ জন নারী একজন ৬ মাস বয়সী শিশু এবং ৫ জন পুরুষ৷ তার পরের দিন ৩১শে ডিসেম্বর একই মোর্চা সংগঠন পার্শ্ববর্তী অন্য একটি গ্রামে পুনরায় বাঙালিদের ওপর আক্রমণ করে ফলে সেখানেও ৯ জন বাঙালি প্রাণ হারায়৷[১]

নিচলামারি গণহত্যা
নিচলামারী গণহত্যাকাণ্ড আসাম-এ অবস্থিত
নিচলামারী গণহত্যাকাণ্ড
স্থাননিচলামারি, দরং জেলা, আসাম, ভারত
তারিখ১৪ই পৌষ ১৪০৪ বঙ্গাব্দ (৩০শে ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দ) (UTC+5:30)
লক্ষ্যবাঙালি হিন্দু
হামলার ধরনগণহত্যা
ব্যবহৃত অস্ত্রfirearms
নিহত১২ ও ৯
আহত
হামলাকারী দলরাষ্ট্রীয় বোরোল্যান্ড গণতান্ত্রিক মোর্চা

পটভূমি সম্পাদনা

ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা স্বায়ত্তশাসিত বোরোল্যান্ড গঠনের ঐক্য বাস্তবায়িত করতে না পেরে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বতন বোরো নিরাপত্তা দলটি রাষ্ট্রীয় বোরোল্যান্ড গণতান্ত্রিক মোর্চা নামে পরিবর্তিত হয়৷ খ্রিস্টান প্রধান এন.ডি.এফ.বি.(রা.বো.গ.মো.) বোরোঅধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে ভাষাগত সংখ্যালঘু বিশেষত বাঙালিদেরকে লক্ষ্য বানাতে থাকে৷ তারা হিন্দুপ্রধান বোরো সংগঠন বোরো জনমুক্তি ব্যাঘ্র বাহিনীর (বি.এল.টি.এফ) সদস্যদের ও লক্ষ্য বানায়৷ এমতাবস্তায় বাঙালি সংগঠনগুলির সাথে বি.এল.টি.এফ জোট বাঁধে ও এন.ডি.এফ.বি. থেকে বাঙালি হিন্দুদের রক্ষার্থে চুক্তি করা হয়৷ এরকম চলতে থাকাতে দরং জেলার নিচলামারিতে (বর্তমানে ওদালগুরি জেলা) এন.ডি.এফ.বি-এর সদস্যরা বাঙালি সংগঠনগুলির ওপর ক্ষিপ্ত হয় ও পরিকল্পনা মতো ৩০শে ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে বাঙালিদের ওপর সশস্ত্র হামলা করা হয়৷[৩]

হত্যাকাণ্ড সম্পাদনা

৩০শে ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারতীয় প্রমাণ সময় রাত ৮ টা নাগাদ এন.ডি.এফ.বি এর সশস্ত্র যোদ্ধাদের একটি দল নিচলামারি এলাকাতে প্রবেশ করে৷ তারা ৪ টি বাঙালি হিন্দু পরিবারের মোট ১৫ জন সদস্যকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়৷ এক ছয় মাসের শিশু ও ছয়জন মহিলাসহ বারোজন তৎক্ষণাৎ মৃৃত্যুমুখে পতিত হয় ও বাকী তিনজন গুরুতর আহত হয়৷[৩] গণহত্যার পরের দিন স্থানীয়রা বিক্ষোভে তৎকালীন আসামের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহন্ত আতঙ্কিত গ্রাম পরিদর্শনে আসেন ও মৃৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেন৷[৩]

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Gokhale, Nitin A. (২৬ জানুয়ারি ১৯৯৮)। "More Season's Greetings"Outlook। Outlook Publishing। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৮ 
  2. "Dynamic Analysis of Dispute Management"University of Central Arkansas। University of Central Arkansas। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৮ 
  3. Dasgupta, Monimoy (১ জানুয়ারি ১৯৯৮)। "BODO REBELS KILL 12 BENGALIS"। The Telegraph। ABP Group।