নাবিহা বিন মিলাদ

তিউনিশিয়ার জাতীয়তাবাদী এবং গণতান্ত্রিক কর্মী
(নাবিহা বেন মাইল্ড থেকে পুনর্নির্দেশিত)

নাবিহা বিন মিলাদ (আরবি: نبيــهة بــن ميلاد; ৪ মার্চ ১৯১৯ - ৬ মে ২০০৯) ছিলেন তিউনিসিয়ার স্বাধীনতাবাদী এবং অগ্রগামী নারী অধিকার কর্মী, যিনি ফরাসি উপনিবেশিকতা থেকে নারীর অধিকার এবং তিউনিশিয়ার স্বাধীনতার আদায়ের একজন সাংবাদিক নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৫২ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিউনিসিয়ান উইমেন ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং তিউনিশিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে নিবন্ধ লিখেছিলেন।

নাবিহা বেন মাইল্ড
نبيــهة بــن ميلا
জন্ম
নাবিহা বেন আবদুল্লাহ

(১৯১৯-০৩-০৪)৪ মার্চ ১৯১৯
মৃত্যু৬ মে ২০০৯(2009-05-06) (বয়স ৯০)
তিউনিস, তিউনিসিয়া
জাতীয়তাতিউনিসীয়
অন্যান্য নামনাবিয়াহ বিন মিলাদ
পেশাস্বাধীনতাবাদী, নারী অধিকার কর্মী
কর্মজীবন১৯৩৬–২০০৯

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

নাবিহা বিন আবদুল্লাহ ১৯১৯ সালের মার্চ মাসে তিউনিসে জন্মগ্রহণ করেন, যা তখন তিউনিসিয়ার ফরাসি সুরক্ষায় বায়া বিনতে মাহজুব এবং ওসমান বিন আবদুল্লাহর অধীনস্থ ছিল। তার বাবা-মা ছিলেন তিউনিসীয় বুর্জোয়াদের অংশ, যাদের পূর্বপুরুষ উনিশ শতকে তিউনিসে বসতি স্থাপন করেছিলেন।[১] তিনি সিদি সাবের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন এবং তার শিক্ষক বা আইনজীবী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল[২], কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর তার বাবা তাকে আরও পড়াশোনা থেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন।[৩] পনেরো বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের শিক্ষিত ডাক্তার ও তিউনিসীয় কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতা আহমেদ বেন মাইল্ডকে বিয়ে করেন।[৪][৫] তার স্বামী আধুনিক ছিলেন এবং মাইল্ডকে পর্দা না করে জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করেছিলেন, যদিও তার মা জোর দিয়েছিলেন যে তিনি ছোটবেলা থেকেই হিজাব পরুক।[৪]

সক্রিয়তা সম্পাদনা

১৯৩৬ সালে স্বামীর উৎসাহে, মাইল্ড বিচিরা বেন ম্রাদের নেতৃত্বে তিউনিসিয়ার মুসলিম মহিলা ইউনিয়ন (এমডাব্লিউইটি)-এ যোগদান করেন।[৪] প্রাথমিকভাবে তা মেয়েদের শিক্ষার সহায়তার জন্য গঠিত হয়েছিল। ১৯৩৮ সালের মধ্যে, তারা ফরাসি উপনিবেশিক সরকারের অবসান কামনা করে রাজনৈতিক বন্দি এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িতদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য কাজ করেছিল।[৩] ১৯৩৮ সালের ৯ এপ্রিলে যখন একটি বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা আহত হন, তখন ডাঃ মাইল্ড তাদের বাড়িটিকে একটি হাসপাতালে পরিণত করেন এবং নাবিহা তাকে সাহায্য করেন, তারা উপনিবেশিক বাহিনীর দ্বারা আহতদের জন্য নার্সিং সেবা প্রদান করেছিলেন।[৩][৪] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তিনি তীব্র দুর্ভিক্ষের সময় তাদের একমাত্র কন্যা খাদিজার জন্ম দেন। তিনি এবং তার স্বামী তাদের হালফাউইন পাড়ায় প্রতিবেশীদের বাক্সজাত দুধ সরবরাহ করেছিলেন এবং তিনি একটি স্যুপ রান্নাঘরের আয়োজন করেছিলেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ ব্যবহার করে, মাইল্ড প্রতিবেশী মহিলাদের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দানকৃত পণ্য থেকে প্রতিদিন দুইশত খাবার তৈরি করা পরিচালনা করে।[৩]

মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার সম্পাদনা

মাইল্ড ২০০৯ সালের ৬ মে তিউনিসে মারা যান। ২০১৩ সালে ইলহেম মারজৌকি নারীবাদী বিশ্ববিদ্যালয় (ফরাসি: Université Féministe Ilhem Marzouki) তিউনিসিয়ায় নারীবাদে ঐতিহাসিক নারীদের অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে তার স্মরণে একটি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Nisāʼ wa-dhākirah : Tūnisīyāt fī al-ḥayāh al-ʻāmmah, 1920-1960। Ḥabīb. Qazdaghlī, قزدغلي، حبيب.। Tūnis: Mīdiyā Kūm। ১৯৯৩। আইএসবিএন 9973-9918-3-4ওসিএলসি 37695933 
  2. "في حــوار أجري ســنـة 1995: هــكـذا تكــلمت نبيــهة بــن ميلاد... - [ Nissa Aljil Aljadid ]"web.archive.org। ২০১৩-১১-০৯। Archived from the original on ২০১৩-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  3. "Nabiha Ben Miled (1919-2009) : une pionnière du féminisme tunisien - Tunisiennes d'aujourd'hui"web.archive.org। ২০১৮-০৩-২০। Archived from the original on ২০১৮-০৩-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  4. "Nabiha Ben Miled: une femme dans l'histoire"web.archive.org। ২০১৭-০৪-২৩। Archived from the original on ২০১৭-০৪-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  5. "Ahmed Ben Miled, défenseur infatigable des causes justes"web.archive.org। ২০১৭-০৪-২২। Archived from the original on ২০১৭-০৪-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪