নাজির উদ্দিন আহমদ

বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও গবেষক

খান বাহাদুর নাজিরউদ্দিন আহমদ (১৮৮৪-১৯৪৯) একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, গবেষক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে উন্নয়ন কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।[১]

খান বাহাদুর নাজির উদ্দিন আহমদ
জন্ম১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
পরিচিতির কারণঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন রেজিস্টার
উপাধিখান বাহাদুর
পিতা-মাতাবশিরউদ্দিন আহমদ (পিতা)
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি
মাতৃ-শিক্ষায়তনঢাকা মাদ্রাসা, ঢাকা কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

জন্ম ও পরিচয় সম্পাদনা

নাজির উদ্দিন আহমদ ১৮৮৪ সালে ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বশিরউদ্দিন আহমদ, তিনিও ঢাকার অধিবাসী ছিলেন এবং একজন এবং খ্যাতনামা চিকিৎসক ছিলেন।

শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

নাজিরউদ্দিন আহমদ ১৯০১ সালে ঢাকা মাদ্রাসা (বর্তমান নামঃ কবি নজরুল সরকারি কলেজ) থেকে এন্ট্রান্স এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট অব আর্টস পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজি বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯০৬ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি (সম্মান) বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। মুসলিম ছাত্রদের মধ্যে তিনিই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

নাজির উদ্দিন আহমদ ১৯০৭ সালে ঢাকা কলেজে ইংরেজির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী বছর তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ পান। ১৯১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন পদে চাকুরি করেন। ১৯২০ সালে তিনি ময়মনসিংহ জেলার জামালপুরের মহকুমা প্রশাসক নিযুক্ত হন। সরকারি চাকুরিতে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার ১৯১৭ সালে তাঁকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধি প্রদান করে। ১৯২১ সালে নাজিরউদ্দিন আহমদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রেজিস্ট্রার নিয়োগ করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে নাজিরউদ্দিন আহমদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখেন। তাঁর প্রচেষ্টার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে গবেষণার বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং অধ্যাপকগণ পূর্ণবেতনে শিক্ষাছুটি লাভ করেন। নাজিরউদ্দিন আহমদ ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

প্রশংসা সম্পাদনা

১৯৪৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর মাহমুদ হাসান তাঁর বক্তৃতায় নাজিরউদ্দিনের পান্ডিত্য এবং প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশংসা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকের অনেক শিক্ষক ও ছাত্র তাঁদের স্মৃতিকথা ও অন্যান্য লেখায় নাজিরউদ্দিন আহমদের চারিত্রিক সততা এবং দক্ষতার কথা উল্লেখ করেন। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ ইংরেজি ভাষায় নাজিরউদ্দিন আহমদের অসামান্য পারদর্শিতার প্রশংসা করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "আহমদ, খানবাহাদুর নাজিরউদ্দিন - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা