নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ
নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ হলো বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে এটি ঢাকার আশুলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। নানা অনিয়মে কলেজটি সমালোচিত হয়েছে। ২০১৬ সালে সরকার কলেজটিতে শিক্ষার্থী ভর্তির উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে ও ২০২৩ সালে কলেজটির কার্যক্রম স্থগিত করে। অবশেষে ২৫ জুন, ২০২৩ এ কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়।
ধরন | বেসরকারি মেডিকেল স্কুল |
---|---|
স্থাপিত | ২০০৫ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
চেয়ারম্যান | মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান |
অবস্থান | আশুলিয়া, ঢাকা |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ওয়েবসাইট | nmchdhaka |
ইতিহাস
সম্পাদনানাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন প্রকৌশলী জনাব আসাদুজ্জামান চৌধুরী। তিনি ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।
নামকরণ
সম্পাদনানাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের নাম ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, নামকরা নার্স যিনি চিকিৎসা ও মানব সেবার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ও নিষ্ঠার জন্য চিকিৎসা সেবা ও নার্সিংয়ের ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন, তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একজন অসুস্থকে নার্সিংয়ের মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করা যায়। অসুস্থ মানুষের প্রতি তার আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ সেবার জন্য তিনি কেবল ব্রিটিশ জনসাধারণের কাছেই নয় বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী বছরগুলিতে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল "দি লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প" নামে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯০৭ সালে নাইটিংগেল ব্রিটিশ সরকারের "অর্ডার অফ মেরিট" উপাধি প্রাপ্ত হন।
অবকাঠামো
সম্পাদনাকলেজটি ১২ বিঘা জমির উপর ঢাকার আশুলিয়ায় স্থাপিত।
সমালোচনা
সম্পাদনাকলেজটি নানা অনিয়মের কারণে সমালোচিত হয়েছে। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির শর্ত পুরণ না করায় নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজকে এক কোটি টাকা জরিমানা করে আদালত। বিএমডিসির অনুমোদন না থাকা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালে প্রায় ৩৬৫ জন শিক্ষার্থী মাইগ্রেশন নিয়ে এই কলেজ থেকে অন্য মেডিকেল কলেজে চলে যায়।[১][২] একই বছরের জুন মাসে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের নীতিমালার শর্ত পূরণ না করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অপরাধে নাইটিংগেলসহ ৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।[৩][৪] পরে আদালতের মাধ্যমে উক্ত নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ নেয় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুনরায় শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে।[২] প্রতিবছর এই কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মাইগ্রেশন নিয়ে অন্য মেডিকেল কলেজে চলে যাওয়ার দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে। ২০২৩ সালে এই কলেজের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।[৫] এরপর ২৫ জুন, ২০২৩ এ নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং এই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের অন্যান্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশন করার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮।
- ↑ ক খ প্রতিনিধি, সাভার। "নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন দাবি"। bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ "অনিয়মই নিয়ম নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজে"। ডেইলি বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের নির্দেশে শক্ষিার্থীদের প্রতিবার"। একুশে টিভি। ১৩ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "এক মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল ও ৫টির কার্যক্রম স্থগিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী | বাংলাদেশ"। সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০২৩।