নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র
নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্রকে, অনেক সময় অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে নলিউড বলা হয়ে থাকে, যেগুলো হলো নাইজেরিয়াতে তৈরি চলচ্চিত্র; এটির যাত্রা শুরু হয় ১৯ শতকের শেষের দিকে এবং ২০ শতকের শুরুতে ঔপনেবেশিক যুগে। নাইজেরিয় ছায়াছবির ইতিহাস এবং এর উন্নয়ন সময়কালকে সাধারণত চারটি যুগে শ্রেণিবিভাগ করা হয়ঃ ঔপনিবেশিক যুগ, স্বর্ণ যুগ, ভিডিও ফিল্ম যুগ এবং বর্তমানের নতুন নাইজেরিয় চলচ্চিত্র।[৮]
নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র | |
---|---|
সিনেমা পর্দার সংখ্যা | ১৩০ (২০১৫)[১] |
• प्रति व्यक्ति | প্রতি ১০০,০০০ এ ০.১ (২০১১)[২] |
প্রধান চলচ্চিত্র-পরিবেশক | ফিল্মওয়ান ডিস্ট্রিবিউশনস ৪৫.০% সিলভারবার্ড ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউশন ২০.০% ব্লু পিকচার্স ৫.০%[৩] |
নির্মিত কাল্পনিক চলচ্চিত্র (২০১১)[৪] | |
মোট | ৯৯৭ |
মোট খরচ (২০১০)[৫] | |
মোট | ৪৬০,০৮৩ |
মোট আয় (২০১৩)[৭] | |
মোট | NG₦126 বিলিয়ন (US$৮০০ মিলিয়ন)[৬] |
নাইজেরিয়াতে কাইনেটোস্কোপের আকারে চলচ্চিত্র আসে ১৯শতকের শেষে।[৯] ২০শতকের শুরুতে এগুলোর পরিবর্তে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী যন্ত্র ব্যবহার শুরু হয়, প্রথম চলচ্চিত্রটি লাগোসে গ্লোভার মেমোরিয়াল হলে ১৯০৩সালের ১২-২২আগস্ট প্রদর্শন করা হয়।[৮][১০] ১৯২৬সালে নাইজেরিয়ার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র ছিল জিয়োফ্রে বার্কাসের প্রযোজনায় পালাভের; এই সিনেমাতেই প্রথম নাইজেরিয় অভিনেতাদের কথা বলতে দেখা যায়।[১১][১২] ১৯৫৪ সালে, নাইজেরিয়াতে ভ্যানে করে ৩.৫মিলিয়ন লোকদের মাঝে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়, আর নাইজেরিয় ফিল্ম ইউনিটের প্রযোজনায় ৪৪টি ছবিঘরে ফ্রিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সম্পূর্ণ নাইজেরিয় ফিল্ম ইউনিটের অধীনে প্রথম চলচ্চিত্র ছিল স্যাম জেব্বার ফিঞ্চো (১৯৫৭); এটিই প্রথম রঙিন নাইজেরিয় চলচ্চিত্র।[১৩]
১৯৬০ সালে নাইজেরিয়ার স্বাধিনতার পরে, নতুন ছবিঘর গড়ে উঠলে চলচ্চিত্র ব্যবসা আরও বড় হয়।[১৪] এর কারণে, ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ এ হলগুলোতে নাইজেরিয় সিনেমার পরিমাণ বেড়ে যায়, বিশেষ করে পশ্চিমা নাইজেরিয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন হুবার্ট অগুন্ডে এবং মোসেস ওলাইয়া বড় পর্দায় পরিবর্তিত হয়।[১৫][১৬] ১৯৭২ সালে, ইয়াকুবু গয়োন একটি আদেশ জারি করেন, যেখানে ৩০০টি সিনেমা হলের মালিকানা বিদেশিদের কাছ থেকে নাইজেরিয়দের মাঝে হস্তান্তরের কথা বলা হয়, এতে সিনেমা এবং চলচ্চিত্রে নাইজেরিয়দের ভূমিকা বৃদ্ধি পায়।[১৭] ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত ওয়েল বুমও নাইজেরিয়াতে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নাইজেরিয়ার নাগরিকরা সিনেমা হলে এবং টেলিভিশন সেটে টাকা খরচের মতো যথেষ্ট টাকা আয় করে।[১৫] কিছু সাধারণ চলচ্চিত্রের পরে, ওয়ালে এডেনুগার পাপা আজাস্কো (১৯৮৪) প্রথম ব্লকবাস্টার হয়, এটি প্রায় ₦৬১,০০০ (২০১৫ তে ₦২১,৫৫২,৬৭৩) তিন দিনে আয় করে। এক বছর পরে, মোসেস ওলয়াইয়ার মোসেবোলাটান (১৯৮৫) ₦১০৭,০০০ (২০১৫সালে ₦৪৪,১৮০,৪৯৯) ৫দিনে আয় করে।[১৮]
স্বর্ণ যুগের পতনের পরে, নাইজেরিয় চলচ্চিত্র শিল্প উন্নতির দেখা পয় ১৯৯০ এর দিকে, যখন মূলত ডিরেক্ট-টু-ভিডিও চলচ্চিত্র লিবিং ইন বন্ডেজ (১৯৯২) মুক্তি পায়; বার্ষিক চলচ্চিত্র প্রযোজনার হিসাবে ২০০০ এর মধ্যে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্র শিল্পে পরিণত হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের আগে চলে যায় এবং শুধুমাত্র ভারতের পেছনে রয়ে যায়।[১৯] আফ্রিকান উপমহাদেশের পর্দাগুলোতে এটি আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে, তাছাড়া ক্যারিবিয়ান এবং দেশান্তরদের মাঝে,[২০] সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে এসকল সিনেমা[২১] এবং অভিনেতাদের কারণে তাদের নাম উপমাহাদেশ জুড়ে পারিবারিক নামে পরিণত হয়েছে। এই ব্যাপক প্রচলনের কারণে বিভিন্ন দেশে নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা তৈরি হয়, যা "নাইজেরিয়ালাইজেশন অফ আফ্রিকা" নামক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।[২২][২৩]
মধ্য ২০০০ এর পর থেকে, ভিডিও-ফিল্ম যুগের পতনের সময়, মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র এবং চলচ্চিত্রে পেশাদারিত্ব আনতে নাইজেরিয়া কিছু বাধার মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে ছিল ২০০৯ এর দ্যা ফিগারিন যা সমসাময়িক নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের জন্য একটি নতুন মোড় ছিল। তারপরে পুনরায় সিনেমার উন্ময়ন ঘটে, এবং ধীরে ধীরে নাইজেরিয়াতে সিনেমা সংস্কৃতি ফিরে আসে।[৮][২৪] ২০১৩ সালে, আয় এবং মূল্যের হিসেবে, নাইজেরিয় চলচ্চিত্র পৃথিবীর তৃতীয় দামী চলচ্চিত্র শিল্প ছিল।[২৫]
ইতিহাস
সম্পাদনাচলচ্চিত্রের ইতিহাস যখন শুরু হয় তখনই নাইজেরিয়ায় চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়; বিশেষ করে ১৯শতকের শেষে যখন কাইনেটোস্কোপের ব্যবহার শুরু হয়।[৯] ২০শতকের শুরুতে এগুলোকে উন্নত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী যন্ত্র দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়; নাইজেরিয় নাট্যশালায় প্রথম দেখানো হয় পশ্চিমা চলচ্চিত্র, প্রথম চলচ্চিত্র লাগোসে গ্লোভার মেমোরিয়াল হলে ১৯০৩ সালের ১২-২২ আগস্ট প্রদর্শন করা হয়।[৮][২৬] ঐ বছর, হার্বার্ট ম্যাকাউলিকে নাইজেরিয়াতে আমন্ত্রিত করা হয়, স্পেনের বালবোয়া এন্ড কোম্পানিকে আমন্ত্রণ করা হয় নাইজেরিয়াতে একটি নির্বাক চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী আয়োজন করার জন্য।[২৬][২৭]
যদিও মি.বালবোয়া লাগোসে তার প্রদর্শনী বন্ধ করে দেন, যেখানে তিনি অন্যান্য পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে চলচ্চিত্র দেখাতে থাকেন, তার প্রদর্শনীর সফলতার জন্য ইউরোপীয় ব্যবসায়ী স্ট্যানলি জোন্স তার সাথে যুক্ত হন ঐ একই গ্লোভার মেমোরিয়াল হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করার জন্য, যা শুরু হয় ১৯০৩ সালের নভেম্বরে। এটির কারণে আরও অধিক ইউরোপিয় চলচ্চিত্র প্রদর্শক নাইজেরিয়াতে আসেন।[২৬][২৭] তার যুগে প্রথম সফলতা আসে ১৯০৪ সালের ৩ আগস্ট, যখন এলেক অফ এগবা এর ইংল্যান্ডে যাত্রার উপর তথ্যচিত্র পর্দায়িত করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ঔপনিবেশিক (১৯শতকের শেষ থেকে - ১৯৬০এর শুরু)
সম্পাদনাঔপনিবেশিক চলচ্চিত্র নির্মাতারা নাইজেরিয়ার ভেতর আঞ্চলিক দর্শকদের জন্য চলচ্চিত্র প্রযোজনা শুরু করেন ১৯২০এর দিকে, প্রদর্শনীতে দেখানো হতো মোবাইল সিনেমা;[২৮] শুরুর দিকের ফিচার ফিল্ম হলো ১৯২৬ সালের পালাভের যা প্রযোজনা করেছেন জিওফ্রে বার্কাস। এই চলচ্চিত্রেই প্রথম নাইজেরিয় অভিনেতাদের কথা বলতে দেখা যায়।[১১][১২] ১৯২১সালে, সপ্তাহে দুইদিন দেখায় এমন চারটি হল ছিল লাগোস মেইনল্যান্ডে এবং এবুটে মেটা ও ওশোধিতে একটি করে হল ছিল। এই সময়ে, সিনেমা লাগোসের যুবক এবং বয়স্ক লোকদের মাঝে সিনেমা জনপ্রিয় হয় যারা হলের দরজায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করতো। সিনেমার সংস্কৃতি তৈরিতে ধর্মও সাহায্য করে কারণ খ্রীষ্টান ধর্মপ্রচারকরা ধর্ম প্রচারে সিনেমা ব্যবহার করতো।[২৬]
শুরুর দিকের ফিচার ফিল্ম হলো ১৯২৬এর পালাভের যা প্রযোজনা করেছেন জিওফ্রে বার্কাস। এই চলচ্চিত্রেই প্রথম নাইজেরিয় অভিনেতাদের কথা বলতে দেখা যায়; পালাভের সিনেমায় ছিল দাইয়িয়া এবং ইলকুবা নাইজেরিয় অভিনেতারা। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছিল সোরা এবং অঙ্গাস (বর্তমানে উত্তর নাইজেরিয়ার বাউচি) এবং প্লাটেউ স্টেটস মানুষদের মাঝে, এটি ব্রিটিশ ডিস্ট্রিক অফিসার এবং একজন টিন খননকারীর ঘটনাকে বর্ণনা করে যেটি যুদ্ধে রূপ নেয়।[১১][১২] এই যুগে নাইজেরিয়াতে আরও কিছু সিনেমার সেট ছিল, যাদের মাঝে একটি উল্লেখযোগ্য হলো ১৯৩৫সালের জোলতান কর্ডার স্যান্ডার্স অব দ্যা রিবার, যাতে নাইজেরিয় অভিনেতা ওরলান্ডো মার্টিনস রয়েছেন। মার্টিনসকে আরও উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে দেখা যায়,যার মাঝে রয়েছে দ্যা ম্যান ফ্রম মরক্কো (১৯৪৫), ম্যান অব টু ওয়ার্ল্ডস (১৯৪৬) এবং আরও অনেক, আর এটি সেসময় নাইজেরিয় অভিনেতা হিসেবে মার্টিনসকে পরিচিত করে।[৮][২৯]
তখনকার উন্নয়নশীল শহর লাগোসে সিনেমা সামাজিক জীবনে একটি সাধারণ বিষয় হয়ে যাওয়ার কারণে, ১৯৩০ থেকে ১৯৪০সাল জুড়ে বড় বাণিজ্যিক সিনেমা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয় যেগুলোর শাখা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছিল। প্রথম দিকের লাগোসে সিনেমা অপারেটরগুলোর একটি হলো "ওয়েস্ট আফ্রিকান পিকচার্স কোম্পানি" যার মালিক মি. এস. খলিল, যিনি লাগোসে সিরিয় সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। তিনি এবুতে মেতাতে রেক্স সিনেমা, রিগেল সিনেমা এবং রয়েল সিনেমা প্রতিষ্ঠা করেন। অন্যান্য জনপ্রিয় সিনেমা প্রতিষ্ঠান হলো: ক্যাপিটোল সিনেমা, ক্যাসিনো সিনেমা, কিংস সিনেমা, সেন্ট্রাল সিনেমা, রুয়াল্টো সিনেমা, করোনা সিনেমা, ওডিয়ন সিনেমা, রোড হাউজ সিনেমা, ইকেজা আর্মস সিনেমা এবং গ্লোভার হল। ১৯৩৭সালে, ঐ এলাকার সিনেমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এবং প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে নানা সমস্যা সমাধানের জন্য আঞ্চলিক সরকার সেন্সরশিপ বোর্ড প্রতিষ্ঠা করে।[২৬] এই সময়ে নাইজেরিয় ছবিঘরগুলোতে দেখানো ও বানানো চলচ্চিত্রে যে নাইজেরিয় বিষয় দেখানো হতো তা কাল্পনিক ও অস্তিত্বহী ছিল কারণ এগুলো বিদেশিরা প্রযোজনা এবং প্রচার করতো। ইয়োরুবা নাট্যদল মোশন পিকচার এন্টারটেইনমেন্ট গঠন করে, যেটি ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত থাকে; বিশেষ নাট্যদল হলো আগবেগিজো এবং আলারিঞ্জো নাট্যদল, যাদের দলে অন্যান্যদের মাঝে ছিলেন দুরো লাদিপো, ইচোলা অগুনমোলা, লেরে পাইমো এবং অয়িন আদেজবির মতো নাট্য অভিনেতা।[১৫][১৭]
১৯৪৯ থেকে ১৯৫০ জুড়ে, রাজ্যের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে; সাথে ছবিঘরে অনেক নাইজেরিয় চলচ্চিত্র দেখানো হতে থাকে, আর "আফ্রিকানিজ" চলচ্চিত্র প্রযোজনার প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হয়,[১৫][২৮] ঔপনিবেশিক চলচ্চিত্র প্রযোজনা বিকেন্দ্রিভূত করতে নাইজেরিয় চলচ্চিত্র ইউনিট প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ঔপনিবেশিক চলচ্চিত্র ইউনিট, পুরো দশক জুড়ে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক চলচ্চিত্র স্থানীয় দর্শকের মাঝে চলমান সিনেমা ভ্যান দিয়ে প্রদর্শন করা হয়। এটা আরও সংবাদচিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রযোজনা করেছে, স্থানীয় ও বিদেশি দর্শকদের মাঝে ঔপনিবেশিক অর্জন উদযাপনের জন্য।[২৮]
স্বর্ণ যুগ (১৯৫০এর শেষ - ১৯৮০এর শেষ)
সম্পাদনা১৯৬০সালে নাইজেরিয়ার স্বাধীনতার পরে, নতুন সিনেমা ঘর তৈরি হলে, সিনেমা ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে।[৩০] যদিও, আমেরিকা, ভারতীয়, চীনা এবং জাপানিজ চলচ্চিত্রের প্রচুর আগমন ঘটে; এই দেশগুলোর চলচ্চিত্রের পোস্টারগুলো সকল হলজুড়ে ছিল এবং এই ইন্ডাস্ট্রিগুলোর অভিনেতারা নাইজেরিয়ায় পরিচিত হয়ে যায়। ১৯৬০এর শেষে এবং ১৯৭০এর সময় নাইজেরিয়ার মুভি হাউজ গুলোতে চলচ্চিত্র প্রযোজনার সংখ্যা, বাড়তে থাকে, বিশেষ করে পশ্চিমা নাইজেরিয়ার প্রযোজনা, যারা হুবার্ট ওগুন্ডে, ওলা বালোগুন, মোসেস ওলাইয়া, জাব আদু, আইসোলা অগুনসোলা, লাদি লাদেবো, সানিয়া দোসুমু এবং সাদিক বালেওয়ার মতো হলের মালিক ছিল তারা তাদের পর্দাকে আরও বড় করে।[১৫][১৬] প্রথম সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক নাইজেরিয় চলচ্চিত্র যা সেলুলোয়েডে চিত্রায়িত করা হয়, সেটিও এই চলচ্চিত্র নির্মাতারা ১৯৬০সালে নির্মাণ করেন।[৩১]
১৯৭২সালে, নাইজেরিয়াতে বিদেশি সংস্কৃতির আগমনে চিন্তিত হয়ে, তখনকার রাজ্য প্রধান ইয়াকুবু গোয়ুন জাতীয় আদেশ জারি করেন, যেখানে সেই দেশে ৩০০টি হলের মালিকানা বিদেশি মালিকদের থেকে নাইজেরিয় মালিকদের কাছে হস্তান্তরের কথা বলা হয়। এই চুক্তির কারণে, আরও বেশি নাইজেরিয় লোক চলচ্চিত্রের উন্ময়নে যুক্ত হয়। এই পরিবর্তনের ফলে নাইজেরিয় স্কিনলেখন, নাট্যলেখক এবং চলচ্চিত্র প্রযোজকের উত্থান ঘটে; জনপ্রিয় সাহিত্য এবং নাট্যশালা মোশন পিকচারের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৭] ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৮সালের ওয়েল বুম নাইজেরিয়াতে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ব্যাপক সাহায্য করে। বিদেশি বিনিয়োগের দ্বারা অনেকটি সিনেমা কমপ্লেক্স গড়ে উঠে। ১৯৭৬সালে, ৫০০০জন ধারনক্ষম ইগানমু, জাতীয় শিল্পশালা লাগোসে নির্মান করা হয়। শিল্পশালাতে দুটি সিনেমা চলত, যাদের প্রত্যেকটি ৭০০জন ধারণক্ষম।[৩২] এই সময় সিনেমার ব্যবসা অনেক লোকের জন্য পেশা এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়, কারণ নািজেরিয়রা চিত্ত ও বিনোদনের জন্য সিনেমা হলে যেত।[৩৩] নাইজেরিয় নাগরিকদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে বেশিরভাগ নাগরিক সিনেমা এবং হোম টেলিভিশন সেটে খরচ করার মতো যথেষ্ট টাকা আয় করতো।[১৫]
নাইজেরিয়াতে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয় ১৯৬০সালে এবং এর প্রথম বছরে সরকারের অনেক সাহায্য পায়। ১৯৮০সালের মাঝে প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব সম্প্রচার মাধ্যম ছিল। আইন করে টেলিভিশনে বিদেশি অনুষ্ঠানের প্রচার সীমিত করা হয়, ফলে লাগোসের প্রযোজকরা স্থানীয় জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে। এগুলোর অনেকটি ভিডিও হিসেবে প্রচারিত হয় এবং সামান্য পরিমাণে ভিডিও চলচ্চিত্র ব্যবসার উন্নতি হয়।[১৫] ১৯৮০এর শেষে, চলচ্চিত্রের সংস্কৃতিতে মন্দা দেখা দেয়, আর বেশিরভাগ চলচ্চিত্র প্রযোজক টেলিভিশনের প্রযোজনায় চলে যান। স্বর্ণ যুগে নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের মন্দার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে হলো নাইরাদের গুরুত্ব কমে যাওয়া, অর্থনৈতিক এবং বাজারজাতে সাহায্য কমে যাওয়া, সাধারণ চলচ্চিত্রের স্টুডিও এবং প্রযোজনার জিনিসপত্র হ্রাস পাওয়া, মিলিটারি আক্রমণের জন্য সরকারের গাঠনিক পরিবর্তনের নানা কার্যক্রম, এমনকি অনাভিজ্ঞতা। সিনেমায় চরম মন্দা দেখা দিলে পূর্বের সিনেমা হলগুলো ধর্মীয় কাজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায় এবং কিছু চার্চে পরিণত হয়; অন্যান্যগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯০সালের শুরুতে, শুধু কিছু বড় সিনেমা হলগুলো কার্যক্রম চালু রাখে, এবং অন্যান্য সকল হল ১৯৯৯সালের পূর্বে বিনষ্ট হয়ে যায়।[৩৩][৩৪]
ঘরোয়া ভিডিওর সফলতা (১৯৮০এর শেষ - ২০১০এর মধ্য)
সম্পাদনানাইজেরিয়াতে ভিডিও ফিল্ম মার্কেটের উদ্ভব হয় ১৯৮০এর দিকে যখন টেলিভিশন প্রযোজনা উন্নতি লাভ করে। জিমি ওদুমসুর এভিল এনকাউন্টার, ১৯৮০এর একটি ভৌতিক চলচ্চিত্র সরাসরি টেলিভিশন মুক্তি দেয়া হয়, এটই প্রথম প্রযোজনা যা নির্দেশ করেছে কীভাবে ভিডিওতে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে লাভজনক হওয়া যায়। এই চলচ্চিত্রটি টেলিভিশনে সম্পচারের পূর্বে প্রচুর প্রচারণা করা হয়, আর এই জন্যে, পরবর্তী সকালে রেকর্ড করা সম্প্রচারের ভিডিও কপিগুলো দিয়ে রাস্তা ভরে যায়। বলা হয় এই চলচ্চিত্রটি আলাবা বাজারে সাফল্য পেয়েছিল, যেটি হলো একটি বাণিজ্যিক জেলা যা পরবর্তীতে ভিডিও বিতরণের জায়গায় পরিণত হয় এবং এটি ধীরে ধীরে নাইজেরিয়াতে পাইরেসির হাবেও পরিণত হয়। এভিল এনকাউন্টার এর পরে, এটি সাধারণ হয়ে যায়, বিশেষ করে দক্ষিণা নাইজেরিয় শহরে রেকর্ড করা টেলিভিশন অনুষ্ঠানের ভিডিও কপি রাস্তাশ বিক্রি করা হয়।[১৫]
এই পদ্ধতিটি আলাবা বাজারে প্রযোজকরা এবং বিতরকরা গ্রহণ করে নিয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পটিকে পুনরায় গঠনের জন্য, কারণ নাইজেরিয় সিনেমায় মন্দা দেখা দিয়েছিল। নাইজেরিয়ায় ভিডিওতে প্রযোজনা করা প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ১৯৮৮সালের সোসো মেজি, যা প্রযোজনা করেন আদে আজিবোয়ে। সেসময় চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন হলেও প্রদর্শন করা হয়। এভাবে, আলাদে আরোমির ভিডিওতে একুন (১৯৮৯) প্রযোজনা করেন, যা ইগানমু জাতীয় নাট্যশালায় প্রদর্শিত হয়।[৮][৩৫] যদিও, মনে করা হয় এই যুগের যে সফলতা হয় তা শুরু হয় ১৯৯২সালে কেনেথ নেবুর লিবিং ইন বন্ডেজ এর মাধ্যমে। নেবু অতিরিক্ত পরিমাণে ভিডিও ক্যাসেট আমদানি করেছিলেন যেগুলো তিনি পরে ভিডিও ক্যামেরাতে চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যবহার করেন।[৩৬] যদিও লিবিং ইন বন্ডেজকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক ভিডিও চলচ্চিত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন ভিডিও চলচ্চিত্র শিল্প লিবিং ইন বন্ডেজ এর পূর্বে থেকেই সফল ছিল।[২৭]
২০০৪সালে, নাইজেরিয়াতে প্রতিদিন ৪-৫টি চলচ্চিত্র নির্মিত হতো। নাইজেরিয়া চলচ্চিত্র ইতিমধ্যেই আফ্রিকান মাহাদেশের টেলিভিশন পর্দায় আধিপত্য বিস্তার করে, এবং তার বাইরল দেশান্তরদের মাঝে।[২০] চলচ্চিত্র অভিনেতারা মহাদেশের পারিবারিক নামে পরিণত হয়, এবং এই সিনেমাগুলো আফ্রিকার অনেক দেশের সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলেছে; পোশাক পড়া থেকে শুরু করে কথা বলা এবং নাইজেরিয়ার গালি পর্যন্ত।[২১] নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্রে ব্যবহারিক কাহিনী ছিল, যার কারণে ভিডিও স্টোরে বিদেশি চলচ্চিত্রগুলোতে ধুলো জমে যেত যদিও সেগুলোর দাম অনেক কম ছিল।[৩৭]
ফিল্মমেকারস কোঅপারেটিভ অফ নাইজেরিয়া এর মতে, নাইজেরিয়ার প্রতিটি চলচ্চিত্রের নাইজেরিয়াতে ১৫মিলিয়ন দর্শক এবং নাইজেরিয়ার বাইরে ৫মিলিয়ন দর্শক রয়েছে। কিছু সময়েই, এটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ চলচ্চিত্রের প্রযোজকে পরিণত হয়।[৩৮] যদিও, পৃথিবীর অন্যান্য বড় চলচ্চিত্রের সংগঠনের ভিত্তিতে এটি প্রতক্ষভাবে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র শিল্প নয়; এই শিল্প প্রতিষ্ঠানের মূল্য মাত্র $২৫০মিলিয়ন, কারণ বেশিরভাগ চলচ্চিত্র খুব কম টাকায় বানানো হয়। চলচ্চিত্র শিল্প নাইজেরিয়াতে একটি বড় কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২০০৭সালে, ৬,৮৪১টি রেজিস্ট্রার করা ভিডিও দোকান এবং প্রায় ৫০০,০০০টি রেজিস্ট্রার বিহীন ভিডিওর দোকান ছিল, লাগোস রাজ্যে সিনেমা বিক্রি এবং ভাড়া দিয়ে প্রতি সপ্তাহে ₦৮০৪মিলিয়ন (US$৫মিলিয়ন) আয় করতো, যা বার্ষিকভাবে ₦৩৩.৫বিলিয়ন ($২০৯মিলিয়ন) লাগোস রাজ্য থেকে আয় হতো। প্রায় ৭০০,০০০ডিস্ক আলাবা বাজারে প্রতিদিন বিক্রি হতো, যেখানে নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র শিল্প থেকে প্রতি বছর ₦৫২২বিলিয়ন ($৩বিলিয়ন) আয় হতো, আবার সম্প্রচারের মাধ্যমে আয় হতে ₦২৫০বিলিয়ন ($১.৬বিলিয়ন)।[৮][১৭][২০][৩৯]
২০০৮সালের ভিডিও যুগ গঠনের সময়, এই শিল্পটি চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় বৃহৎ প্রযোজকে পরিণত হয়,[৪০] যা প্রতি মাসে ২০০টি ভিডিও চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়। যদিও এসময়, নাইজেরিয় চলচ্চিত্র শিল্প একটি স্বপনহীন শিল্পে পরিণত হয়েছিল, কারণ চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কে জানেনা এমন অনেক লোক এই শিল্পে যুক্ত হয়েছিল এবং পাইরেসি এসময় বেড়ে যায়।[৪১][৪২] অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি, পাইরেসির সাথে মোকাবেলা করা খুব কঠিন হয়ে যায়; এর কারণে, "আলাবা কার্টেল" এর বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা, যারা ভিডিও শিল্পের ৯০ ভাগ অংশকে নিয়ন্ত্রণ করতো, তারা অন্যান্য ব্যবসায় নিয়োগ করতো। ঘরোয়া ভিডিও যুগের পতনের বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন সরকারের সাহায্য এবং অর্থ প্রদানে অস্বীকার করা, আনুষ্ঠানিক এবং কার্যকরী চলচ্চিত্র বিতরণের অভাব এবং নাইজেরিয়াতে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় খরচ বৃদ্ধি পাওয়া।[৪৩]
নতুন নাইজেরিয় সিনেমা (২০০০এর মধ্য - বর্তমান)
সম্পাদনাএটি নাইজেরিয় সিনেমার জন্য একটি উদীয়মান ধাপ, এই ধাপে চলচ্চিত্র প্রযোজনা পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়, ভিডিও ফরম্যাট থেকে সিনেমা ফরম্যাটে আনা হয় যা স্বর্ণ যুগে প্রযোজনা করা হতো। ২১শতকে, নাইজেরিয়াতে চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হয়, যা মূলত মধ্য ও উচ্চবিত্তদের জন্য গঠন করা হয়। সিলভারবার্ড গ্রুপই প্রথম কোম্পানি যেটি নাইজেরিয়াতে আধুনিক সিনেমা হাউজের একটি সিরিজ উন্মোচন করে, এগুলো সাধারণত সমৃদ্ধশালী এলাকা ও জেলায় ছিল।[১৫][৩৪] এটি তার সিনেমা শ্রেণী ২০০৪সালে মুক্তি দেয়, যা ভিকটোরিয়া,লাগোসে সিলভারবার্ড গ্যালরিয়া থেকে শুরু হয়। সিলভারবার্ড গ্যালেরিয়া একটি বড় শপিং মল, যাতে উন্নতমানের সিনেমার সুবিধা এবং বিভিন্ন দোকান আছে যেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম হয়। এই কারণে এখানে যাওয়ার জন্য চলচ্চিত্র দেখার পাশাপাশি আরও কারণ রয়েছে, বরং এটি চলচ্চিত্র দেখার বাইরে একটি সামাজিক কার্যক্রম এবং বিনোদনের একটি মাধ্যম। এই প্রবণতাটি ১৯৮০সালে নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের মৃত্যুর একটি কারণ, যেটি স্বর্ণ যুগের বেশিরভাগ ছবিঘরের প্রচলিত নিয়মের বাইরে যাওয়ার ফলে হয়েছে।[৩৪]
প্রতিষ্ঠার পরে সিলভারবার্ড ছবিঘর খারাপ চলচ্চিত্র প্রযোজনা থেকে নিরৎসাহিত হয়ে উন্নতমানের প্রযোজনায় নাইজেরিয় চলচ্চিত্র দেখানো শুরু করে। ছবিঘরে দেখানো প্রথম নতুন ধারার চলচ্চিত্র ছিল ইয়োরুবা ভাষার কুনলে আফোলায়ানের ইরাপাদা (২০০৬), যেটি লাগোসের সিলভারবার্ড গ্যালেরিয়াতে প্রদর্শিত হয়। সিলভারবার্ডের এই পরীক্ষা ব্যাপক সফল হয়, তাই এই দল লাগোস এবং দেশের বিভিন্ন শহরে আরও ছবিঘরের শাখা খোলে। সিলভারবার্ড ছবিঘরের কিছুদিন পরেই, জেনেসিস ডিলাক্স এবং ওজোন ছবিঘর মুক্তি দেয়া হয় যা চলচ্চিত্র ব্যবসায় প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে। আরও পরে, ২০১০সালে, ফিলমহাউজ ছবিঘর চলচ্চিত্রে আসে, যাদের দেশজুড়ে সবচেয়ে বেশি ছবিঘর ছিল, বিশেষ করে সম্পদশালী প্রতিবেশিদের বাইরে।[৪৪]
নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের মান বজায় রাখতে, নাইজেরিয় সরকার নানা অনুদান করে। ২০০৬সালে, নাইজেরিয় সরকার ইকোব্যাংকের সাথে মিলে "প্রজেক্ট নলিউড" উন্মোচন করে। এই প্রকল্প উন্নতমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ₦১০০ মিলিয়ন ($৭৮১,০০০) প্রদান করে এবং এসময় সারাদেশ জুড়ে কয়েক মিলিয়ন নাইরা বিতরণ করা হয়।[৩৯] ২০১০সালে, গুডলাক জোনাথন রাষ্ট্রপতির প্রশাসক ₦৩০বিলিয়ন ($২০০মিলিয়ন) "ক্রিয়েটিভ এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি" তহবিল উন্মোচন করে, যাকে অর্থ দেয় নাইজেরিয় এক্সপোর্ট এন্ড ইম্পোর্ট (এনইএক্সআইএম) ব্যাংকের সাথে মিলে ব্যাংক অব ইন্ডাস্ট্রি (বিওআই)। এই অনুদান যদিও "প্রজেক্ট নলিউড" এর সহায়তা করে, কিন্তু এটি মূলত সম্পূর্ণ নাইজেরিয় সৃজনশীল এং বিনোদনমূলক শিল্প ক্ষাতের জন্য ছিল। এই চলচ্চিত্র শিল্পের অনুদানের লক্ষ্য ছিল অধিক নাইজেরিয় চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রশিক্ষিত করা, টাকার যোগান দেওয়া এবং শিল্পের প্রয়োজনীয় সৃজনশীল কাঠামো গঠনেও সাহায্য করে।[৪৫][৪৬] ২০১৩সালে, ₦৩ বিলিয়ন ($২০ মিলিয়ন) এর একটি ছোট অনুদান শুধু নলিউডের জন্য দেওয়া হয় এবং বিশেষ করে উন্নত মানের চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য আর চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলচ্চিত্র স্কুলে প্রশিক্ষণ নিতে সাহায্য করার জন্য।[৪৭][৪৮] আবার ২০১৫সালে, ব্যাংক অব ইন্ডাস্ট্রি চলচ্চিত্র প্রযোজকদেরকে লোন হিসেবে আর্থিক সাহায্য করতে "নলিফান্ড" প্রোগ্রাম উন্মোচন করে।[৪৯][৫০]
২০০৯সালের রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র "দ্যা ফিগারিন" কে পরিবর্তক হিসেবে ধরা হয়, যা "নতুন নাইজেরিয় সিনেমা" বিপ্লবকে সংবাদ মাধ্যমের মনোযগে আনে। এই চলচ্চিত্রটি নাইজেরিয়াতে বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিল, আর আন্তর্জাতিক নানা চলচ্চিত্র উৎসবেও এটি প্রদর্শিত হয়।[৪১] ২০১০সালের চাইনিজ আওয়ানের চলচ্চিত্র ইয়ে দ্যা ফিগারিনকে পেছনে ফেলে নাইজেরিয়াতে সর্বোচ্চ আয়ের চলচ্চিত্র হয়ে যায়; এটি চার বছরের জন্য রেকর্ডকে ধরে রাখে, ২০১৪সালে এই রেকর্ড নেয় হাফ অফ এ ইয়েলো সান (২০১৩) চলচ্চিত্র।[২৪][৫১] ২০১৬সালে, দ্যা ওয়েডিং পার্টি এই রেকর্ড করে, এটি হলো কেমি আদেতিবার চলচ্চিত্র।
২০১৩সালের শেষে, এই চলচ্চিত্র শিল্প ₦১.৭২ট্রিলিয়ন ($১১বিলিয়ন) অর্থ দিয়ে সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে। ২০১৪সালে, এই শিল্পের মূল্য ছিল ₦৮৫৩.৯ বিলিয়ন ($৫.১ বিলিয়ন) যা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী চলচ্চিত্র শিল্প। এটি নাইজেরিয়ার অর্থনীতিতে ১.৪%অবদান রাখে; এটি বাড়ার কারণ উন্নতমানের চলচ্চিত্র প্রযোজনা এবং আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্র বিতরণ করা।[৫২][৫৩]
হোম ভিডিও যুগের বিপরীতে, নতুন ধারা চলচ্চিত্র বড় বাজেটের আরও উন্নতমানের;[৫৪] যার গড়ে ₦৪০ মিলিয়ন ($২৫০,০০০) এবং ₦১২০ মিলিয়ন ($৭৫০,০০০) এর মাঝে। এই চলচ্চিত্র নির্মাণে কয়েক মাস এবং সালও লেগে যায়, এটি ভিডিও ফরম্যাটের চলচ্চিত্র থেকে সম্পূরৃণ আলাদা যেগুলো নির্মাণে কয়েকদিন বা সপ্তাহ লাগতো। নতুন নলিউডে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে: অভিনেতাদের আরও সূক্ষ্ম অভিনয়; যা ভিডিও যুগের গীতিনাটক থেকে ভিন্ন, অধিক ব্যবহারিক, যুক্তিসংগত এবং ভালো কাহিনী।[৫৫][৫৬] এই চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুগুলো মূলত অসাম্প্রদায়িক ছিল, কারণ বেশিরভাগ চলচ্চিত্র নির্মাতারা যুবক ছিলেন।[৫৭] সঠিক কপিরাইট এবং বিতরণ ব্যবস্থা নতুন নাইজেরিয় সিনেমায় সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল।[৪২][৫৮][৫৯]
জনপ্রিয়তা এবং আবেদন
সম্পাদনা২০০৯সালে, উৎপাদনের হিসেবে ইউনেস্কো ভারতীয় চলচ্চিত্রের পরে নলিউডকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করে।[৬০]
আফ্রিকা
সম্পাদনা২০০০শতক থেকে, নাইজেরিয় চলচ্চিত্র আফ্রিকা মহাদেশে এবং বাইরে অভিবাসীদের টেলিভিশন পর্দায় আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে।[৮][২০] চলচ্চিত্র অভিনেতারাও মহাদেশ জুড়ে পারিবারিক নামে পরিণত হয়েছে,[৮] আর চলচ্চিত্রগুলো আফ্রিকান জাতিদের সংস্কৃতিতে খুব প্রভাব বিস্তার করে; কাপড় পরিধান থেকে কথা বলা এবং নাইজেরিয় গালি ব্যবহারের।[২১] নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের কাহিণী খুবই যুক্তিসংগত হয়, যার কারণে ভিডিওর দোকানগুলোতে বিদেশি চলচ্চিত্র বিক্রি হয় না, যদিও সেগুলোর দাম অনেক কম। [৬১]
এই ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন দেশে নাইজেরিয় চলচ্চিত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে; উদাহরণ হিসেবে, বিভিন্ন প্রতিবেদন হতে জানা যায় ঘানার কিছু দোকান যেখানে নাইজেরিয় চলচ্চিত্র বিক্রি হচ্ছিল সেখানে পুলিশ হানা দেয়; তাদের মতে, "নাইজেরিয় চলচ্চিত্র দ্বারা আধিপত্য বিস্তার বন্ধে তারা কঠোর চেষ্টা করছে"।[২১][২২] অন্যান্য আরও সরকারও রক্ষনশীল নিয়ম তৈরি করে, যাদের মাঝে একটি হলো যারা তাদের দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চায় সেসকল প্রযোজক দলকে অতিরিক্ত কিছু কর দিতে হবে। জুলাই ২০১০সালে, ঘানা নাইজেরিয় অভিনেতাদের কাছ থেকে ১,০০০ডলার এবং প্রযোজক ও পরিচালকদের কাছ থেকে ৫,০০০ডলার দাবি করে।[২০][২৩] কঙ্গো রাষ্ট্রও নাইজেরিয় চলচ্চিত্রকে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিল। নাইজারের শিল্পের একজন শ্রেষ্ঠ শিল্পী জিন রাউচ নলিউডকে এইডসের সাথে তুলনা করেছেন। তািনি বলেন আফ্রিকাতে "নাইজেরিয়ানিজাইশন" দেখা দিয়েছে, তিনি চিন্তিত হয়ে বলেন পুরো মহাদেশ এখন "নাইজেরিয়াদের মতো তুরি বাজাবে"।[২০]
ইউরোপ
সম্পাদনানাইজেরিয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অনেক অনুসারি রয়েছে ইউরোপের আফ্রিকান অভিবাসী সম্প্রদায়ে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে।[৬২][৬৩]
ঘানার অভিনেতাদের আগমন
সম্পাদনা২০০৬ থেকে ২০০৭সালের মাঝে, নাইজেরিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ফ্যান্ক রাজাহ আনাস ঘানার একটি প্রযোজক প্রতিষ্ঠান ভেনাস ফিল্মস এর সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন, এখানে ঘানার অভিনেতাদের নলিউডে পরিচয় করার কথা বলা হয়। এই মিলনের কারণে কিছু ঘানার অভিনেতা অনেক জনপ্রিয়তা পান, যেমন ভ্যান ভিকার, জ্যাকি আপিয়াহ, মজিদ মাইকেল, ইয়োন্নে নেলসন, জন ডুমেলো, নাদিয়া বুয়ারি এবং ভন্নে ওকোরা, তর্ক সাপেক্ষে বলা যায় নাইজেরিয়াতে তাদের অবদানের জন্য। অধিকন্তু, বছরজুড়ে; নাইজেরিয়াতে চলচ্চিত্র প্রযোজনায় অধিক খরচের কারণে, নাইজেরিয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা খরচ বাঁচাতে লাগোসের বাইরে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, তারা হলিউডের লস এঞ্জেলস থেকে টরন্টো এবং আলবুকুয়ের্কে চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতিকে অনুসরণ করেন যাকে রানওয়ে প্রযোজনা বলা হয়। এই কারণে অন্যান্য প্রযোজকরা ঘানার আকরাতে নির্মাণ শুরু করেন, যেখান থেকে টাকা বাচিঁয়ে তারা ভালো যন্ত্রপাতিতে খরচ করে, অনেকে তাদের চলচ্চিত্র বড় পর্দায় মুক্তি দিতে এই টাকা খরচ করে।[২০]
২০১৩সালে, নাইজেরিয়ান এন্টারটেইনমেন্ট টুডে প্রকাশ করে যে বছরে মোট শেয়ার বাজারের ৬০ভাগ ঘানা অভিনেতাদের ছিল। সংবাদপত্রটির করা একটি জরিপে দেখানো হয়, নলিটিউন্ড.কম (একটি নাইজেরিয় প্রচার ওয়েবসাইট) ২০১৩সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেখানো মোট ১৮৪টি চলচ্চিত্রের মাঝে ৯৩টিতে ঘানার অভিনেতারাই মূখ্য ছিল। এটাও উল্লেখ করা হয় যে ভিডিওর দোকানগুলোতে ঘানার অভিনেতাদের বেশি চাহিদা ছিল।[৬৪] ২০১৩সালে এএমভিসিএ এর প্রথম সংস্করণে ঘানার জ্যাকি এপিয়াহকে সেরা অভিনেত্রী পুরস্কার দেয়া হয়। একই বছর, নলিউড এন্ড আফ্রিকান ফিল্ম ক্রিটিক্স এওয়ার্ডস (এনএএফসিএ) এপিয়াহকে আবার 'সেরা অভিনেত্রী' হিসেবে পুরস্কার প্রদান করে।[৬৪] মজিদ মাইকেলের মতো ঘানা অভিনেতারাও বিভিন্ন নলিউডের পুরস্কার অনুষ্ঠানে পুরস্কার পেয়েছেন।
স্যাম ওনানুগা, একজন নাইজেরিয় নাট্য লেখক নাইজেরিয় অভিনেতাদের ভিডিওর চলচ্চিত্রে বেশি কাজ করার অনিচ্ছার ধারাকে দোষারপ করেন।[৬৪] উদীয়মান নতুন নাইজেরিয় সিনেমায়, অধিক নাইজেরিয় অভিনেতারা তাদের খ্যাতিকে বাড়াতে বড় পর্দায় কাজ পতে চায়ত, আর ভিডিওর চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকায় কাজ করতে অস্বীকার করতো; ঘানার অভিনেতারা তাই এই সুবিধা গ্রহণ করে, তারা বুশেষভাবে নাইজেরিয় ভিডিও চলচ্চিত্রে কাজ করে যেগুলো এসনয় পিছিয়ে পরলেও জনপ্রিয় ছিল।[৪৩][৬৪]
এই উন্নয়ন সংবাদ মাধ্যমের আকর্ষণে আসে; তারা মূলত ক্ষোভ প্রকাশ করে যে ঘানা লোকেরা নাইজেরিয় লোকদের চাকরি নিয়ে নিচ্ছে।[৬৫] যেখানে কিছু বব ম্যানুয়েলের মতো শিল্প মালিক এই উন্নয়নকে অবাঞ্চিত করেন সেখানে মার্সি এইগবে, বেলিন্ডা এফাহ এবং ভন্নে জেগেদের মতো লোকেরা এই উন্নয়নকে গ্রহণ করেন; তারা বলেন যে এই শিল্পটি অনেক বড় এবং পৃথিবীর অন্যান্য চলচ্চিত্র সংগঠনেও অন্যজাতীয়তার মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। থেরেসা এডেম মতামত জানান: “একটি সংযুক্ত আফ্রিকা যেকোনদিন, যেকোন সময় তৈরি হবে। এখন পর্যন্ত এটি একটি ভালো মিলন ছিল। তারা নলিউডে রঙ দিয়েছে এবং তারা ভালো প্রতিযোগিতা তৈরি করেছে।[৬৫] এমেন আইসং, একজন নাইজেরিয় প্যোজক মতামত করেন: “এটা একতা এবং মিলনকে প্রকাশ করেছে আর এটি কোন বড় বিষয় নয়”।[৬৪]
অপরদিকে কিছু ঘানার সংবাদ মাধ্যম এই ধারাকে মেধা পাচার হিসেবে উল্লেখ করেছে।[৬৬] যদিও, ঘানার পরিচালক ফৃর্যাব্ক ফিফি ঘারবিন উন্নয়ন নিয়ে সন্তোষজনক মতামত দিয়েছেন: “নলিউডে ঘানার অভিনেতাদের নিয়ে বেশি হইচই হওয়া উচিথ নয়। আমাদের জন্য এটি ভালো উন্নয়ন। এতে দেখা যায় যে আমাদের অভিনেতারা দক্ষতা অর্জন শুরু করেছে এবং তারা বৈশ্বিকভাবে গৃহীত”।[৬৪]
প্রভাব
সম্পাদনা২০০০এর মাঝে নাইজেরিয় এবং ঘানা চলচ্চিত্রের প্রচুর জোটবদ্ধতার কারণে ঘানার চলচ্চিত্র শিল্পের পুনরুত্থান ঘটে। যদিও, ঘানার প্রোযজনা প্রতিষ্ঠানগুলো নলিউডে কপিরাইটযুক্ত এবং নাইজেরিয়ার বড় বাজারের কারণে নাইজেরিয়াতে সেগুলো প্রচার করা হয়। নাইজেরিয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা সাধারণত ঘানার অভিনেতাদের নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্রে নিয়ে থাকে যা ঘানার অভিনেতাদের পরিচিত করে। নাইজেরিয় অভিনেতারাও ঘানার প্রযোজনায় কাজ করেছেন, যাতে তারা বৃহৎ দর্শকদের কাছে পৌছাতে পারেন।[৬৭][৬৮][৬৯] ভ্যান ভিকার, একজন জনপ্রিয় ঘানার অভিনেতা, অনেকগুলো নাইজেরিয় চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। এই মিলনের ফলে, পাশ্চাত্যের দর্শকরা অনেক সময় ঘানার চলচ্চিত্রকে নাইজেরিয় চলচ্চিত্র ভেবে ভুল করেন এবং দুটির বিক্রয়কে এক হিসেবে গণনা করেন; যদিও, তারা দুটি আলাদা স্বাধীন শিল্প যাদেরকে অনেকসময় একত্রে "নলিউড" বলা হয়ে থাকে।
সংগঠন এবং উৎসব
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (January 2016) |
সংগঠন
সম্পাদনাএই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (April 2016) |
- এক্টর্স গিল্ড অব নাইজেরিয়া (এজিএন): হলো একটি সংস্থা, যেটি নাইজেরিয়ার ও বিদেশের চলচ্চিত্র অভিনেতাদের কাজকে নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিনিধিত্ব করে। একজন নির্বাচিত সভাপতি এটিকে নিয়ন্ত্রণ করে।[৭০]
- ডিরেক্টর্স গিল্ড অব নাইজেরিয়া (ডিজিএন)
উৎসব
সম্পাদনা- আফ্রিকা মুভি একাডেমি এওয়ার্ড (এমএএ): হলো নাইজেরিয়ার একটি এওয়ার্ড উৎসব, যা আফ্রিকার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে অসাধারন চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৫সালে এবং নলিউড ও আফ্রিকার মহাদেশে এটিকে খুব মর্যাদাপূর্ন এওয়ার্ড ধরা হয়। আর এটি আফ্রিকার চলচ্চিত্র দুনিয়ায় এটি সবচেয়ে চাহিদাযুক্ত এওয়ার্ড এবং উৎসব।[৭০]
- আফ্রিকা ম্যাজিক ভিউয়ার্স চয়েজ এওয়ার্ডস
- বেস্ট অব নলিউড এওয়ার্ডস
- নলিউড মুভিজ এওয়ার্ডস
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Offiong, Adie Vanessa (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "TIFF: AFA, BoI Host Nollywood Session"। Daily Trust। ১১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Table 8: Cinema Infrastructure - Capacity"। UNESCO Institute for Statistics। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Table 6: Share of Top 3 distributors (Excel)"। UNESCO Institute for Statistics। ৪ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Feature films – Total number of national feature films produced"। UNESCO Institute for Statistics। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "Table 11: Exhibition - Admissions & Gross Box Office (GBO)"। UNESCO Institute for Statistics। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Movie producers beg banks for cash as Nollywood goes global"। Lagos, Nigeria: Business Day। ১৩ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ Okedara, Solomon (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Before the 'oil festival' ends"। Lagos, Nigeria: National Mirror। ৪ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ Emeagwali, Gloria (Spring ২০০৪)। "Editorial: Nigerian Film Industry"। Central Connecticut State University। Africa Update Vol. XI, Issue 2। ৩১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৪।
- ↑ ক খ "X-raying Nigerian Entertainment Industry At 49"। Modern Ghana। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Olubomehin, Oladipo O. (২০১২)। "CINEMA BUSINESS IN LAGOS, NIGERIA SINCE 1903"। Historical Research Letter। 3। আইএসএসএন 2224-3178।
- ↑ ক খ গ Ekenyerengozi, Michael Chima (২১ মে ২০১৪)। "Recognizing Nigeria's Earliest Movie Stars - Dawiya, King of the Sura and Yilkuba, the Witch Doctor"। IndieWire। Shadow and Act। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "PALAVER: A ROMANCE OF NORTHERN NIGERIA"। Colonial Film। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "Lights, Camera, Africa!!!"। Goethe Institute। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Olubomehin, Oladipo O. (২০১২)। "CINEMA BUSINESS IN LAGOS, NIGERIA SINCE 1903"। Historical Research Letter। 3। আইএসএসএন 2225-0964।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "History of Nollywood"। Nificon। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ Adegbola, Tunde (২০১১)। "Coming of Age in Nigerian Moviemaking"। African Film Festival Inc. New York। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ Obiaya, Ikechukwu। "The Blossoming of the Nigerian Video Film Industry"। Academia। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Olubomehin, Oladipo O. (২০১২)। "CINEMA BUSINESS IN LAGOS, NIGERIA SINCE 1903"। Historical Research Letter। 3। আইএসএসএন 2224-3178।
- ↑ "Nigeria surpasses Hollywood as world's second largest film producer – UN"। United Nations। ২০০৯-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Nollywood: Lights, camera, Africa"। The Economist। ১৬ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ Onikeku, Qudus। "Nollywood: The Influence of the Nigerian Movie Industry on African Culture"। Academia। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ Onuzulike, Uchenna (২০০৭)। "Nollywood: The Influence of the Nigerian Movie Industry on African Culture"। Nollywood Journal। ২০১৪-০১-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ ক খ ""Nollywood": What's in a Name?"। Nigeria Village Square। ৩ জুলাই ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Nigerian films try to move upmarket: Nollywood's new scoreboard"। The Economist। The Economist। ১৭ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Brown, Funke Osae (২৪ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Nollywood improves quality, leaps to N1.72trn revenue in 2013"। Business Day Newspaper। Business Day Online। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Olubomehin, Oladipo O. (২০১২)। "CINEMA BUSINESS IN LAGOS, NIGERIA SINCE 1903"। Historical Research Letter। 3। আইএসএসএন 2224-3178।
- ↑ ক খ গ Nnabuko, J.O.; Anatsui, Tina C. (জুন ২০১২)। "NOLLYWOOD MOVIES AND NIGERIAN YOUTHS-AN EVALUATION" (পিডিএফ)। JORIND 10। 10 (2)। আইএসএসএন 1596-8308। ২৯ মে ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "Nigerian Film Unit"। Colonial Film। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Soyingbe, Anthonia (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Nigeria: X-Raying The Country's Entertainment Industry at 49"। allAfrica.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Olubomehin, Oladipo O. (২০১২)। "CINEMA BUSINESS IN LAGOS, NIGERIA SINCE 1903"। Historical Research Letter। 3। আইএসএসএন 2225-0964।
- ↑ "New Nigerian Cinema: An Interview with Akin Adesokan (2006). Retrieved from www.Indiana.edu on May 27, 2008."। সেপ্টেম্বর ১৬, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১১, ২০১৯।
- ↑ Olubomehin, Oladipo O. (২০১২)। "CINEMA BUSINESS IN LAGOS, NIGERIA SINCE 1903"। Historical Research Letter। 3। আইএসএসএন 2225-0964।
- ↑ ক খ Abdulkadir, Shuaib (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Extinction of Cinemas"। National Pilot Newspaper। National Pilot। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ Adelakun, Abimbola (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Gradually, the cinemas return in Nigeria"। Modern Ghana। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Ayengho, Alex (২৩ জুন ২০১২)। "INSIDE NOLLYWOOD: What is Nollywood?"। E24-7 Magazine। NovoMag। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Nigeria's film industry, The Economist"। Economist.com। ২০০৬-০৭-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৯।
- ↑ Onishi, Norimitsu (২০০২-০৯-১৬)। "Step Aside, L.A. and Bombay, for Nollywood"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৯।
- ↑ "About Nollywood"। ThisIsNollywood.com। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ Okonkwo, Kasie (২৭ অক্টোবর ২০১৩)। "Ecobank: Brand Positioning Through Funding of Nollywood"। This Day Live। ৩১ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Vourlias, Christopher (১৪ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Hooray for Nollywood: Nigerian film industry raises the artistic bar"। Aljazeera। Aljazeera America। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ Thorburn, Jane। "NOLLYWOOD 2 Doing It Right"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ Rice, Andrew (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "A Scorsese in Lagos: The Making of Nigeria's Film Industry"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ ক খ Ekeanyanwu, Nnamdi Tobechukwu। "Nollywood, New Communication Technologies and Indigenous Cultures in a Globalized World: The Nigerian Dilemma"। Covenant University। Department of Mass Communication, College of Human Development। ১৪ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Leu, Bic (১৪ জানুয়ারি ২০১১)। "Nollywood goes for new models to curb piracy"। The Guardian Newspaper। Finding Nollywood। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Concerning Project Nollywood"। This Day Live। ১০ মার্চ ২০১৩। ১২ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Editorial: Concerning Project Nollywood"। Huhu Online। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Half of a Yellow Sun"। Manufacturing Today। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ২২ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Ekenyerengozi, Michael Chima (৭ জানুয়ারি ২০১৫)। "Project Nollywood Administrators Should Invest in Keeping Nigerian Filmmakers in Nigeria, Instead of Sending Them Overseas"। IndieWire। Shadow and Act। ২৮ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Showemimo, Dayo (২৮ এপ্রিল ২০১৫)। "Bank of Industry introduces 'Nollyfund' for film makers"। Nigerian Entertainment Today। The NET NG। ২৯ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
- ↑ Abimboye, Micheal (২৪ এপ্রিল ২০১৫)। "Nigeria Launches N1 Billion Special Fund for Nollywood"। allAfrica.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৫।
- ↑ Akande, Victor (১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Toronto: Nigerians disagree over new Nollywood"। The Nation Newspaper। The Nation Online। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Liston, Enjoli (১০ এপ্রিল ২০১৪)। "Hello Nollywood: how Nigeria became Africa's biggest economy overnight"। The Guardian Newspaper। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ Hazlewood, Phil (৭ এপ্রিল ২০১৪)। "Nollywood helps Nigeria kick South Africa's economic butt"। Sowetan Live। ২৭ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "$2m-budget movie: Afolayan hits location"। The Nation NG। ১০ আগস্ট ২০১৩। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Djansi, Leila (১১ আগস্ট ২০১২)। "Leila Djansi: Rush of thoughts on the 'New Nollywood'"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Levine, Sydney (১২ জানুয়ারি ২০১১)। "The Myth of Nollywood and the Rise of Nigerian Cinema"। Indie Wire। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Connor, Ryan (মে ২০১৩)। "A Return to the Cinemas: New Nollywood's Prospects and Constraints"। Research Gate। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Husseini, Shaibu। "A YEAR OF MIXED FORTUNES FOR NOLLYWOOD"। Ehizoya Films। Ehizoya Golden Entertainment। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Akande, Victor (১৪ নভেম্বর ২০১৪)। "AFRIFF 2014: Participants raise concerns at film workshop"। The Nation। ২৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Clayton, Jonathan (৩ এপ্রিল ২০১০)। "Nollywood success puts Nigeria's film industry in regional spotlight"। The Times। ২১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ Winkler, Mathis (১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "Watch Out Hollywood, Here Comes Nollywood"। DW। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Nollywood Film Industry and the African Diaspora in the UK"। Open University। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ Ozolua, Uhakheme (১ আগস্ট ২০০৭)। "Nigerian Film Industry Needs No Recognition – Oni"। Open University। THE NOLLYWOOD FILM INDUSTRY AND THE AFRICAN DIASPORA IN THE UK। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Enengedi, Victor (২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "NET SPECIAL FEATURE: Ghanaian actresses take over Nollywood"। Nigerian Entertainment Today। The NET NG। ২০১৫-০৩-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ Ebirim, Juliet (২২ মার্চ ২০১৪)। "Are the Ghanaian actors taking over Nollywood?"। Vanguard Newspaper। The Vanguard। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "Brain Drain In Ghana Movie Industry?"। Spy Ghana। ২৭ মার্চ ২০১৪। ৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Ghana News (২৭ মার্চ ২০১৪)। "Brain Drain In Ghana Movie Industry?"। Spy Ghana। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪।
- ↑ Angelo, Mike। "Ghanaian Actor, Majid Michel Salutes Nollywood, Berates Ghollywood"। ৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪।
- ↑ Korkus, Stella (২৯ জুলাই ২০১৩)। "Ghanaian Actors Have Become Household Names In Nollywood."। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০১৪।
- ↑ ক খ "Facts About Nigerian Movies and History"। Total Facts about Nigeria। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৪।