নলডাঙ্গা উপজেলা

নাটোর জেলার একটি উপজেলা

নলডাঙ্গা বাংলাদেশের নাটোর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ২৪.২৬ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৯ র্পূব দক্ষিণ অংশে বারনই নদের উত্তর তীরে অবস্থিত শহরের নাম নলডাঙ্গা। প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য মণ্ডিত আমাদের নলডাঙ্গা । একসময় নাটোরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে নলডাঙ্গা উপজেলা। নলডাঙ্গা উপজেলার উত্তরে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা, দক্ষিণে নাটোর সদর উপজেলা, পূর্বে সিংড়া উপজেলা, পশ্চিমে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলাবাগমারা উপজেলা

নলডাঙ্গা
উপজেলা
মানচিত্রে নলডাঙ্গা উপজেলা
মানচিত্রে নলডাঙ্গা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৫′৩২″ উত্তর ৮৯°৫৪′৫″ পূর্ব / ২৪.২৫৮৮৯° উত্তর ৮৯.৯০১৩৯° পূর্ব / 24.25889; 89.90139 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলানাটোর জেলা
আয়তন
 • মোট১৭৪.৩৯ বর্গকিমি (৬৭.৩৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,২৯,৩০৪[১]
সাক্ষরতার হার
 • মোট৭৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৪৭ সালে স্থানীয় জনগনের উদ্যোগে নাটোর জেলার নাটোর সদর উপজেলাধীন বার নই নদীর তীর ঘেঁষে নলডাঙ্গায় প্রতিষ্ঠত হয় নলডাঙ্গার হাট। আর একেই ঘিরে নলডাঙ্গা নাম করণের সুচনা হয়। ২৭ মে ২০১৩ইং/১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০ তারিখে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস  সংক্রামত্ম জাতীয় বাসত্মবায়ন কমিটি  (নিকার) এর ১০তম বৈঠকের সিদ্ধামত্ম অনুযায়ী সরকার কর্তৃক নাটোর জেলার নাটোর সদর উপজেলার ১টি পৌরসভা (নলডাঙ্গা পৌরসভা) এবং ৫টি ইউনিয়ন সমন্বয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের ০৭ জুলাই, ২০১৩ তারিখের ৪৬.০৪৬.০১৮.০০.০০.০১২.২০১২-৭৭১নং প্রজ্ঞাপন মুলে ‘‘নলডাঙ্গা’’ উপজেলা গঠিত হয়।[২]

১৯৪৭ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে নলডাঙ্গার হাট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই হাটকে ঘিরেই নলডাঙ্গার উন্নয়নের গড়াপত্তন শুরু। সেসময় নলডাঙ্গা পাশ্ববর্তী হালতিবিল ধান ও মাছের  জন্য প্রাচুর্য্য ছিল। সেখানকার ধান, মাছ এবং বারনই নদীর মাছ ও নদীপথ এই হাটের জন্য আর্শীবাদ হয়ে দাঁড়ায়। সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। ওই সময় দুর-দুরান্তের মানুষ নলডাঙ্গা হাটের অপেক্ষায় থেকেছে। শনিবার এবং মঙ্গলবার এলেই নলডাঙ্গা হাটে এসেছেন কেউ দোকান পসরা নিয়ে, আবার অনেকে এসেছেন বাণিজ্য করতে। এখান থেকে পিয়াজ, আলু, পান ও সবব্জি কিনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহাজনরা এসেছেন। নলডাঙ্গার হাটকে ঘিরে ১৯৬১ সালে ব্রক্ষপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান এবং ১৯৬২ সালের ১ আগস্ট নলডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনগড়ে উঠে। বারনই নদীর ধারে হাট হওয়ায় এখানে একটি নৌ-বন্দরও গড়ে উঠে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মহাজনরা মালামাল পরিবহনে নৌপথ ব্যবহার করেছেন। হাটকে ঘিরে ১৯৬৭ সালে নলডাঙ্গা হাইস্কুল, ১৯৭২ সালে শহীদ নজমুল হক ডিগ্রি কলেজ, ১৯৭৬ সালে রুপালী ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে।[২]

২০০০সালের ১৯ জানুয়ারীনাটোর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুর, মাধনগর, খাজুরা, পিপরুল, বিপ্রেবেলঘরিয়া নামের ৫টি ইউনিয়নকে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ পূর্বক নলডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটি থানায় (পুলিশ স্টেশন) রুপান্তর করা হয়। পরে একই বছরের ২১ জুন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নলডাঙ্গা থানাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বীমা সব কিছুই এখন হাতের মুঠোয়।[২]

নলডাঙ্গাবাসীর আধুনিক জীবন যাত্রার ব্যবস্থা করতে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় নলডাঙ্গা পৌরসভা। বর্তমানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাচ্ছে নলডাঙ্গা পৌরসভা। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ২০০৩ সালে ৩ জানুয়ারী স্থাপন করা হয়েছে দুগ্ধ শীতলীকরন কেন্দ্র ( মিল্কভিটা)। তথ্য যোগাযোগের জন্য ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর টেলিফোন এক্র্চেঞ্জ এবং  একই বছরে ডাকবাংলো নির্মান করা হয়।[২]

১৯৯৯ সালে বারনই নদীর ওপর বিশালাকৃতির ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু হলেও ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর  তা উদ্বোধন করা হয়। কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর বাসুদেবপুর এলাকায় গড়ে তোলা হয় কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র। ২০১৪ সালে সোনালী ব্যাংক, ভুমি অফিস, পোষ্ট অফিসসহ বিভিন্ন এনজিওর অফিস স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৭ মেদুপুরে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও বাস্তবায়ন কমিটির ( নিকার) সভায় নলডাঙ্গাকে উপজেলা করার সিদ্ধান্ত হয়।[২]

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

নলডাঙ্গা উপজেলার আয়তন প্রায় ১৭৪.৩৯ বর্গ কিলোমিটার। ইউনিয়ন ৫টি এবং গ্রামের সংখ্যা ৯৯ টি। এছাড়াও এখানে ১ টি পৌরসভা এবং ৭ টি পোষ্ট অফিস রয়েছে। নলডাঙ্গা উপজেলা নাটোর জেলার উত্তরে অবস্থিত। নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্বে সিংড়া উপজেলাগুরুদাসপুর উপজেলা, দক্ষিণে নাটোর সদর উপজেলা, বড়াইগ্রাম উপজেলাবাগাতিপাড়া উপজেলা এবং পশ্চিমে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা

ইউনিয়নসমূহ সম্পাদনা

ক্রমিক নং ইউনিয়নের নাম গ্রামের সংখ্যা চেয়ারম্যানের নাম মোবাইল নম্বর
০১ ব্রাহ্মপুর ইউনিয়ন ১৭  টি মো: হাফিজুর রহমান ০১৭১৭০১৮১৬০
০২ মাধনগর ইউনিয়ন ৮ টি মো: আমজাদ হোসেন দেওয়ান ০১৭৮৬৭১৮১৭১
০৩ খাজুরা ইউনিয়ন ২৩ টি মো; খলিলুর রহমান ০১৭১৫০১৫৭০৯
০৪ পিপরুল ইউনিয়ন ২১টি মো: কলিম উদ্দিন ০১৭৩১৯৫০১৩৫
০৫ বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন ২৬ টি মো: জালাল উদ্দীন ০১৭১২৪৮১১৭২

[৩]

জনসংখ্যা সম্পাদনা

নলডাঙ্গা উপজেলার মোট জনসংখ্যা ১,২৯,৩০৪ জন। মোট ভোটার ৯২,৭৭৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৪,৩২০ জন এবং নারী ভোটার ৪৬,৪২৫ জন।

শিক্ষা সম্পাদনা

নলডাঙ্গা উপজেলায় শিক্ষার হার ৪১.৭১%। এখানে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তালিকা টেবিলে দেয়া হলো। [৪]

নম্বর প্রতিষ্ঠান সংখ্যা
কলেজ ৬টি
উচ্চ বিদ্যালয় ৩০টি
মাদ্রাসা ১৩টি
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪১টি
রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯টি
কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র ১টি

অর্থনীতি সম্পাদনা

১৯৪৭ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে নলডাঙ্গা হাট প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই হাটকে ঘিরেই নলডাঙ্গার উন্নয়নের গড়াপত্তন শুরু। সেসময় নলডাঙ্গার পাশ্ববর্তী হালতিবিল ধান ও মাছের জন্য প্রাচুর্য্য ছিল। সেখানকার ধান, মাছ এবং বারনই নদীর মাছ ও নদীপথ এই হাটের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়। সপ্তাহে দুইদিন শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। নলডাঙ্গার হাট কে ঘিরেই নলডাঙ্গার অর্থনীতি উন্নয়নের গোড়াপত্তন শুরু। প্রধান উৎপাদিত ফসল হলো ধান । এছাড়াও এখানে গম , ভুট্টা , আখ , পান ইত্যাদি উৎপাদিত হয়। বিলুপ্তপ্রায় ফসল নীল, বোনা আমনআউশ ধান। এখানে বেশ কয়েকটি ভারি শিল্প রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের বৃহত্তম প্রাণ কোম্পানীর বেশীরভাগ কাঁচামাল ( আম , লিচু , বাদাম , মুগ ডাল, পোলাওর চাউল ইত্যাদি) নলডাঙ্গা থেকে সরবরাহ করা হয়। সম্প্রতি এখানে আপেল কুল, বাউ কুল, থাই কুল-এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে।

সংষ্কৃতি সম্পাদনা

নলডাঙ্গা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির বসবাস রয়েছে । বাঙ্গালী জাতির সাথে শত শত বৎসর যাবৎ তাদের সাতন্ত্র বজায় রেখে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির সহিত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠি বসবাস করছে । নিম্নে নলডাঙ্গা উপজেলায় বসবাসরত  ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির জীবনযাত্রা, ভাষা ও সংস্কৃতির বর্ণনা দেয়া হলো ।[৫]

নাটোর সদর উপজেলায়- ৫ টি ইউনিয়নে ৪৭ টি গ্রামে ১০ টি সম্প্রদায় (গোত্র) ভূক্ত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠি  যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছে। এরা মূলত সনাতন/প্রকৃতিও  খ্রিস্টান ধর্ম পালন করে। সেই সাথে নিজস্ব জাতিগত (গোত্র ভিত্তিক) কৃষ্টি কালচার পালন ও নিজ নিজ ভাষায় কথা বলে। আদিবাসীদের প্রায় ৯৭% লোক কৃষি কাজের সাথে জড়িত। তাদের প্রায় ৯৫% লোকের নিজস্ব কৃষি জমি না থাকায় নারী-পুরম্নষ উভয়ই দিন মজুরী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। শিক্ষার হার অত্যমত্ম নগণ্য। উচ্চ ও কারিগরী শিক্ষা নেই বললেই চলে। তারা দুঃখ কষ্টের মধ্যেও তাদের নিজস্ব কৃষ্টি কালচার পালন করে এবং আনন্দ উলস্নাসের মধ্যে থাকতে ভালোবাসে।[৫]

ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠিরসম্প্রদায়/গোত্র এবং উপজেলা ভিত্তিক সংখ্যা নিরুপণের ছকঃ-

ক্র: নং জেলার নাম উপজেলার নাম উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠিরগোত্রের  নাম ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠির  বসাবসরত গ্রাম সমূহের নাম (গোত্রভিত্তিক) উপজেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠি  সংখ্যা মোট

(গোত্র ভিত্তিক)

০১ নাটোর নলডাঙ্গা পাহান শংকরভাগ, দরাপপুর,হাজরানাটোর, নবীকৃষ্ণপুর, সুলতানপুর, একডালা, গোকূলনগর, তেলকুপি, সেনভাগ, আব্দুলপুর, খোলাবাড়ীয়া, রাঘাট, কাঁকবাড়ীয়া ধরাইল। ৭৩২৫
০২ উরাও খোলাবাড়ীয়া, সুলতানপুর, মোমিনপর, আগদিঘা, লোচনগড় ৬১২৭
০৩ সিং মির্জাপুর,একডালা ৬৩৭
০৪ তুরি মাধনগর ৩৮
০৫ বাসফোর বাসদেবরপুর ৬৯
০৬ সাঁওতাল বেলঘরিয়া, শিবপুর, নসরৎপুর, জালালাবাদ ১০৭৩
০৭ মুন্ডা শংকরভাগ, দরাপপুর, নবীকৃষ্ণপুর, হাজরানাটোর, সুলতানপুর, একডালা, গোকূলনগর, তেলকুপি, সেনভাগ, আব্দুলপুর, খোলাবাড়ীয়া, রাঘাট, কাঁকবাড়ীয়া ধরাইল। ৩২৯
০৮ লোহার মিরজাপুর, একডালা ৩৫৯

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

নলডাঙ্গা সদরে যাবার অন্যতম পথ নাটোর-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক।নাটোর থেকে সড়ক পথে নলডাঙ্গা সদরের দূরত্ত্ব ১৭কিলোমিটার।রেলপথে দূরত্ত্ব ১৫ কিলোমিটার প্রায়।উপজেলা সদরে রেলস্টেশন বিদ্যমান থাকলেও ইহা একটি ডি-ক্লাস রেলওয়ে স্টেশন।যার ফলে আন্তঃনগর ট্রেনগুলি নলডাঙ্গাস্থিত মাধনগর রেলওয়ে স্টেশন যাত্রা বিরতি দেয়।নাটোর, ঢাকা ও রাজশাহী থেকে আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেন মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়।উপজেলা সদরের সাথে নৌ পথে যাতায়াত করা যায় বারনই নদীর মাধ্যমে।কিন্তু নাব্য সংকটের কারনে যা আগামী দশকে বিলুপ্তি হবার প্রকট সম্ভবনা রয়েছে।

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

বিলহালতী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল। এটির বৃহত্তম অংশ নলডাঙ্গা উপজেলার অন্তর্গত। এ বিলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। বর্ষাকালে এখানে পানকৌড়ি, বক, মাছরাঙা সহ ছোটবড় বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সমাগম ঘটে। বর্তমান সময়ে দর্শনীয় স্থান হিসাবে পাটুল খুব সুনাম অর্জন করেছে। এটাকে এখন দ্বিতীয় কক্সবাজার ও বলা হয়। বর্ষাকালে যখন পাটুল-খাজুরা রাস্তাটি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়, তখন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক পর্যটক এখানে আসে হালতীর বিলের এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে।

এছাড়াও আরও অনেক দেখার মতো নিদর্শন আছে নলডাঙ্গায়[৬]

  • মাধনগরের রথ,মদন মোহন বিগ্রহ মন্দিরও শিব মন্দির
  • সম্রাট আকবরের আমলে নির্মিত নলডাঙ্গা জামে মসজিদ
  • খাজুরা লাহিড়ী পাড়ায় ৩৪টি জমিদার পরিবার ও ৭টি রাজকন্যার বাড়ি
  • ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত খাজুরা এম স্কুল  ও জর্নাদ্দনবাটী পোষ্ট অফিস চালু
  • ১৯৪৬সালে স্থাপিত- বাসুদেবপুর শ্রীশ চন্দ্র বিদ্যানিকেতন
  • সম্রাট আকবরের আমলে তাহেরপুরের রাজা কংস নারায়ণ কর্তৃক বাসুদেব মন্দির
  • হালতির বিল

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "জনসংখ্যা"। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "পটভূমি"। ৬ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. http://naldanga.natore.gov.bd/node/1121723[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] http://naldanga.natore.gov.bd/node/1134972%5B%5D শিক্ষা]
  5. "সংষ্কৃতি"। ১ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২ 
  6. "ঐতিহ্য"। ১৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা