নয় নম্বর বিপদ সংকেত
নয় নম্বর বিপদ সংকেত হুমায়ুন আহমেদ পরিচালিত বাংলাদেশি হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র।[২] টি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। পুরো চলচ্চিত্রটি চিত্রায়িত হয়েছে নুহাশ পল্লীতে। এছাড়া চলচ্চিত্রটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শিল্প দারুণ এক নিদর্শনস্বরূপ পরিচিত হয়েছে।[৩]
নয় নম্বর বিপদ সংকেত | |
---|---|
পরিচালক | হুমায়ুন আহমেদ |
প্রযোজক | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড |
রচয়িতা | হুমায়ুন আহমেদ |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | এস আই টুটুল |
চিত্রগ্রাহক | মোস্তফা কামাল |
সম্পাদক | তৌহিদ খান বিপ্লব |
পরিবেশক | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম[১] |
মুক্তি | ৬ জুলাই ২০০৭ |
স্থিতিকাল | ১৭০ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাবৃষ্টিবিলাসে একা থাকেন সোবহান সাহেব। অঢেল সম্পত্তির মালিক তিনি। বাড়ির সামনে আছে চিড়িয়াখানা, পুকুর, পাহাড়, টিলা। সবুজ গাছগাছালিতে ঘেরা চারপাশ। কিন্তু এই জায়গায় সোবহান সাহেবের ছেলেমেয়েদের কেউ থাকেন না। দুই মেয়ে আর এক ছেলে সবাই থাকে ঢাকায়। কদাচিৎ বেড়িয়ে আসে সোবহান সাহেবের কাছে। হঠাৎ একদিন সোবহান সাহেবের মনে হয় একা বেঁচে থাকার মধ্যে কোন মানে নেই, কোন সার্থকতা নেই। ম্যানেজারকে ডেকে পরামর্শ চান। তিনি ইচ্ছা ব্যক্ত করে বলেন, বাড়িটিতে যেন প্রাণ নেই। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ঘুরে বেড়াবে, নাচবে, গাইবে তবেই না মনে হবে আনন্দময় বাড়ি। ম্যানেজার তাকে আশ্বাস দেন। বলেন, স্যার আপনি কোন চিন্তা করবেন না। বাচ্চা কাচ্চা জোগাড় হয়ে যাবে। একদিন সকালে সোবহান সাহেব অবাক হয়ে দেখেন তার বাড়ির চারপাশে অসংখ্য ছেলেমেয়ে কিলবিল করছে। ম্যানেজার গ্রাম থেকে ভাড়া করে এনেছে শ'খানেক শিশুকে। তারা সোবহান সাহেবের বাড়িতে ঢুকেই যেখানে পারছে হৈ চৈ করছে, ফুল ছিঁড়ছে, গাছের পাতা ছিঁড়ছে, চিড়িয়াখানার প্রাণীকে অহেতুক জ্বালাতন করছে, পুকুরে সাঁতার কাটছে। বিব্রতকর এক পরিস্থিতি। অধৈর্য হয়ে ওঠেন সোবহান সাহেব। তিনি বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে সবাই পালিয়ে যায়।
তার ছেলেমেয়েদের মোবাইলে খবর দেয়া হয় তাদের বাবা মারা গেছে। খবর শুনে সবাই ছুটে আসে গ্রামে। ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে সোবহান সাহেব খাটিয়ায় শুয়ে থাকেন। তিনজন মৌলভী লাশের পাশে বসে দোয়া দরুদ পড়ছে। এক একে জামাই সন্তানসহ কান্নাকাটি করে। হাস্য কৌতুকের মাঝে শ্বাসরুদ্ধকর অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। একদিন দুই জামাই সিদ্ধান্ত নেয় শ্বশুরকে বিয়ে দিলে তার নিঃসঙ্গতা কমবে। পাত্রী খোঁজা শুরু হয়। সোবহান সাহেব বিয়ে করতে যাচ্ছেন শুনে ছোট মেয়ের "কাজের মেয়ে" এক রাতে স্বপ্নে সোবহান সাহেবের সাথে তার বিয়ে হতে দেখে এবং পরের দিন থেকে নিজেকে বাড়ির মালিক ভাবতে শুরু করে। এ নিয়ে শুরু হয় নানা রহস্যময় কৌতুকময় ঘটনা।
কুশীলব
সম্পাদনা- রহমত আলী - সোবহান সাহেব
- জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় - ম্যানেজার
- তানিয়া আহমেদ - রঞ্জনা/জরি
- দিতি - রাত্রি (সোবহান সাহেবের বড় মেয়ে)
- চ্যালেঞ্জার - করিম (বড় মেয়ের স্বামী)
- তানিয়া সুলতানা মুন্নি - সোবহান সাহেবের ছোট মেয়ে
- স্বাধীন খসরু - হাসান (ছোট মেয়ের স্বামী)
- রূপক তালুকদার - টগর (সোবহান সাহেবের ছেলে)
- মাজনুন মিজান - মিজান (ম্যানেজারের শিষ্য)
- শবনম পারভীন - লাইলি/মুটকী (মোটা কাজের মহিলা)
- চৈতি - রহিমা (হাসানের বাড়ীর কাজের মেয়ে)
- ফারুক আহমেদ - মাওলানা
- কমল - ২য় মাওলানা
- সৈয়দ হাসান সোহেল - ৩য় মাওলানা
- সোহেল খান - ডাক্তার
- আসাদুজ্জামান নূর - কামার
- মিফতাহুল মিম - শান্তা (বড় মেয়ের মেয়ে)
- অন্তিক - বাবুল (বড় মেয়ের ছেলে)
- এশা - এশা (ছোট মেয়ের মেয়ে)
সঙ্গীত
সম্পাদনানয় নম্বর বিপদ সংকেত চলচ্চিত্রের গানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন এস আই টুটুল। ছবির গানের কথা লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। এছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু গান ব্যবহার করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "নয় নম্বর বিপদ সংকেত - বাংলা মুভি ডাটাবেজ"। www.bmdb.com.bd। সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫। জুলাই ২৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫।
- ↑ "নয় নম্বর বিপদ সংকেত"। সাতদিন। সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫। মার্চ ৭, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫।
- ↑ "নুহাশপল্লী ট্র্যাজেডি : নয় নম্বর বিপদ সংকেত"। রাইজিংবিডি ডট কম। ১৯ জুলাই ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে নয় নম্বর বিপদ সংকেত (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে নয় নম্বর বিপদ সংকেত