ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন

পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে স্টেশন

ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের কৃষ্ণনগর-লালগোলা রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ায় অবস্থিত। কয়েকটি বৈদ্যুতিক একাধিক পরিবহন (ইএমইউ) এবং লালগোলা যাত্রীবাহী ট্রেন ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশনে চলাচল করে।[১][২]


ধুবুলিয়া
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন
ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন
অবস্থানধুবুলিয়া স্টেশন রোড, ধুবুলিয়া, নাদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
স্থানাঙ্ক২৩°২৯′০৯″ উত্তর ৮৮°২৬′২৫″ পূর্ব / ২৩.৪৮৫৮° উত্তর ৮৮.৪৪০৪° পূর্ব / 23.4858; 88.4404
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনকৃষ্ণনগর- লালগোলা লাইন
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত স্টেশন
পার্কিংনেই
সাইকেলের সুবিধানেই
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকারনেই
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্টেশন কোডডিএইচইউ
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ শিয়ালদহ
ইতিহাস
চালু১৯০৫
বৈদ্যুতীকরণ২০০৭
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   ভারতীয় রেলওয়ে   পরবর্তী স্টেশন
Eastern Railway zone
অবস্থান
ধুবুলিয়া ভারত-এ অবস্থিত
ধুবুলিয়া

ধুবুলিয়া
ভারতে অবস্থান
ধুবুলিয়া পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ধুবুলিয়া

ধুবুলিয়া
ভারতে অবস্থান

অবস্থান সম্পাদনা

ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ায় অবস্থিত। কয়েকটি বৈদ্যুতিক একাধিক পরিবহন (ইএমইউ) এবং লালগোলা যাত্রীবাহী ট্রেন ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশনে চলাচল করে।[১][২] এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - বাহাদুরপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল মুড়াগাছা রেলওয়ে স্টেশন

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৬২ সালে শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ রেলপথের মূল লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছিল এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের শিয়ালদহ এবং রানাঘাট স্টেশনের মধ্যে যাত্রী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। একই বছর শিয়ালদহে রেলওয়ের কলকাতা টার্মিনাস চালু করা হয়েছিল। শিয়ালদহ-রানাঘাট-গেদে লাইন ছিল কলকাতা-শিলিগুড়ি মেইন লাইনের অংশ। ১৯৪৭ সালে, দেশ (ভারত) ভাগের পরে, মূল লাইনটি ভাগ হয়ে যায় এবং পশ্চিমবঙ্গে যা থেকে যায় তা গেদে শাখার লাইন হিসাবে গঠন করা হয়েছিল।[৩][৩][৪]

১৯০৫ সালে রানাঘাট-লালগোলা শাখা লাইন (বর্তমানে কখনও মেন লাইন নামে পরিচিত) চালু করা হয়েছিল।[৫]

পরিকাঠাম সম্পাদনা

স্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে ৩ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ফুট ওভার ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে। বাহাদুরপুর রেলওয়ে স্টেশনে ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।

ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।

বৈদ্যুতীকরণ সম্পাদনা

২০০৭ সালে ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কৃষ্ণনগর - লালগোলা প্রসারিত অঞ্চলটি সহ ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশন বৈদ্যুতিক একাধিক পরিবহন ইএমইউ পরিষেবার জন্য বৈদ্যুতীকরণ করা হয়েছিল।[৬] তারপর থেকে ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে।

রেল পরিষেবা সম্পাদনা

এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা শিয়ালদহ এবং কৃষ্ণনগর ও লালগোলাগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পাদনা

ধুবুলিয়া রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "DHU/Dhubulia (3 PFs)"। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১৮ 
  2. "DHUBULIA (DHU) Railway Station"ndtv.com। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১৮ 
  3. "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  4. J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  5. L.S.S.O’Malley। "Murshidabad District (1914)"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  6. "Electrification of different sections of SDAH"। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১৮