দ্য মনরো ডকট্রিন (১৮৯৬-এর চলচ্চিত্র)
দ্য মনরো ডকট্রিন এছাড়াও দ্য ভেনিজুয়েলা কেস নামেও পরিচিত,[১] ১৮৯৬ সালের মার্কিন নির্বাক প্রজ্ঞাপন চলচ্চিত্র। টমাস এডিসন প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যেকার জাতীয় নির্ধারণবাদের বিরুদ্ধে রূপক লড়াই চিত্রায়িত করা হয়েছে। কতিপয় ইতিহাসবিদ এটিকে "সম্ভবত প্রথম স্বপ্রচারমূলক চলচ্চিত্র" হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[২]
দ্য মনরো ডকট্রিন | |
---|---|
মূল শিরোনাম | The Monroe Doctrine |
প্রযোজক | টমাস এডিসন |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
চিত্রগ্রাহক | উইলিয়াম হাইস |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৫ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | নির্বাক |
কাহিনিসংক্ষেপ
সম্পাদনাজন বুল ভেনেজুয়েলার প্রতিনিধিত্বকারী একটি উপকূলে এসে পৌঁছে এবং দেশটির বিরুদ্ধে বন্দুক আক্রমণ শুরু করে।[৩] আঙ্কেল স্যাম একটি ছবির পিছন থেকে এসে বুলের ঘাড় আঁকড়ে ধরে। পরাজিত করার পর, এর একটি উদাহরণ তৈরি করতে স্যাম, বুলকে নিজের হাঁটুর কাছে চেপে ধরে এবং ভেনিজুয়েলার জন্য তার টুপিটি সরিয়ে দেয়।[৪] স্যাম এখানে পশ্চিম গোলার্ধে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের বিরোধিতা করা মনরো মতবাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিগুলির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।[৩][৪]
অভিনয়ে
সম্পাদনা- চার্লস এফ ওয়ালটন; যিনি মুষ্টিযুদ্ধ চলচ্চিত্রে অভিনয় এবং আঙ্কেল স্যাম হিসেবে তার দীর্ঘ দেহের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।[৩]
- জন মায়ন; ওয়ালটনের প্রতিদ্বন্দ্বী জন স্লাভিনের প্রতিস্থাপনকারী, নির্ভীক জন বুল হিসেবে পরিচিত।[৩]
পটভূমি ও মুক্তি
সম্পাদনাচলচ্চিত্রটি এডিসন কোম্পানি তাদের ভিটাস্কোপের জন্য ১৮৯৬ সালে মুক্তি দিয়েছিল।[৪] এটি একটি রাজনৈতিক বিরোধ চিত্রিত করেছিল যা ব্রিটিশ গায়ানা এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে ভূমির সার্বভৌমত্ব নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধের পটভূমি তুুলে এনেছে। ভেনেজুয়েলা থেকে খনি শ্রমিকরা বিতর্কিত ভুমি শোষণ শুরু করায় ব্রিটিশরা তাদের সশস্ত্র হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে সতর্ক করেছিল। ইউরোপিয় রাজনৈতিক শক্তি থেকে লাতিন আমেরিকার সুরক্ষক হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব রোধে মধ্যস্থতা করেছিল।[১]
চলচ্চিত্র ঐতিহাসিক চার্লস মাসার লিখেছেন, চলচ্চিত্রটি "সন্দেহহীনভাবে একটি রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত", বছরের শুরুতে মুক্তিপ্রাপ্ত একই সংঘাতের চিত্র তুলে ধরেছিল।[১] ১৮৯৬ সালের এপ্রিলে এটি নির্মিত হয়।[৫] ১৮৯৬ সালের ২৩ এপ্রিল, চলচ্চিত্রটি নিউ ইয়র্ক শহরের কোস্টার অ্যান্ড বিয়াল'স মিউজিক হলের ভিটাস্কোপে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। নিউ ইয়র্ক হেরাল্ডের বার্তানুসারে দর্শকরা চলচ্চিত্রে মার্কিন আধিপত্য দেখে "আনন্দিত" হয়েছিল।[৪][৬] আনুষ্ঠানিক প্রথম প্রদর্শনীর জন্য চলচ্চিত্রটি রাফ অ্যান্ড গ্যামন কোম্পানি কর্তৃক নির্বাচিত ও পরিবেশিত হয়েছিল।[৫]
একই বছরের জুলাইয়ে, এটি প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে ভেনেজুয়েলায় প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে মারাকাইবোর লোকেরা তাদের দেশের প্রতিনিধিত্বকারী একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল বলে "সরানো" হয়েছিল।[৭]
বিশ্লেষণ
সম্পাদনাচার্লস মাসার দ্য মনরো ডকট্রিন-কে একটি "কমিক রূপক" হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা ছিল একটি "ওভারটলি পলিটিকাল"।[৪] এটি বিশেষত এর প্রথম প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিটাস্কোপের প্রদর্শনীতে চলমান ক্রমে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিল। এটি ওয়ালটন অ্যান্ড স্যালভিনের রূপক আঙ্কেল স্যাম এবং জন বুলের ছবি এবং ব্যান্ড ড্রিল (মিল্ক হোয়াইট ফ্ল্যাগের একটি অংশ)-এর মধ্যে একটি হাস্যকরভাবে অনুকৃত বক্সিং ম্যাচের পরে এসেছিল,[৪] যেখানে মার্কিন সেনারা যুদ্ধে যাত্রা করেছিল।[৩] মাসার এটিকে রাতে প্রদর্শিত সী ওয়েভস এ ডোভার দ্বিতীয় চলচ্চিত্রের সাথে তুলনা করেছেন, যা ইংল্যান্ডের ডোভারের তীরে ঢেউয়ের বিবরণ প্রদর্শন করে, যা এই ছবিতে ব্যবহৃত রূপক চিত্রকে প্রতিফলিত করেছিল।[৩] চলচ্চিত্রগুলিতে দেশপ্রেমিক আখ্যানের নির্বাচন ইউরোপিয় প্রক্ষেপণ নির্মাতাদের কাছ থেকে ভিটাস্কোপের কাছে প্রত্যাশিত অনুরূপ ডিভাইসের লড়াইয়ের জন্য,[৩][৪] অথবা মার্কিন অঞ্চলে ফরাসি চলচ্চিত্র সংস্থাগুলি তাদের বাজার সম্প্রসারণ থেকে দূরে রাখতে সতর্ক করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।[১] গণমাধ্যম ইতিহাসবিদ জেমস চ্যাপম্যান এবং নিকোলাস জন কাল এটিকে "সম্ভবত প্রথম স্বপ্রচারমূলক চলচ্চিত্র" হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ গৌড্রিয়ল্ট ২০০৯, পৃ. ৫২।
- ↑ ক খ চ্যাপম্যান ও কাল ২০০৯, পৃ. ১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ গ্রিভসন ও ক্রিমার ২০০৪, পৃ. ২৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ ব্রাউন এবং অন্যান্য ২০১৭, পৃ. viii।
- ↑ ক খ গ্রিভসন ও ক্রিমার ২০০৪, পৃ. ২৬।
- ↑ মাসার ১৯৯৪, পৃ. ১১৬।
- ↑ মুউজ, লিওনেল, সম্পাদক (আগস্ট ২০০৯)। "Inicios del cine en Venezuela"। Memorias de Venezuela / Origenes del Anticomunismo en Venezuela (স্পেনীয় ভাষায়)। ১০। Caracas: Fundación Centro Nacional de Historia। পৃষ্ঠা ৪০–৫। ৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ – Issuu-এর মাধ্যমে।
উৎস
সম্পাদনা- গৌড্রিয়ল্ট, আন্দ্রে, সম্পাদক (২০০৯)। American Cinema, 1890-1909: Themes and Variations (ইংরেজি ভাষায়)। নিউ ব্রান্সউইক, নিউ জার্সি: রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 9780813546445। এএসআইএন B0024NK0O2। ওসিএলসি 318240465।
- গ্রিভসন, লি; ক্রিমার, পিটার, সম্পাদকগণ (২০০৪)। The Silent Cinema Reader (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন: রুটলেজ। আইএসবিএন 0415252830। ওসিএলসি 52471537।
- চ্যাপম্যান, জেমস; কাল, নিকোলাস জন (২০০৯)। Projecting Empire: Imperialism and Popular Cinema। লন্ডন: I.B. Tauris। আইএসবিএন 9781441638472। ওসিএলসি 60854904।
- ব্রাউন, রিচার্ড; মাসার, চার্লস; হার্ভে, মাইকেল; অ্যান্টনি, ব্যারি (২০১৭)। The Kinetoscope: A British History (ইংরেজি ভাষায়)। বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড: প্রজেক্ট মিউস। আইএসবিএন 9780861969319। ওসিএলসি 1005225000।
- মাসার, চার্লস (১৯৯৪)। History of the American cinema: Emergence of cinema, to 1907 (ইংরেজি ভাষায়)। বার্কলি: ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 0520085337। ওসিএলসি 1062078988।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দ্য মনরো ডকট্রিন (ইংরেজি)