দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই
দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (ইংরেজি: The Bridge on the River Kwai) হল ডেভিড লিনের পরিচালিত ১৯৫৭ সালের একটি ব্রিটিশ-মার্কিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চলচ্চিত্র যা ১৯৫২ সালে পিয়ের বুলের রচিত ফরাসি উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটি একটি কথাসাহিত্যের কাজ, কিন্তু তার ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য ১৯৪২-৪৩ সালে বার্মা রেলওয়ে নির্মাণ অনুকরণ করা।
দ্য ব্রিজ ওভার রিভার কাওয়াই | |
---|---|
![]() দ্য ব্রিজ ওভার রিভার কাওয়াই | |
পরিচালক | ডেভিড লিন |
প্রযোজক | স্যাম স্পিগ্যাল |
চিত্রনাট্যকার | কার্ল ফোরম্যান মাইকেল উইলসন |
উৎস | পিয়ের বুল কর্তৃক দ্য ব্রিজ ওভার দ্য রিভার কাওয়াই |
শ্রেষ্ঠাংশে | উইলিয়াম হল্ডেন আলেক গিনেস জ্যাক হকিংস Sessue Hayakawa |
সুরকার | ম্যালকম আর্নল্ড |
চিত্রগ্রাহক | জ্যাক হিল্ডইয়ার্ড |
সম্পাদক | পিটার টেলর |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | কলাম্বিয়া পিকচার্স |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১৬১ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র[১] |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $২.৮ মিলিয়ন[২] |
আয় | $৩০.৬ মিলিয়ন (প্রাথমিক মুক্তি)[২] |
কাহিনী সংক্ষেপসম্পাদনা
২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান আধ্যুষিত (বর্তমান থাইল্যান্ড) কোন এক প্রিজন ক্যাম্পে যুদ্ধবন্দি ব্রিটিশ সৈন্যদের দিয়ে কাওয়াই নদীর উপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের ভার দেওয়া হয় জাপানি কর্ণেল সাইটোর উপর। অবস্থার বিবেচনায় এই ব্রিজ তখন জাপানিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সময় সঙ্কট এবং ইগোর কারণে কর্ণেল সাইটোর নির্দেশ অফিসার, সাধারণ সৈন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। যুদ্ধবন্দি ব্রিটিশ সেনাদের দলপতি কর্ণেল নিকেলসন এতে আপত্তি জানান। তার এক কথা জেনেভা কনভেনশন অনুসারে কোন প্রিজনার অফিসার শারীরিক শ্রম দিতে বাধ্য নয়। যখন অন্যান্য সৈন্যদের ব্রিজ নির্মাণের কাজে পাঠানো হয়, তখন তিনি অফিসারদের কাজে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্ণেল সাইটো তাকে "ওভেনে" লকড করে রাখেন, কোন রকম খাদ্য এবং পানি ছাড়া। ওভেন এক ধরনের টিনের ছোট বক্স বিশেষ। অন্যান্য অফিসারদের ডিটেনশনের ব্যবস্থা করেন।
অফিসারদের লেবারের কাজ করার বিষয়ে যে কোন টাইপের কম্প্রোমাইজ প্রত্যাখ্যান করেন কর্ণেল নিকেলসন। অন্যদিকে সৈন্যদের অসহযোগিতা বা ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যর্থতার কারণে কর্নেল সাইটো বুঝতে পারেন নির্দিষ্ট সময়ের পুর্বে ব্রিজ নির্মাণ অসম্ভব। তিনি বাধ্য হন কর্ণেল নিকেলসনের সাথে সমঝোতায় আসতে। ব্রিজ তৈরির কাজে ব্রিটিশ অফিসারদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেন।
দায়িত্ব ও রুলের প্রশ্নে আপসহীন কর্ণেল নিকেলসন কাওয়াই নদীর উপর স্থায়ী, পূর্ণাঙ্গ ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করেন।
এদিকে প্রিজন ক্যাম্প থেকে এক মার্কিন নেভি কমান্ডার শোয়ারজ পালাতে সক্ষম হন। আহত হলেও তিনি উদ্ধার হন। ভাল চিকিৎসা ও অন্যান্য সুজোগ সুবিধার জন্য মাউন্ট লাভালিয়া হসপিতালে সে নিজের পরিচয় গোপন করে এক মৃত ব্রিটিশ অফিসারের পোশাক পরে আসে। ব্রিটিশ ক্যাম্প (The Allies of WWII) কাওয়াই নদীর উপর ব্রিজ তৈরির খবর জানতে পেরে, তা ধ্বংসের জন্য মিশনে নামে। মিশনের দায়িত্ব পাওয়া মেজর ভার্ডেন, শোয়ারজের আসল পরিচয় জানতে পেরে তাকে তার সাথে মিশনে যেতে বাধ্য করেন।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "The Bridge on the River Kwai (1957)"। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউশন। ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ ক খ Sheldon Hall, Epics, Spectacles, and Blockbusters: A Hollywood History Wayne State University Press, 2010 p 161
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (ইংরেজি)
- টিসিএম চলচ্চিত্র ডেটাবেজে দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই
- রটেন টম্যাটোসে দ্য ব্রিজ অন দ্য রিভার কাওয়াই (ইংরেজি)
- Account of bombing crew
- The Prisoner List. Short online film about prisoners of the Japanese during World War II. Depicts life on the Burma Railway.