দ্য প্রিন্স

নিক্কোলো মাকিয়াভেল্লি রচিত বই

দ্য প্রিন্স (ইতালীয়: Il Principe [il ˈprintʃipe]) হচ্ছে নিক্কোলো মাকিয়াভেল্লি রচিত ১৫৩২ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থ। গ্রন্থটি তার সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং বহুল পঠিত গ্রন্থ। অনেক সমালোচক মনে করেন গ্রন্থখানি স্বৈরশাসক লোরেঞ্জো ডি মেডিসির নামে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে তিনি মূলত লোরেঞ্জোর কৃপাদৃষ্টি কামনা করেছিলেন। কিন্তু তিনি কৃপাদৃষ্টি পাননি।[১]

The Prince
Machiavelli Principe Cover Page.jpg
Title page of a 1550 edition
লেখকনিক্কোলো মাকিয়াভেল্লি
মূল শিরোনামDe Principatibus / Il Principe
দেশItaly
ভাষাItalian
বিষয়Political science
ধরনNon-fiction
প্রকাশকAntonio Blado d'Asola.
প্রকাশনার তারিখ
১৫৩২
পরবর্তী বইডিসকোর্সেস অন লিভাই 

বৈশিষ্ট্যসম্পাদনা

দ্য প্রিন্স গ্রন্থের মধ্যে এক উগ্র রাজনৈতিকতা বোধসম্পন্ন, প্রতিহিংসাপরায়ণ মেকিয়াভেলিকে আবিষ্কার করা যায়। দ্য প্রিন্স এবং ডিসকোর্সেস অন লিভাই গ্রন্থদুটির মাধ্যমেই মেকিয়াভেলির রাজনৈতিক ধারণা ও ব্যাখ্যার সঙ্গে আমরা প্রধানত পরিচিত হই।[১] এই গ্রন্থে লেখক তার রাজনৈতিক বাস্তবতাবাদ মতকে রাজনৈতিক তত্ত্বে রূপ দিয়েছেন। এই গ্রন্থটিকে অভিহিত করা হয় বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম অর্থপূর্ণ, ভীতিজনক, প্ররোচনামূলক, হিংসাত্মক ও কঠিন আঘাত দিতে সক্ষম রচনা বলে।প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বইটি বহুল সমালোচিত ও নিন্দিত হওয়ার পাশাপাশি প্রশংসিতও হয়েছে অনেক বিদগ্ধজনের কাছে।

স্বৈরশাসক প্রসঙ্গেসম্পাদনা

১৫১৩ সালে ম্যাকিয়াভেলি এই বইটি লিখেছিলেন ফ্লোরেন্সের তৎকালিন রাজা পিয়ারো ডি মেডিচির পুত্র প্রিন্স লরেঞ্জোর প্রতি উপদেশমূলক গ্রন্থ হিসেবে। লরেঞ্জো যদিও সেই সময় এই উপদেশ গ্রহণ করেন নি; কিন্তু পরবর্তিতে দুনিয়াতে যত স্বৈরশাসক ও ডিকটেটর এসেছেন তারা সকলই দ্য প্রিন্সকে মূল উপজীব্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। একথা সুবিদিত যে, মুসোলিনি 'দ্য প্রিন্স' এর এক সংস্করণে ভূমিকা পর্যন্ত লিখেছিলেন। হিটলার তার শয্যাপাশে সবসময় এক খণ্ড দ্য প্রিন্স রাখতেন বলে শোনা যায়।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. ওদুদ, মো. আবদুল (১৪ এপ্রিল ২০১৪)। "নিকোলো মেকিয়াভেলি"। রাষ্ট্রদর্শন (২ সংস্করণ)। ঢাকা: মনন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২১৫–২১৬। আইএসবিএন 978-984-33-0090-4