আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি

(দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল থেকে পুনর্নির্দেশিত)

আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি (এক কিশোরীর ডায়েরি নামেও পরিচিত) ওলন্দাজ ভাষায় আনা ফ্রাঙ্ক দ্বারা লিখিত একটি বই। বইটিতে আনা ফ্রাঙ্ক তার দিনলিপির বর্ণনা দিয়েছেন যখন জার্মান নাজি বাহিনীর নেদারলেন্ডস অভিযানের সময় তিনি ও তার পরিবার দুই বছর একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।[২]

আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি বইয়ের প্রচ্ছদ.jpg
২০১৮ সালে প্রকাশিত এক বাংলা অনুবাদের প্রচ্ছদ
লেখকআনা ফ্রাঙ্ক
মূল শিরোনামহেট একটেরহাইস
অনুবাদকবি.এম. মোইয়ার্ট[১]
প্রচ্ছদ শিল্পীহেলমাট সালদেন
দেশনেদারলেন্ড
ভাষাওলন্দাজ ভাষা
বিষয়দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, জার্মান নাজি বাহিনীর নেদারলেন্ডস অভিযান
ধরনব্যক্তি দিনলিপি
প্রকাশককনটাক্ট পাবলিসিং
প্রকাশনার তারিখ
২৫ জুন ১৯৪৭ (ডাচ সংস্করণ)
বাংলায় প্রকাশিত
১৯৫২
মিডিয়া ধরনপ্রিন্ট (কাগজ)
ওসিএলসি১৪৩২৪৮৩

ইতিহাসসম্পাদনা

জার্মান নাজি বাহিনী যখন নেদারলেন্ডস এ অভিযান চালায় তখন অ্যানা ও তার পরিবার একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকেন। অ্যানা তার এই লুকিয়ে থাকা দিন গুলুর বর্ণনা লেখা শুরু করে। অ্যানা ১৯৪২ সালে তার ১৩তম জন্মদিনে তার বাবার কাছ থেকে একটি লাল-সাদা চেক প্রিন্টের কাপড়ে মোড়ানো ছোট্ট লক লাগানো অটোগ্রাফ খাতা পান। এই খাতাতেই ১৯৪২ সালের ১২ জুন থেকে তিনি তার দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ ঘটনা, কারো সংগে কথা না বলতে পারা, নেদারল্যান্ডের অধিবাসী ইহুদিদের জীবনযাপন, বিধিনিষেধ ও পরবর্তীকালে অ্যানা নিজের অনুভূতি, বিশ্বাস ইত্যাদি সম্পর্কে লিখেছেন। অ্যানা ডায়রিটিকে কিটি বলে সম্বোথন করতেন।

অ্যানা ১৯৪৪ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত লিখেছিলেন। তারপর ৪ আগস্ট তিনি সহ তার পরিবার নাজি বাহিনীর হাতে ধরা পরেন এবং সেখনেই ১৯৪৫ সালে টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর মাইপ গিইস নামক এক ব্যক্তি ডায়রিটি উদ্ধার করেন এবং অ্যানার পিতা অটো ফ্রাংককে ডায়রিটি দেন। অটো ফ্রাংক তাদের পরিবারের একমাত্র জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি।

১৯৪৭ সালে আটো ফ্রাংক এর উদ্দোগে কনটাক্ট পাবলিসিং দ্বারা ওলন্দাজ ভাষায় হেট একটেরহাইস শিরোনামে ডায়রিটি প্রথম বই আকারে বের হয়। প্রকাশ এর পর থেকেই এটি সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে ইংরেজি ভাষায় ডাবলডে ও কম্পানি দ্বারা অ্যানা ফ্র্যাংক-দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল শিরোনামে এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশ হয়। বইটি আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি শিরোনামে বাংলায় প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত বইটি ৬০টির ও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বইটি বিংশ শতাব্দির জনপ্রিয় বইয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।[৩] এছাড়া বইটি অবলম্বনে অনেক নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা