দ্য ট্রন্স
দ্য ট্রন্স নিউজিল্যান্ডের সঙ্গীতজ্ঞ গ্রেগ লকের তৈরি রোবটদের নিয়ে গঠিত একটি সয়ংক্রিয় ও স্ব-বাদক স্বাধীন সঙ্গীতদল বা ব্যান্ড। মানব সদস্য বিহীন ব্যান্ডটি চারটি রোবট নিয়ে গঠিত, যা বিভিন্ন ধরনের খুচরা যন্ত্রাংশ এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।[১] নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টন ভিত্তিক ব্যান্ডটি হ্যামিলট্রন বা সংক্ষেপে ট্রন নামেও পরিচিত।
দ্য ট্রন্স | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
ধরন | ইন্ডি |
কার্যকাল | ২০০০-এর দশক |
সদস্য | হ্যাম (ভক্স ও রিদম গিটার) উইগি (লিড গিটার) সোয়াম্প (ড্রামস) ফিফি (কি-বোর্ড) |
ওয়েবসাইট | http://www.myspace.com/thtrons |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯০-এর দশকে,[২] নিউজিল্যান্ডের সঙ্গীত জুটি দ্য এমারসনের সদস্য থাকাকালীন, গ্রেগ লক একটি রোবোটিক ড্রামার তৈরির ধারণা দিয়েছিলেন। এই ধারণাটি শেষ পর্যন্ত রোবটের একটি সম্পূর্ণ ব্যান্ড তৈরির ধারণায় পরিণত হয়েছিল।[১][৩] চারটি রোবট তৈরি করতে প্রায় নয় মাস সময় লেগেছিল। বাতিল ফটোকপি-কার্ড ভেন্ডিং মেশিনের ইলেকট্রনিক উপাদান (যা দিনে বেলায় গ্রেগ লকের কাজের জন্য ব্যবহার হতো),[৪] বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ এবং কিছু উন্নত যন্ত্রপাতি থেকে রোবোটগুলি তৈরি করা হয়েছিল। ব্যান্ডটি নির্মাণে হ্যামিল্টন কমিউনিটি আর্টস কাউন্সিলের অনুদান দিয়ে সহায়তা করেছিল।[১]
সদস্য
সম্পাদনাদ্য ট্রন্স ব্যান্ডের নির্মাতা গ্রেগ লক এটির পরিচালনা করেন, গ্রেগ নিজে একজন যন্ত্র প্রকৌশলি ও সংগীতশিল্পী। তিনি দ্য হলো গ্রাইন্ডার্স সহ বিভিন্ন গ্যারেজ ব্যান্ডে বাজিয়ে থাকেন।[৫] ব্যান্ডটিতে কোনো মানব সদস্য নেই, চারটি রোবট- হ্যাম, উইগি, সোয়াম্প এবং ফিফি নামে পরিচিত।[১] রোবটগুলি ফেলে দেয়া খুচরা যন্ত্রাংশ এবং জটিল যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তৈরি এবং একটি "টপ-সিক্রেট" সফটওয়্যার প্যাকেজ ব্যবহার করে কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।[১] "অস্পষ্ট উপাদান" ব্যবহার করে রোবটগুলি প্রায় মানুষের মতো সঙ্গীত তৈরি করে।[২][৪]
হ্যাম রিদম গিটার বাজায়[২] এবং কণ্ঠ দেয়।[৩] হ্যাম-এর কন্ঠ পুরানো একটি টেপ রেকর্ডারের মাধ্যমে তৈরি টেপচক্রের বিটগুলির মাধ্যমে কণ্ঠ তৈরি করা হয় এবং বার বার বাজানো হয়।
উইগি এক তারের একটি লিড গিটার বাজায়। রোবোটদের পক্ষে গিটারে মাত্র চারটি কর্ডের সঙ্গীত তোলা যায়।[৪]
সোয়াম্প, একটি পাই-প্লেট ব্যবহার করে স্নেয়ার ড্রামস বাজায়। এই রোবটটির জন্য গ্রেগ লক যে ড্রামটি কিনেছিলেন, সেটির উপর বেশ কয়েকবার সোয়াম্প কথাটি লেখা ছিল, সেখান থেকে গ্রেগ রোবটটির নামকরণ করেছিলেন।[৪]
ফিফি শুধুমাত্র একটি "হাত" ব্যবহার করে কীবোর্ড বাজায়। ফিফিকে প্রথমে বেজ গিটার বাজাতে দেয়া হয়েছিল, তবে তার বাজানো ভাল ছিলো না।[৪][৬]
রোবট হওয়া সত্ত্বেও দলটির ভক্তরা প্রায়ই ট্রন্সের সদস্যদের মানুষ হিসাবে বিবেচনা করে।[২] ফলসরূপ সোয়াম্প বেশ কয়েকবার ডেটিং-এর অনুরোধ পেয়েছে। তাদেরকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা কারণ হিসেবে গ্রেগ মনে করেন, রোবটগুলি থেকে সংগীত তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় "মানব উপাদান" উদ্ভূত হওয়ার কারণে তাদের ভক্তরা দলটির সদস্যদের মানুষ রূপে কল্পনা করে।[২]
সমালোচনা ও খ্যাতি
সম্পাদনাদ্য ট্রন্সের প্রথম তারকা খ্যাতি আসে, তাদের পরিবেশনার একটি ভিডিও ইউটিউবে দেয়ার পর[৭] ভিডিওটি দর্শকদের কাছ থেকে দুই দিনে ৮০,০০০-এর বেশি 'হিট' অর্জন করে। [৮] মাত্র কয়েক মাসে প্রায় এক মিলিয়ন 'হিট' পায়।[৯] তারা বেশিরভাগ ইতিবাচক সমালোচনামূলক প্রশংসা পেয়েছে, দর্শক ও শ্রোতারা দলটিকে "বিশুদ্ধ প্রতিভা" এবং গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ ব্যান্ড কোল্ডপ্লে'র চেয়ে ভাল হিসাবে বর্ণনা করেছে।[১][১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Waikato robot band an internet hit"। Fairfax New Zealand। ২৪ জুন ২০০৮। ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Anderson, Vicki (১২ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "They may be made of heavy metal, but they don't play it ..."। The Press। পৃষ্ঠা C1।
- ↑ ক খ Farrier, David। "The Trons take flight"। 3 News। ২১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Robotic Pop — The Trons। Radio New Zealand। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ "Waikato robot band an internet hit"। Waikato Times। ২৪ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "Mechanical band hits the big time"। Campbell Live। ১৮ জুন ২০০৮। ২১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ YouTube video
- ↑ "The Trons — Sister Robot"। Amplifier। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।
- ↑ https://www.youtube.com/watch?v=00M3a9nYJi0
- ↑ "Robot Band is at Least as Good as Coldplay"। Gizmodo। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮।