দ্বি-শতবার্ষিকী উদ্যাপন খেলা
দ্বি-শতবার্ষিকী উদ্যাপন খেলা ৫০ ওভারের একটি প্রদর্শনী ক্রিকেট খেলা। লন্ডনে অবস্থিত লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দুইশত বছর উদ্যাপন উপলক্ষে খেলাটি ৫ জুলাই, ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।[১] খেলায় ক্রিকেট বিশ্বের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ক্লাব হিসেবে পরিচিত মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ও বহিঃবিশ্ব একাদশ অংশগ্রহণ করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কর্মকর্তাগণ লর্ডসকে ‘ক্রিকেটের প্রধান আবাসভূমি’ নামে অভিহিত করে থাকেন।[২][৩] অ্যারন ফিঞ্চের অপরাজিত ১৮১* রানের কল্যাণে এমসিসি দল এ খেলায় জয়লাভ করে।[৪][৫]
দ্বি-শতবার্ষিকী উদ্যাপন খেলা | |||
---|---|---|---|
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব | বহিঃবিশ্ব একাদশ | ||
তারিখ | ৫ জুলাই | ||
অধিনায়ক | শচীন তেন্ডুলকর | শেন ওয়ার্ন | |
একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজ | |||
ফলাফল | ১ ম্যাচের সিরিজে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ১–০ ব্যবধানে জয়ী |
খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা
সম্পাদনা- আম্পায়ার
- ইয়ান গোল্ড (ইংল্যান্ড)
- রিচার্ড কেটেলবরা (ইংল্যান্ড)
- টিভি আম্পায়ার
- মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড)
দলের সদস্য
সম্পাদনামেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) | বহিঃবিশ্ব একাদশ |
---|---|
একমাত্র সীমিত ওভারের খেলা
সম্পাদনাবহিঃবিশ্ব একাদশ
২৯৩/৭ (৫০ ওভার) |
ব
|
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব
২৯৬/৩ (৪৫.৫ ওভার) |
- বহিঃবিশ্ব একাদশ টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
বিবরণ
সম্পাদনাবহিঃবিশ্ব দলের শেন ওয়ার্ন টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও বীরেন্দ্র শেওয়াগ দলের দ্রুত সূচনা করেন। এমসিসি’র বোলার ও পাকিস্তানের তারকা খেলোয়াড় উমর গুল ডান হাঁটুতে আঘাত পাওয়ায় তিনি মাত্র দুই ওভার বোলিং করে মাঠ ত্যাগ করেন। ফলে পাকিস্তানের স্পিনার সাঈদ আজমল পাওয়ারপ্লেতে বোলিংয়ে নেমে খুব দ্রুত গিলক্রিস্ট, কেভিন পিটারসেন, তামিম ইকবাল ও শহীদ আফ্রিদি’র উইকেট নেন। তারপর যুবরাজ সিং ও পল কলিংউড শতাধিক রানের জুটি গড়েন। যুবরাজ সিংয়ের সেঞ্চুরির উপর ভর করে বহিঃবিশ্ব দলের সর্বমোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৩। ব্রেট লি’র বলে শেন ওয়ার্নের হাত ভেঙ্গে যায়।[৬][৭] তার পরিবর্তে দক্ষিণ আফ্রিকান অল-রাউন্ডার শন পোলক ফিল্ডিংয়ে নামেন।[৮]
এমসিসি’র পক্ষে শচীন তেন্ডুলকর ও অ্যারন ফিঞ্চ উভয়েই দূর্দান্ত সূচনা করেন। কলিংউড ব্রায়ান লারা ও রাহুল দ্রাবিড়কে এবং শ্রীলঙ্কান বোলার মুত্তিয়া মুরালিধরন শচীন তেন্ডুলকরকে আউট করেন। এরপর অ্যারন ফিঞ্চ শিবনারায়ণ চন্দরপলকে নিয়ে জয়ের লক্ষ্যে অগ্রসর হন। ফিঞ্চ অপরাজিত ১৮১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন।
বিতর্ক
সম্পাদনাধারাভাষ্য চলাকালে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু স্ট্রস কেভিন পিটারসনকে ‘এ কান্ট’ বলেন। স্ট্রসের মতে তা সম্প্রচারের বাইরে ছিল। কিন্তু স্কাই স্পোর্টসে তার মন্তব্য শোনা না গেলেও বহিঃবিশ্বের দর্শকদের সামনে তা ঠিকই চলে আসে।[৯][১০] পরবর্তীতে স্ট্রস বলেন যে, ‘আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী, বিশেষ করে কেভিন পিটারসনের কাছে। আমি অনুতপ্ত ও আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’[১১]
সম্প্রচার ব্যবস্থা
সম্পাদনাটেলিভিশন সম্প্রচার | দেশ | মন্তব্য |
---|---|---|
স্কাই স্পোর্টস ২ এইচডি | যুক্তরাজ্য | আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারক |
স্টার স্পোর্টস ৪ | পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ ভারত |
|
স্টার স্পোর্টস এইচডি ২ | ভারত | |
স্টার স্পোর্টস ৩ | ভারত | হিন্দি ভাষায় |
ফক্স স্পোর্টস ১ | অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড |
|
সুপারস্পোর্টস ৫ | দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবুয়ে |
উল্লেখযোগ্য অংশ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "MCC v Rest of the World - 5 July"। Lord's। ৫ জুলাই ২০১৪। ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Tendulkar, Warne captains in Lord's bicentenary match"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪।
- ↑ "Sachin Tendulkar Savours Brian Lara Partnership in Lord's Bicentenary"। NDTV। ১৫ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৪।
- ↑ "Cricket - MCC vs RoW: Finch shines among stars in Lord's bicentenary"। Deccan Chronicle। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Lord's bicentenary: Finch hits 181 in MCC win"। Go Cricket। ৫ জুলাই ২০১৪। ৮ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Shane Warne's hand broken by Brett Lee in Lord's exhibition"। BBC Sport। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "MCC v Rest of the World: Shane Warne suffers suspected broken hand after he is struck by former Australia team-mate Brett Lee during Lord's match"। The Independent। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "MCC v RoW: Shane Warne suffers broken hand in Lord's celebration match"। Sky Sports। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Strauss 'mortified' at Pietersen slur"। ESPN Cricinfo। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Andrew Strauss 'mortified' and 'profusely sorry' after he calls Kevin Pietersen a 'c**t' live on air"। The Independent। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Kevin Pietersen: Andrew Strauss apologises after offensive remark"। BBC Sport। ৫ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৪।