দেশাভিমানি
দেশাভিমানি একটি মালায়ালাম পত্রিকা এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর কেরালা রাজ্য কমিটির অঙ্গ। এটি ১৯৪২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কালিকটে একটি সাপ্তাহিক হিসাবে শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪৬ সালে একটি দৈনিকে রূপান্তরিত হয়েছিল। [২] সংবাদপত্রটি এখন দশটি আলাদা মুদ্রণ কেন্দ্র রয়েছে: কালিকট, কোচিন, তিরুবনন্তপুরম, কান্নুর, কোট্টায়াম, ত্রিচুর, পালক্কাদ, আলাপ্পুঝা, কোল্লাম এবং মালাপপুরম। বর্তমানে সিপিআই (এম) -এর সচিবালয়ের সদস্য পি রাজিব এই কাগজের প্রধান সম্পাদক, কে জে থমাস, সিপিআই (এম) এর সচিব সদস্য, জেনারেল ম্যানেজার এবং আবাসিক সম্পাদক পি এম মনোজ রয়েছেন।
ধরন | দৈনিক সংবাদপত্র |
---|---|
মালিক | কেরালার রাজ্য কমিটি কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী |
প্রধান সম্পাদক | পি রাজীব |
সম্পাদক | ভি বি পরমেশ্বরণ |
সাধারণ ব্যবস্থাপক | কে জে টমাস |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১২ এপ্রিল ১৯৪২ |
রাজনৈতিক মতাদর্শ | বামপন্থী |
ভাষা | মালয়ালম |
সদর দপ্তর | ত্রিভেন্দ্রাম, কেরল |
প্রচলন | ৬২৫,৭৯৮ (December 2018)[১] |
ওয়েবসাইট | www |
ফ্রি অনলাইন আর্কাইভ | www |
দেশাভিমানি প্রচলন অনুসারে তৃতীয় বৃহত্তম মালায়ালাম ভাষার সংবাদপত্র। ২০১০ সালের ভারতীয় পাঠক জরিপ হিসাবে, মালয়ালা মনোরমা এবং মাতৃভূমির পরেই কেরালার পাঠকদের ক্ষেত্রে এটি তৃতীয় স্থানে ছিল। [৩]
ইতিহাস
সম্পাদনাদেশাভিমানি এর পূর্বসূরি, প্রভাতম (যার অর্থ 'ভোর')। এটি ১৯৩৫ সালে শুরু হয়েছিল এবং এটি জাতীয় জাতীয় কংগ্রেসে সমাজতান্ত্রিক গোষ্ঠীর ইশতেহার ছিল। এটি ১৯৪২ সালে, একে গোপালান এবং ই এম এস নাম্বুদিরিপদের মতো প্রখ্যাত নেতাদের (যিনি প্রকৃতপক্ষে পত্রিকার তহবিল সংগ্রহের জন্য তাঁর পূর্বপুরুষদের সমস্ত সম্পত্তি দান করেছিলেন) এর প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশাভিমানি শুরু হয়েছিল এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির কণ্ঠে পরিণত হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে ১৯৬৪ সালে সিপিআই থেকে বিভক্ত হওয়ার পরে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) -এর কণ্ঠস্বর হয়। মত বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ, ভি টি ইন্দিচুদন, কে পি আর গোপালন, ইকে নয়ানার এবং ভি এস অচুথানন্দন দেশাভিমানির প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দক্ষিণ ভারতের বহু নামকরা সাংবাদিক দেশভিমানির হয়ে কাজ করেছেন। দেশভিমণির সাথে যে সাংবাদিকরা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পি গোবিন্দপিল্লাই, ইজাচেরি রামচন্দ্রন, প্রভা বর্মা, কে মোহনান, সিএম আবদুল রেহমান, নরিকুট্টি মোহনান, পিএম মনোজ এবং বি আবুরাজ।
প্রকাশনা
সম্পাদনা- দেশভিমানি ভারিকা (সাপ্তাহিক)
- থাতাম্মা (শিশু প্রকাশনা)
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Highest Circulated Daily Newspapers (language wise)" (পিডিএফ)। Audit Bureau of Circulations। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০।
- ↑ P. Karunakaran (৮ সেপ্টেম্বর ২০০২)। "Struggle, Survival And Surging Ahead"। People's Democracy। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Sangeeta Tanwar (১০ মে ২০১০)। "IRS 2010 Q1: Dailies in Kerala lose readers after gaining in the last round"। Indian Readership Survey। afaqs.com। ১০ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪।