দেবীগঞ্জ উপজেলা

পঞ্চগড় জেলার একটি উপজেলা

দেবীগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

দেবীগঞ্জ
উপজেলা
মানচিত্রে দেবীগঞ্জ উপজেলা
মানচিত্রে দেবীগঞ্জ উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৬°৭′২১″ উত্তর ৮৮°৪৫′৪৫″ পূর্ব / ২৬.১২২৫০° উত্তর ৮৮.৭৬২৫০° পূর্ব / 26.12250; 88.76250 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাপঞ্চগড় জেলা
আয়তন
 • মোট৩০৯.০৪ বর্গকিমি (১১৯.৩২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট১,৮৫,৯৬০
 • জনঘনত্ব৬০০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৭৭ ৩৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ইতিহাস সম্পাদনা

দেবীগঞ্জ এর নামকরণ নিয়ে দুইটি মত প্রচলিত আছে। একটি মত হলো, এ জনপদটি পূর্বে হিন্দু অধ্যুসিত ছিল। এখানে অনেক দেব-দেবীর মূর্তি পাওয়া যেত। এ সব দেব-দেবীর নাম থেকে দেবীগঞ্জ নামটি হতে পারে। অপর মতটি হলো, সন্যাসী বিদ্রোহের অন্যতম রূপকার ও খ্যাতিমান নেত্রী- দেবী চৌধুরানীর অবাধ বিচরণ স্থল ছিল এ এলাকাটি। এখানকার ঘন বনাঞ্চলে প্রবাহিত করতোয়া, তিস্তা, আত্রাই ও কুড়ুম নদীর বাঁকে বাঁকে বৃটিশদের সাথে কয়েক দফা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে বিজয়ী হন এবং এখানকার অধিবাসীদের আশা- ভরসা ও শৌর্য বীর্যের প্রতীক হয়ে উঠেন। দেবী চৌধুরানীর স্মৃতি থেকে এর নামকরণ হয় দেবীগঞ্জ। দেবী চৌধুরানীর প্রধান সহযোগী ভবানী পাঠক এর নামে নিকটস্থ আরেকটি এলাকার নামকরণ করা হয়েছে ভবানীগঞ্জ।

দেবীগঞ্জ সহ পঞ্চগড় জনপদ ছিল কোচবিহার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। ১৭১১ সালে মোঘল ও কোচবিহার রাজার মধ্যে সন্ধি হয়। রাজা রূপ- নারায়ন কোচবিহার রাজ্য সন্ধিসূত্রে লাভ করেন। ১৭৭৬ সালে মোঘলদের ফকিরকুন্তি নামক ফৌজদারী অঞ্চল প্রাচীন রংপুর জেলায় রূপান্তরিত হয়। ১৮৫৭ সালে প্রশাসনিক সুবিধার্থে তিনটি মহকুমা সৃষ্টি করা হয় এবং এর সর্ব উত্তরের মহকুমার নাম হয় তেঁতুলিয়া। এই তেঁতুলিয়া মহকুমার মধ্যে ছিল বোদা চাকলা এবং দেবীগঞ্জ জনপদ ছিল বোদা চাকলার অধীন। ১৯৮০ সালে ঠাকুরগাঁও মহকুমার আটোয়ারী থানাসহ ৫টি থানা নিয়ে পঞ্চগড় মহকুমা গঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় জেলা গঠিত হয় ও দেবীগঞ্জ উপজেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

অবস্থান ও আয়তন সম্পাদনা

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের দক্ষিণ পূর্ব এলাকায় অবস্থিত দেবীগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলার উত্তরে বোদা উপজেলাপঞ্চগড় সদর উপজেলা, দক্ষিণে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলাখানসামা উপজেলানীলফামারী সদর উপজেলা, পূর্বে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলাভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিমে বোদা উপজেলাঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা

উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন সম্পাদনা

ক্রম নং. পদবী নাম
০১ উপজেলা চেয়ারম্যান মালেক চিশতি
০২ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল হোসেন সরকার
০৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার
০৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম

প্রশাসনিক এলাকা সম্পাদনা

দেবীগঞ্জ উপজেলায় একটি পৌরসভা রয়েছে যথা-


দেবীগঞ্জ উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যথা-

যোগাযোগ সম্পাদনা

সড়ক পথে-ঢাকা থেকে ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু জাতীয় মহাসড়ক পথে রংপুর পর্যন্ত এবং রংপুর থেকে ৩৫ কিলোমিটার আসলে সৈয়দপুর এবং সৈয়দপুর থেকে উত্তর মুখো হয়ে নীলফামারী জেলা এবং নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলা থেকে ০৬ কিঃমি পশ্চিম উত্তর দিকে আসলে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।

পঞ্চগড়- দেবীগঞ্জঃ পঞ্চগড় থেকে জাতীয় মহাসড়ক পথে ২০কি.মি. আসলে বোদা উপজেলা এবং বোদা থেকে পূর্ব দিকে ২০কি.মি. আসলে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।

দিনাজপুর- দেবীগঞ্জঃ দিনাজপুর থেকে মহাসড়ক পথে ২০ কি.মি. পথ আসলে বীরগঞ্জ উপজেলা, বীরগঞ্জ থেকে ১০ কিঃমি উত্তরে খানসামা, ১০ কি.মি. উত্তরে ঝাড়বাড়ী নামক বাজার এবং ঝাড়বাড়ী থেকে পর্যায়ক্রমে ০৬ কিঃমি লক্ষ্মীনারায়নী,০২ কিঃমি ফুলবাড়ীবাজার, ০৪ কিঃমি কালীগঞ বাজার হয়ে সর্বমোট ৬৫কিঃমি (দিনাজপুর-দেবীগঞ্জ) পথ আসলে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ।

দর্শনীয় স্থান সম্পাদনা

 

নদীসমূহ সম্পাদনা

 
দেবীগঞ্জের কাছে তোলা করতোয়া নদীর দৃশ্য।

দেবীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১০টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে করতোয়া,পাথরাজ, ছাতনাই, বুড়ি তিস্তা, কালিদহ,বাংগা, খরখরিয়া এবং কুড়ুম নদী[২][৩][3]

কৃতি ব্যক্তি সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে দেবীগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।
  3. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা