দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সদরে অবস্থিত। এই শতবর্ষী বিদ্যালয়টি উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি।[১] এটি দেবিদ্বার পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে, দেবিদ্বার থানা ও পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
, ৩৫৩০ | |
তথ্য | |
নীতিবাক্য | জ্ঞানই আলো |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ |
প্রতিষ্ঠাতা | নবাব স্যার কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী |
কর্তৃপক্ষ | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
অধ্যক্ষ | নেই |
শ্রেণি | ৬ষ্ঠ – ১০ম |
লিঙ্গ | সহশিক্ষা |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ২০০০ |
ভাষা | বাংলা |
বিদ্যালয়ের কার্যসময় | ৮ ঘণ্টা |
ক্যাম্পাস | দেবিদ্বার, কুমিল্লা |
শিক্ষায়তন | ৬ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | পৌর |
রং | সাদা ও নেভি ব্লু |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, হ্যান্ডবল, হাডুডু |
Communities served | স্কাউট, বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্ট |
শিক্ষা বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা |
প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক | বাবু বসন্ত কুমার দাস |
বিদ্যালয়টি প্রভাতি ও দিবা-এই দুই শিফটে পাঠদান করে আসছে। এটি একটি উচ্চ বিদ্যালয়; ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম চালানো হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।
ইতিহাস
সম্পাদনানওয়াব কাজী গোলাম মহিউদ্দিন ফারুকী ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর পিতা কাজী রেয়াজ উদ্দিন আহমদ ফারুকীর নামে অত্র বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের পরিমাণ ৬ একর। এছাড়াও এ.বি.এম গোলাম মোস্তফা স্টেডিয়ামটিও বিদ্যালয়ের মালিকাধীন।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিদ্যালয়টি একটি বালক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও; প্রতিষ্ঠার ৯১ বছর পর ২০১১ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়ে মডেল বিদ্যালয়ে উন্নীত হলে ছাত্রী ভর্তি করানো শুরু হয়।[২] বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছাত্র/ছাত্রী উভয়েরই অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।
২০১৬ সালে সরকারের 'প্রত্যেক উপজেলায় ন্যুনতম একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় করা' প্রকল্পের আওতাধীন হয়ে এই বিদ্যালয়টির সরকারিকরণ সম্পন্ন হয়।[৩]
শতবর্ষ উদযাপন
সম্পাদনাবিদ্যালয়টি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে ২০১৮ সালে বিদ্যালয়টির শতবর্ষ পূর্ণ হয়। ৩ মার্চ, ২০১৮ সালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিশাল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন করা যায়।[৪] এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এছাড়াও সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সী এবং সাংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল উপস্থিত ছিলেন।
পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র/ছাত্রীসহ সকল ব্যাচের প্রাক্তনরাও উপস্থিত ছিলেন। এদিন স্কুল প্রাঙ্গণ এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
অনুুুষ্ঠানের স্থিরচিত্র:
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীবৃন্দ
সম্পাদনা- মোজাফফর আহমদ (ন্যাপ); প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ন্যাপ
- ক্যাপ্টেন সুজাত আলী; বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য (১৯৭০, ১৯৭৩)
- হাসনাত আব্দুল্লাহ;২০২৪ এ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ও আহ্বায়ক
চিত্রশালা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আজ"। দৈনিক নয়া দিগন্ত। ২০২০-০১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১২।
- ↑ shawkat। "দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মডেল স্কুলে উন্নীত | comillaweb.com" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৩।
- ↑ "দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশের দৃশ্য"। old.teachers.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Comilla.tv। "দেবিদ্বারে রেয়াজ উদ্দিন বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি পালনের প্রস্তুতি"। comilla tv (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৩।