দৃশ্যমান বর্ণালি বা দৃশ্য বর্ণালি বা আলোক বর্ণালি হচ্ছে তড়িচ্চুম্বকীয় বর্ণালীর সেই অংশ যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান অর্থাৎ যা মানুষের চোখ চিহ্নিত করতে পারে। এই তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সীমার তড়িচ্চুম্বকীয বিকিরণকে দৃশ্যমান আলো বা শুধু আলো বলে অভিহিত করা হয়। মানুষের চোখ ৩৮০ থেকে ৭৮০ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে সাড়া দেয়[১]কম্পাঙ্কে এই সীমা ৭৯০ টেরাহার্জ থেকে ৪০০ টেরাহার্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। মানুষের চোখ সর্বোচ্চ প্রায় ৫৫৫ ন্যানোমিটার পর্যন্ত "দেখতে" পারে যা দৃশ্যমান বর্ণালির সবুজ রঙের এলাকায় অবস্থিত। অবশ্য মানুষের চোখ এবং মস্তিষ্ক আলাদা করে চিনতে পারে এমন অনেক রঙই দৃশ্যমান বর্ণালিতে নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ঔজ্জ্বল্য পরিবর্তিত রং যেমন গোলাপী কিংবা মিশ্র রং ম্যাজেন্টা এই বর্ণালিতে অনুপস্থিত কারণ এই রঙগুলি একাধিক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মিশ্রণের ফলে সৃষ্টি হয়।

প্রিজমের দ্বারা সাদা আলোকে দৃশ্যমান বর্ণালীতে বিভক্তকরণ।

অনেক প্রজাতির প্রাণির চোখ মানুষের চোখে দৃশ্যমান বর্নালী ছাড়া ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে সংবেদনশীল হয়। যেমন মৌমাছির মত অনেক কীটপতঙ্গ অতিবেগুনী আলোতে দেখতে পায় যা ফুলের মধু আহরণে তাদেরকে সহায়তা করে। পাখিরাও অতিবেগুনী আলোতে (৩০০-৪০০ ন্যানোমিটার) দেখতে পায়। কিছু কিছু পাখির যৌন নির্ভর চিহ্ন শুধুমাত্র অতিবেগুনী আলোতে দেখা যায়[২][৩]

বর্ণালীভুক্ত রং সম্পাদনা

 
sRGB rendering of the spectrum of visible light
রঙ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য

ন্যানোমিটার(nm)

বেগুনী ৩৮০–৪২৪;
নীল ৪২৫–৪৫০;
আসমানী ৪৫১-৫০০;
সবুজ ৫০১–৫৭৫;
হলুদ ৫৭৬–৫৯০;
কমলা ৫৯১–৬৪৭;
লাল ৬৪৮–৭৮০;

ইতিহাস সম্পাদনা

বর্ণালীবিদ্যা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Cecie Starr (২০০৫)। Biology: Concepts and Applications। Thomson Brooks/Cole। আইএসবিএন 053446226X 
  2. Cuthill, Innes C (১৯৯৭)। "Ultraviolet vision in birds"। Peter J.B. Slater। Advances in the Study of Behavior29। Oxford, England: Academic Press। পৃষ্ঠা 161। আইএসবিএন 978-0-12-004529-7  অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  3. Jamieson, Barrie G. M. (২০০৭)। Reproductive Biology and Phylogeny of Birds। Charlottesville VA: University of Virginia। পৃষ্ঠা 128। আইএসবিএন 1578083869