দীন দয়াল উপাধ্যায় নগর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিই মুঘলসরাই জায়গার গুরুত্ব বুঝে মুঘলসরাই জংশন তৈরির কথা ভাবে। রেললাইন পেতে মুঘলসরাইয়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় দিল্লি ও হাওড়াকে। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ‘মার্শালিং ইয়ার্ড’ এবং ভারতীয় রেলের সবচেয়ে বড় ওয়াগন তৈরির ওয়ার্কশপও এই মুগলসরাইতেই। টিকিট বুকিং-এর দিক থেকেও দেশের প্রথম একশোটি স্টেশনের মধ্যে বরাবরই প্রথম দিকে এই স্টেশনের নাম।[১] মুঘলসরাই ইয়ার্ড এক মাসে প্রায় ৪৫০–৫০০ ট্রেনের ব্যবস্থা করে।[২] প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির ইস্ট বাউন্ড রাজধানী ট্রেন এবং দুরন্ত ট্রেনগুলি সহ সমস্ত ট্রেন থামে (পুরো ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কে এটিকে অনন্য করে তোলে; যা এটিকে অন্যান্য বড় রেলওয়ে স্টেশন যেমন প্রয়াগরাজ জংশন, ভোপাল জংশন, আগ্রা ক্যান্ট, গোয়ালিয়র জংশন থেকে আলাদা করে) , খড়গপুর, নাগপুর ইত্যাদি) এই স্টেশনে। মুঘলসরাইয়ের প্রধান স্থাপনাগুলির মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভ শেড, যা ১৪৭টি লোকোমোটিভ ধারণ করতে পারে, ৫৩টি লোকোমোটিভ ধারণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন ডিজেল লোকোমোটিভ শেড, ওয়াগন ROH শেড এবং একটি ১৬৯টি শয্যা বিশিষ্ট বিভাগীয় হাসপাতাল।
দীন দয়াল উপাধ্যায় নগর জংশন পূর্বে মুঘলসরাই জংশন | |
---|---|
এক্সপ্রেস ট্রেন এবং যাত্রী স্টেশন | |
অবস্থান | মুঘলসরাই – ২৩২১০১, চন্দৌলি জেলা, উত্তরপ্রদেশ ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৬′৩৬″ উত্তর ৮৩°০৭′০২″ পূর্ব / ২৫.২৭৬৭° উত্তর ৮৩.১১৭৩° পূর্ব |
উচ্চতা | ৭৯.২৭৩ মিটার (২৬০.০৮ ফুট) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল |
পরিচালিত | পূর্ব মধ্য রেল |
লাইন | হাওড়া–দিল্লি প্রধান লাইন, হাওড়া-গয়া-দিল্লি লাইন, হাওড়া-এলাহাবাদ-মুম্বাই লাইন, গয়া-মুঘলসরাই লাইন, মুঘলসরাই-কানপুর লাইন, গ্র্যান্ড কর্ড, পাটনা-মুঘলসরাই লাইন, মুঘলসরাই-বারাণসী-লখনউ লাইন |
প্ল্যাটফর্ম | ৮ |
রেলপথ | ২৩ |
সংযোগসমূহ | অটোরিকশা স্ট্যান্ড |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | ভূমীগত |
পার্কিং | আছে |
সাইকেলের সুবিধা | আছে |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | চালু |
স্টেশন কোড | DDU (formerly MGS) |
অঞ্চল | পূর্ব মধ্য রেল |
বিভাগ | মুঘলসরাই |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৬২ |
বৈদ্যুতীকরণ | ১৯৬১–৬৩ |
আগের নাম | মুঘলসরাই |
যাতায়াত | |
যাত্রীসমূহ | ৩ লাখ যাত্রী প্রতিদিন |
অবস্থান | |
উত্তরপ্রদেশে অবস্থান | |
![]() |
ইতিহাস
সম্পাদনাঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি দিল্লি ও হাওড়াকে সংযুক্ত করতে শুরু করে। করাচির কাছে (এখন পাকিস্তানে) গাদ্দারের পরে এটি ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন যা ১৮৬২ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসাবে বিখ্যাত, ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে নামে পরিচিত ব্রিটিশ রেলওয়ে কোম্পানি এই জংশনটি দিল্লি-কে কলকাতার সাথে সংযোগ করার একটি প্রকল্পের অংশ হিসাবে স্থাপন করা হয়েছিল।
স্টেশনটি গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড রুটে অবস্থিত। এটি ছিল মুঘল আমলের অন্যতম ব্যস্ত করিডোর যা পূর্ব ভারতকে উত্তরের সাথে সংযুক্ত করেছিল। ১৮৬২ সালে, রেলপথগুলি মুঘলসরাই অতিক্রম করে যমুনার পশ্চিম তীরে পৌঁছেছিল। [৩] দিল্লির সাথে কলকাতার যোগাযোগ ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [৪] গ্র্যান্ড কর্ড ১৯০৬ সালে কমিশন করা হয়েছিল।[৫]
গঙ্গা জুড়ে ডাফেরিন সেতু ১৮৮৭ সালে খোলা হয়েছিল, যা মুঘলসরাইকে বারাণসীকে সংযুক্ত করেছিল।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "[IRFCA] Indian Railways FAQ: Freight Sheds and Marshalling Yards"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ Sood, Jyotika (১৭ অক্টোবর ২০১৭)। "Railways to invest Rs3,000 crore to mechanize, automate yards"। Mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ Dikshit, Rajeev (৫ আগস্ট ২০১৭)। "Mughalsarai: The many names of Mughalsarai"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "IR History: Early History (1832–1869)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।
- ↑ "IR History: Part III (1900–1947)"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৩।