দাকোপ উপজেলা
দাকোপ উপজেলা পশুর নদীর পাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশের খুলনা জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা। দাকোপের প্রশাসনিক অঞ্চল চালনায় অবস্থিত। দাকোপের সাথে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা, পাইকগাছা উপজেলা এবং বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সীমানা রয়েছে।
দাকোপ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে দাকোপ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৪′১১″ উত্তর ৮৯°৩০′৩৯″ পূর্ব / ২২.৫৬৯৭২° উত্তর ৮৯.৫১০৮৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | খুলনা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৯৯১.৯৮ বর্গকিমি (৩৮৩.০১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ১,৫৮,৩০৯ |
• জনঘনত্ব | ১৬০/বর্গকিমি (৪১০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৪৭ ১৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাদাকোপের ভৌগোলিক অবস্থান ২২°৩৪′২০″ উত্তর ৮৯°৩০′৪০″ পূর্ব / ২২.৫৭২২° উত্তর ৮৯.৫১১১° পূর্ব। দাকোপের মোট আয়তন ৯৯১.৫৮ কিমি²। উত্তরে বটিয়াঘাটা উপজেলা, দক্ষিণে পশুর নদী, পূর্বে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলা ও মোংলা উপজেলা, পশ্চিমে পাইকগাছা উপজেলা ও কয়রা উপজেলা।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯১৩ সালে দাকোপ থানার প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৯টি ইউনিয়ন (লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, বানিশান্তা, বাজুয়া, দাকোপ, কামারখোলা, সুতারখালী,পানখালী, তিলডাঙ্গা),১টি পৌরসভা (চালনা), ২৬ মৌজা এবং শতাধিক গ্রাম নিয়ে দাকোপ থানা গঠিত। ১৯৭১ সালে দাকোপে অবস্থিত বাজুয়া উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা সংঘটিত হয়। শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে যুদ্ধ সৌধ স্মৃতি অম্লান নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাদাকোপ উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত, সেগুলি হল:
- বাজুয়া ইউনিয়ন
- কামারখোলা ইউনিয়ন
- লাউডোব ইউনিয়ন
- তিলডাঙ্গা ইউনিয়ন
- সুতারখালী ইউনিয়ন
- লাউডোব ইউনিয়ন
- পানখালী ইউনিয়ন
- বানিশান্তা ইউনিয়ন
- কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়ন
দাকোপ উপজেলার একমাত্র পৌরসভাটি হলো-চালনা পৌরসভা। ব্রিটিশ শাসনামলে চালনা বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হতো, পরবর্তীতে মোংলাকে বন্দর করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাজনসংখ্যা ১৫৭৪৮৯; পুরুষ ৮৩১৯৩, মহিলা ৭৪২৯৬। হিন্দু ১,১২,৫৬৪, মুসলিম ৪২,০৫৮,খ্রিস্টান ২৭৬০ এবং অন্যান্য ১৩১।
স্বাস্থ্য
সম্পাদনাএখানে একটি ২৫০ বেড বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল হয়েছে।
শিক্ষা
সম্পাদনাপ্রাথমিক বিদ্যালয়
সম্পাদনা- ১৫ নং কৈলাশগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম কামিনী বাসিয়া রাসখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বটবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পার-জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গুনারী শীতল চন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়
- আড়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বটবুনিয়া জে. এন. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- হামিদা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সোনাপাখি প্রি-ক্যাডেট স্কুল
- নতুনকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন
- দক্ষিণ গুনারী উপেন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কাচারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- কৈলাশগঞ্জ শ্যামাপদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- প্রফুল্লচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুড়ির ডাবর
- সুতারখালি(২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- মাতৃমন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম বাজুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বাজুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
- বাজুয়া বেড়েরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সম্পাদনা- বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় কৈলাশগঞ্জ, দাকোপ, খুলনা
- পশ্চিম কামিনী বাসিয়া রাসখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বাজুয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।
- বাজুয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়।
- কৈলাশগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- গুনারী শীতল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বটবুনিয়া কলেজিয়েট স্কুল
- মোজামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- নলিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কালাবগী সুন্দারবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- জে পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- চালনা কে সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বুড়ির ডাবর এস.ই.এস.ডি.পি. মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- লক্ষীখোলা জি টি পল্লিমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- কালিনগর জি,সি মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
কলেজ
সম্পাদনা- চালনা কলেজ
- চালনা এম এম কলেজ
- চালনা মহিলা কলেজ,চালনা
- বাজুয়া সুরেন্দ্রনাথ ডিগ্রি কলেজ
- এল.বি.কে সরকারি ডিগ্রী কলেজ, বাজুয়া
কৃষি
সম্পাদনাদাকোপের অর্থনীতি ধান চাষে,এবং বিশেষত তরমুজ চাষের উপর নির্ভর করে। তরমুজের সময় দাকোপে কয়েকশ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে থাকে।এটা অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
অর্থনীতি
সম্পাদনাদাকোপ থানার অর্থনীতি কৃষি এবং চিংড়ি চাষের উপর নির্ভরশীল। এই থানার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে চিংড়ি ঘেরগুলোতে বাগদা চিংড়ির চাষ হয়। তবে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে চিংড়ি চাষের পরিবর্তে তরমুজ চাষ ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ।
যোগাযোগ
সম্পাদনা- নদী পথ
নদী পথে জেলা শহর খুলনা হতে লঞ্চ অথবা ট্রলারযোগে যাওয়া যায়
- সড়ক পথ
সড়কপথে বাস,ইজিবাইক,মোটরসাইকেল যাওয়া যায়
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা
সম্পাদনা- ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন রিসোর্ট কৈলাশগঞ্জ
- বনলতা ইকো কটেজ কৈলাশগঞ্জ
- সুন্দরবন
- কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র
- শেখেরটেক ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র
- কালাবগী ঝুলন্তপাড়া
- কৈলাশগঞ্জের শতবর্ষী কাছারি বাড়ি
বিবিধ
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে দাকোপ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারী ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাখুলনা বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |