থিলান সামারাবীরা

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
(থিলান সামারাবিরা থেকে পুনর্নির্দেশিত)

থিলান থুসারা সামারাবীরা (সিংহলি: තිලාන් සමරවීර; জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত থিলান সামারাবীরা কার্যকরী অফ-স্পিনার হিসেবেও দলে ভূমিকা রাখছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন।

থিলান সামারাবীরা
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামথিলান থুসারা সামারাবীরা
জন্ম (1976-09-21) ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ (বয়স ৪৭)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
উচ্চতা৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কদিলীপ সামারাবীরা (ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৮৬)
২৯ আগস্ট ২০০১ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট৩ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৭)
৬ নভেম্বর ১৯৯৮ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২ এপ্রিল ২০১১ বনাম ভারত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৬-৯৮কোল্টস ক্রিকেট ক্লাব
১৯৯৮-২০১৩সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব
২০০৮-২০১০কন্দুরাতা
২০১১ওয়েয়াম্বা
২০১২কন্দুরাতা ওয়ারিয়র্স
২০১৩ওরচেস্টারশায়ার (জার্সি নং ৩)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৮১ ৫৩ ২৭১ ১৯৪
রানের সংখ্যা ৫,৪৬২ ৮৬২ ১৫,৫০১ ৩,৫৬৮
ব্যাটিং গড় ৪৮.৭৬ ২৭.৮০ ৪৮.৫৯ ৩২.৭৩
১০০/৫০ ১৪/৩০ ২/০ ৪৩/৭৬ ২/১৯
সর্বোচ্চ রান ২৩১ ১০৫* ২৩১ ১০৫*
বল করেছে ১,৩২৭ ৭০২ ১৭,৯৬১ ৪,৭৬৯
উইকেট ১৫ ১১ ৩৫৭ ১১০
বোলিং গড় ৪৫.৯৩ ৪৯.২৭ ২৩.৪৩ ২৮.৮৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৫
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৪/৪৯ ৩/৩৪ ৬/৫৫ ৭/৩০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪৫/– ১৭/– ২০২/– ৬৬/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ২ মার্চ ২০১৭

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

সামারাবীরা অফ-স্পিনার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করলেও মুত্তিয়া মুরালিধরনের জন্য জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ১৯৯৮ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে খেলার সুযোগ পান। কিন্তু টেস্ট খেলার জন্য তাকে আগস্ট, ২০০১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারত দলের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সবাইকে অবাক করে দেন। তার অসামান্য ক্রীড়ানৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী ভারত দলের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় করে। পরবর্তী পাঁচ টেস্টে তিনি আরও দু’টি শতক করেন যার সবগুলোই নিজ মাঠ কলম্বোর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে করেছিলেন।

এরফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তার অবস্থান পাকাপোক্ত হয় ও দলে মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে অবসরগ্রহণকারী অরবিন্দ ডি সিলভাহাসান তিলকরত্নের শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম হয়।

কিন্তু ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজে চার ইনিংসের কোনটিতেই দুই সংখ্যা গড়তে ব্যর্থ হওয়ায় দল থেকে বাদ পড়েন। এরপর তাকে শ্রীলঙ্কা এ দলের অধিনায়ক মনোনীত করা হয়। ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পুনরায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উভয় ইনিংসে যথাক্রমে ১৩ ও ২০ রান সংগ্রহ করেন। ফলে তাকে রেখে কুমার সাঙ্গাকারাকে হোবার্ট টেস্টে নেয়া হয়। তারপর থেকেই দলে অনিয়মিত ছিলেন তিনি। ক্যান্ডিতে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তাকে ডাক দেয়া হয়।[১]

২০১১ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দূর্বল খেলা উপহার দেয়ায় পাকিস্তান দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজে তাকে নেয়া হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাকে দলের বাইরে রাখলেও শেষদিকে মাহেলা জয়াবর্ধনের হাঁটুর আঘাতপ্রাপ্তির কারণে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[২] তিন টেস্ট সিরিজের দুইটিতে তিনি সেঞ্চুরি করেন। এরফলে আইসিসি প্লেয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো শীর্ষ দশে অন্তর্ভুক্ত হন।[৩]

লাহোর আক্রমণের শিকার সম্পাদনা

আরও পাঁচজন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের সাথে তিনিও লাহোর আক্রমণের শিকার হন। ৩ মার্চ, ২০০৯ তারিখে পাকিস্তান সফরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যাবার পথে তাদের বাসে আক্রমণ হয়। অন্যদের তুলনায় তিনি বেশি আহত হন। উরুতে আঘাত পাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।[৪] আক্রমণে দুইজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

কলম্বোর আনন্দ কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। ইরান্দাতি সামারাবীরা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির ওসুনি ও সিদ্ধা নাম্নী দুই কন্যা রয়েছে। ভাই দিলীপ সামারাবীরাও শ্রীলঙ্কার পক্ষে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "'Thought my career had ended' - Samaraweera"ESPNcricinfo। ১৫ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১২ 
  3. "Clarke vaults into top 10 after unbeaten triple century"icc-cricket.yahoo.netInternational Cricket Council। ৮ জানুয়ারি ২০১২। ১০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. (3 March 2009). "Sri Lankan cricket players shot in terrorist attack in Lahore". Sydney Morning Herald.

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা