থাইল্যান্ডে সমকামীদের অধিকার

সমকামিনী, সমকামী, উভকামী এবং হিজড়ারা থাইল্যান্ডে সামাজিক অনেক সমস্যার মুখোমুখি হন যদিও দেশটিতে সমকামিতা আইনগতভাবে বৈধ।[১] সমকামিতার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম সহনশীল দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নারী সমকামিতা এবং পুরুষ সমকামিতা দুটোই থাইল্যান্ডে বৈধ কিন্তু সমলিঙ্গের যুগল এবং সমলিঙ্গের যুগলদের বাসা থাইল্যান্ডের সমাজের মানুষ ভালো চোখে দেখেনা।[২] ২০১৩ সালে 'ব্যাংকক পোস্ট' পত্রিকায় বলা হয় যে,......থাইল্যান্ড সমকামী যুগলদের জন্যে একটি ভালো পর্যটকবান্ধব জায়গা হলেও এ সম্পর্কে দেশটির আইন এবং সমাজের মানুষের মন-মানসিকতা অতটা উদার নয়। 'আঞ্জারী' হচ্ছে থাইল্যান্ডে সমকামিতার পক্ষ নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন।

সমকামী অধিকার : থাইল্যান্ড থাইল্যান্ড
সমকামী অধিকার?১৯৫৬ সাল থেকে সমকামিতা বৈধ, যৌনমিলনের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ করা হয় ১৯৯৭ সালে।
লিঙ্গ স্বীকৃতিহ্যাঁ
সামরিক চাকরিতেহ্যাঁ, ২০০৫ সাল থেকে
বৈষম্য নিরাপত্তাহ্যাঁ, ২০১৫ থেকে
পারিবারিক অধিকার
সম্পর্কের স্বীকৃতিনা

আইনগত অবস্থা সম্পাদনা

ব্যক্তিগত, প্রাপ্তবয়স্ক, সম্মতিপ্রাপ্ত এবং অবাণিজ্যিক পায়ুকাম ১৯৫৬ সালে সরকার কর্তৃক বৈধতা পায়।[৩] দৈহিক মিলনের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ করা হয় ১৯৯৭ এ। ২০০২ সালে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমকামিতাকে 'মানসিক রোগ' হিসেবে আখ্যা দেওয়া বন্ধ করে।[৪] ১৯৯০ এর দশকে এ দেশের কিছু মানুষ সমকামিতাকে ভালো চোখে দেখা শুরু করে, বিশেষ করে একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। ২০০৫ সালে থাই সামরিক বাহিনী সমকামী ব্যক্তিদের নেওয়া শুরু করে, এর আগে সমকামীদের সামরিক বাহিনীতে ঢুকতে দেওয়া হতনা, বলা হত যে সমকামীরা নাকি মানসিকরোগী, ১৯৫৪ সালের একটি আইনই ছিল এরকম। ২০০৭ সালে থাই সরকার ধর্ষণের নতুন সংজ্ঞা প্রদান করে যেখানে নারীর সঙ্গে পুরুষকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকার বৈবাহিক ধর্ষণও অবৈধ ঘোষণা করে, এবং আইনে বলা নারী ও পুরুষ উভয়ই ধর্ষিত হতে পারে। ২০০৯ এর মে মাসে থাই রেড ক্রস সমকামীদের ব্লাড ডোনেশনের অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে এ নিয়ে ক্যামপেইন হয়েছিল।[৫] ২০১৫ এর সেপ্টেম্বরে 'লিঙ্গ সমতা আইন' করা হয় যেটার কাজ হচ্ছে সমকামীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য সমাজ থেকে উঠিয়ে দেওয়া।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Chaiyot Yongcharoenchai (২০১৩-০৯-০৮)। "The two faces of Thai tolerance"Bangkok Post [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Siraphob Thanthong-Knight Deu। "The bitter truth behind Thailand's gay-friendly image"। nationmultimedia.com। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. Shivananda Khan, "Assessment of sexual health needs of males who have sex with males in Laos and Thailand" (পিডিএফ) [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (425 KB), Naz Foundation International, February 2005
  4. "Gay Rights in Thailand 2007"। ৩ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "สภากาชาดปรับเกณฑ์ไม่รับเลือดกลุ่มเกย์-คนสำส่อน หวั่นเป็นแหล่งติดเชื้อ"Manager Online। ১১ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৫ 
  6. http://www.bangkokpost.com/news/general/977149/learn-about-lgbti-say-activists