ত্রি-চন্দ্র কলেজ
ত্রি-চন্দ্র মাল্টিপল ক্যাম্পাস, এটি বিশেষভাবে ত্রি-চন্দ্র কলেজ নামে পরিচিত, কাঠমান্ডুর ঘান্তাগড়ে অবস্থিত ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি কলেজ। ১৯১৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শমসের কর্তৃক স্থাপিত এটি নেপালের উচ্চতর শিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান।
ধরন | সরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ১৯১৮ |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর ডঃ সুনীল অধিকারী |
অবস্থান | ঘান্তাগড়, কাঠমান্ডু , |
ওয়েবসাইট | trichandracampus |
বর্তমান নাম ত্রি-চন্দ্র দুটি শব্দের সংক্ষিপ্ত সংমিশ্রণ: মহারাজাধিরাজ ত্রিভুবন বীর বিক্রম শাহেরত্রিভুবন এবং প্রধানমন্ত্রী শমসেরের রানা থেকে চন্দ্র চন্দ্র। কলেজটির নামকরণ প্রথমে ত্রিভুবন চন্দ্র ইন্টারমিডিয়েট ক্যাম্পাস করা হলেও পরে বর্তমানের সংক্ষিপ্ত নামকরন ত্রি-চন্দ্র কলেজ করা হয়। [১]
ইতিহাস
সম্পাদনানেপালের উচ্চশিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান ত্রি-চন্দ্র কলেজ ১৯১৮ সালে চন্দ্র শমসের জাং বাহাদুর রানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । কলেজটিতে এক বছর পরে ইন্টারমিডিয়েট স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়, যা দেশে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞানের শিক্ষার প্রবর্তন হিসাবে ধরা হয়। ১৯২৪ সালে, মাত্র ৩০ জন ছাত্র দিয়ে চার বছরের কোর্সের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়[২] যাইহোক, ১৯৫১ সালে গণতন্ত্রের আগ পর্যন্ত কলেজটি সাধারণ জনগণের পক্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিল না, কেবলমাত্র রানা সরকারের বিশেষ অনুগত সদস্যদের কাছেই এই কলেজ প্রবেশযোগ্য ছিল। ঐ সময়ে ভারতে ঔষধ, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি, বনজ বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার উদ্দেশ্যে এখানে বিজ্ঞানমনস্ক ছাত্রদের ভর্তি করান হত। ত্রি-চন্দ্রের বিজ্ঞান শিক্ষাকে ১৯৪৫ সালে স্নাতক স্তরে (বিএসসি) উন্নীত করা হয়েছিল। ত্রি-চন্দ্র কলেজ মূলত ১৯৫৯ সাল থেকে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হওয়ার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, পরে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। [৩]
অনুষদ ও বিভাগ
সম্পাদনাকলেজটি বিজ্ঞান এবং মানবিক বিভাগে অনেক পাঠ্যক্রমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এখানে বিজ্ঞান বিভাগে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি এবং মানবিক বিভাগে বিএ ও এমএ ডিগ্রি প্রদান করে।
মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- নেপালি বিভাগ
- দর্শন এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ
- অর্থনীতি বিভাগ
বিজ্ঞান অনুষদ
সম্পাদনা- ভূতত্ত্ব বিভাগ
- আবহাওয়া বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ
- প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
- উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ
- মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ
- সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র
সম্পাদনাকলেজের কিছু নামী স্নাতক হলেন:
- সাগর সাপকতা
- দয়ানন্দ বাজ্রাছ্র্যা
- গরন থাপা
- গিরিজা প্রসাদ কোইরালা
- কনক মনি দিক্সিত
- কুল গৌতম
- লক্ষ্মী প্রসাদ দেবকোটা
- নবিন্দ্র রাজ জোষি
- নারায়ণ গোপাল
- রাম রাজ পান্ত
- হৃষীকেশ সাহা
- মেঘরাজ অধিকারী
- নবীন পাণ্ডে
- শ্যাম শর্মা
আরো দেখুন
সম্পাদনা- ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়
- নেপালের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলির তালিকা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The official website of Tri-Chandra College"। trichandracollege.edu.np। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬।
Chandra Shumsher, the Rana Prime Minister, established Tribhuvan Chandra Intermediate College now named as Tri-Chandra College in 1918.
- ↑ Harris, George Lawrence (১৯৭৩)। Area Handbook for Nepal, Bhutan, and Sikkim (ইংরেজি ভাষায়)। U.S. Government Printing Office।
- ↑ Dayananda Bajracharya; Dinesh Raj Bhuju (২০০৬)। "Science, Research and Technology in Nepal" (পিডিএফ)। unesco.org। UNESCO। পৃষ্ঠা 16–17। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৬।