ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্য

ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্য (আনু: ১২৫৮ - ১৩২০), ছিলেন একজন ভারতীয় পণ্ডিত এবং মধ্বাচার্যের অন্যতম শিষ্য।[২] তিনি বায়ুস্তূতি রচনা করেন, যা মাধব ঐতিহ্যের অন্যতম বিখ্যাত স্তোত্র[১]

ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্য
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১২৫৮
মৃত্যু১৩২০
ধর্মহিন্দুধর্ম
সন্তাননারায়ণ পণ্ডিতাচার্য
পিতামাতা
  • সুব্রহ্মণ্য পণ্ডিতাচার্য (পিতা)
দর্শনদ্বৈতবেদান্ত
ধর্মীয় জীবন
গুরুমধ্বাচার্য
সাহিত্যকর্মবায়ুস্তূতি, বিষ্ণুস্তূতি, তিথিনির্ণয়, নৃসিংহস্তূতি ও মাধব স্তোত্র[১]

জীবনী সম্পাদনা

ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্যের জীবনী বিবরণটিও তাঁর পুত্র নারায়ণ পণ্ডিতাচার্য শ্রী মাধব বিজয়া-এ যথেষ্ট বিশদভাবে দিয়েছেন। ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্যের পিতা ছিলেন সুব্রহ্মণ্য পণ্ডিতাচার্য।[১]

ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্য তার অল্প বয়সেও একজন পণ্ডিত ছিলেন এবং মাধব হিসেবে ধর্মান্তরিত হওয়ার আগেই তিনি "উষাহরণ" নামে একটি সংস্কৃত মহাকাব্য লিখেছিলেন।[৩]

ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্য ছিলেন কাসারগোড়ের রাজা যাকে বলা হয় জয়সিংহের শিক্ষক। একবার যখন শ্রী মাধবাচার্য কাসারগোদ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, তিনি শ্রী মাধবকে বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, কারণ তিনি অদ্বৈত ঐতিহ্যে বিশ্বাস করতেন।[১] বিতর্ক ৭-৮ দিন ধরে চলে এবং শেষ পর্যন্ত, তিনি শ্রী মাধবের দর্শন গ্রহণ করেন এবং তাঁর শিষ্য হন। তিনি তত্ত্ব প্রদীপিকা নামে একটি গ্রন্থও রচনা করেন, যা মধ্বাচার্যের ব্রহ্মসূত্রভাষ্যের একটি ভাষ্য।[১]

ত্রিবিক্রম পণ্ডিতাচার্যের পুত্র, নারায়ণ পণ্ডিতাচার্য, মধ্বাচার্যের জীবনী, বিখ্যাত শুমধ্ববিজয়া রচনা করেছিলেন।[২]

অবদান সম্পাদনা

ত্রিবিক্রম পণ্ডিত কিশোর বয়সে কাব্য 'উষাহরণ' রচনা করেছিলেন। পণ্ডিতাচার্যের কাছে স্বীকৃত আরও কিছু কাজ রয়েছে, যার মধ্যে তত্ত্বপ্রদীপ নামক একটি বই, যা মধ্বাচার্যের ব্রহ্মসূত্রভাষ্য এবং বায়ুস্তূতির একটি ভাষ্য।[১] আরোপিত কাজ হল:[১]

  1. বায়ুস্তূতি[৪]
  2. বিষ্ণুস্তূতি[৪]
  3. নৃসিংহস্তূতি (২২টি শ্লোকে)[৪]
  4. উষাহরণ[৫]
  5. মাধব স্তোত্র
  6. তত্ত্বপ্রদীপা[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Siraj 2012, পৃ. 735।
  2. Bryant 2007, পৃ. 361।
  3. Siraj 2012, পৃ. 734।
  4. Sharma 2000, পৃ. 216।
  5. Sharma 2000, পৃ. 214।
  6. Sharma 2000, পৃ. 215।

উৎস সম্পাদনা