ত্রিগামি ভাষা
ত্রিগামি বা কাটার গাম্বিরি, হচ্ছে একটা কথ্য ভাষা যা আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের বাতাপুর জেলার পেছ নদীর[২] নিম্নাঞ্চলের ত্রেগাম উপত্যকার গাম্বির, কাটার, এবং দেবুজ গ্রামে প্রচলিত। এই এলাকাটি হিন্দুকুশ সংলগ্ন পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। ত্রিগামি ভাষা নুরিস্তানি ভাষাপরিবারের ইন্দো-ইরানীয় শাখার একটি ভাষা। প্রায় ৩৫০০ লোকজন (২০১১ সাল অনুযায়ী) এই ভাষাতে কথা বলে। ত্রিগামির পাশাপাশি বেশির ভাগ মানুষ পশতু ভাষায় কথা বলে।
ত্রিগামি ভাষা | |
---|---|
দেশোদ্ভব | আফগানিস্তান |
অঞ্চল | নুরিস্তান প্রদেশ |
মাতৃভাষী | ৩৫০০ (২০১১)ই১৮
|
ইন্দো-ইউরোপীয়
| |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | trm |
গ্লোটোলগ | treg1243 [১] |
ত্রিগামি ভাষা বাইগালির খুব কাছাকাছি ভাষা, যা গাজিবাদ জেলার পূর্বাঞ্চলে বলা হয়, যার শব্দার্থের সাথে ৭৫% থেকে ৮০% মিল রয়েছে। যদিও ত্রিগামি গ্রাম খুবই কাছাকাছি, তবুও কাটার এবং গাম্বির গ্রামের উপভাষার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।[৩] ভাষাটিকে ইন্দো-আর্য ভাষাসমূহ[কোনটি?] এবং নুরিস্তানি কাটা-ভারি উপভাষা প্রভাবিত করেছে।[৪]
সমাজবৈজ্ঞানিক পরিস্থিতি
সম্পাদনাত্রিগামি একটি অলিখিত বিপন্ন ভাষা, যা পশতু ভাষা দ্বারা পরিবর্তিত, এ অঞ্চলের উদীয়মান ভাষা। প্রায় সব ত্রিগামি লোকজনই দ্বিভাষী এবং ত্রিগামিভাষী লোকদের কাছে তাদের ভাষা ঠিকিয়ে রাখার কোন উপায় নেই।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Tregami"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ "Iranica Online"। ৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ [১]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০১৬।
আরো পড়ুন
সম্পাদনা- Strand, Richard। "The Trêgami"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-০৮।