তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ জামে মসজিদ
তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ জামে মসজিদ বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলায় অবস্থিত একটি মুঘল আমলের একটি স্থাপত্য ও ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। মসজিদটি ১৮৮০ সালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা শহরে নির্মিত হয়েছিলো।[১][২] মসজিদটি কুষ্টিয়া জেলার প্রাচীন মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে।[৩] ইতিহাসবিদ খোন্দকার আবদুল হালিম জানান, সম্ভবত মুঘল বাদশা আওরঙ্গজেবের আমলে মসজিদটি নির্মিত হয়েছিলো।
| তেবাড়িয়া তিন গম্বুজ জামে মসজিদ | |
|---|---|
| ধর্ম | |
| অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
| অবস্থান | |
| অবস্থান | তেবাড়িয়া, কুমারখালী উপজেলা, কুষ্টিয়া জেলা, বাংলাদেশ |
| স্থানাঙ্ক | ২৩°৫১′০৩″ উত্তর ৮৯°১৪′৫০″ পূর্ব / ২৩.৮৫০৬৯৭৭° উত্তর ৮৯.২৪৭১৯২৮° পূর্ব |
| স্থাপত্য | |
| ধরন | মসজিদ |
| স্থাপত্য শৈলী | মুঘল স্থাপত্য |
| সম্পূর্ণ হয় | ১৮৮০ |
| বিনির্দেশ | |
| গম্বুজসমূহ | ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট |
| মিনার | ১ |
অবস্থান সম্পাদনা
মসজিদটি খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা শরের অদূরবর্তী তেবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত।[৪] বর্তমানে মসজিদের পাশে নতুন একটি ঈদগাহ নির্মিত হয়েছে, ঈদগাহের নাম তেবাড়িয়া ঈদগাহ। এই মসজিদের পাশে কুমারখালী উপজেলার বানিয়াকান্দী শাহী জামে মসজিদ নামে আরেকটি বিখ্যাত মসজিদ রয়েছে।
বিবরণ সম্পাদনা
মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ বলে, এর নামকরণ করা হয়েছে তিন গম্বুজ জামে মসজিদ। মসজিদটি নির্মাণের সময় প্রতিষ্ঠাতা হাজী আলিমউদ্দিন মসজিদের জমিটুকু ইসলামের নামে ওয়াকফ করে দেন। প্রতিষ্ঠাতার বংশধরেরা বর্তমানে মোতাওয়াল্লি (পরিচালক ও অভিভাবক) হিসেবে দীর্ঘ ২৪০ এর অধিক সময় ধরে মসজিদটির পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। মসজিদের বর্তমান মোতাওয়াল্লি লিপু খন্দকার।[৫] গ্রামের স্থানীয়রা তাদের এই পরিচালনায় আস্থা রেখেছে।
আরো দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "কুমারখালীর ঐতিহ্যের ধারক তিন গম্বুজ মসজিদ"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।
- ↑ "কুমারখালী উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।
- ↑ "তিন গম্বুজ মসজিদ ঐতিহ্যের ধারক"। The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।
- ↑ "দর্শনিয় স্থান | কুমারখালী উপজেলা | কুষ্টিয়া জেলা - সুফি ফারুক ইবনে আবুবকর"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।
- ↑ Desk, News (২০১৯-০২-০৩)। "দুইটি তিন গম্বুজ মসজিদ ঐতিহ্যের ধারক কুমারখালীতেই"। Barta TV। ২০২০-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৮।