তিরুবন্নামালাই জেলা
তিরুভান্নামালাই জেলা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি জেলা। এটি রাজ্যের ৩৭টি জেলার মধ্যে ২য় বৃহত্তম জেলা। এটি ১৯৮৯ সালে উত্তর আরকোট জেলাকে ভেঙে ভেলোর আম্বেদকার জেলার সাথে সৃষ্টি করা হয়েছিল। তিরুভান্নামালাই শহর জেলার সদরদপ্তর।
তিরুভান্নামালাই | |
---|---|
জেলা | |
![]() অরুণাচল পাহাড়, তিরুভান্নামালাই | |
![]() ভারতের তামিলনাড়ুতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১২°২৫′ উত্তর ৭৯°৭′ পূর্ব / ১২.৪১৭° উত্তর ৭৯.১১৭° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | তামিল নাড়ু |
জেলা | তিরুভান্নামালাই |
শহর | তিরুভান্নামালাই |
পৌরসভা | তিরুভান্নামালাই, আরণি, চেয়ার, বান্দাসি |
মোট শহুরে এলাকা | ২২ |
উত্তর আকরোট | ২৬ জানুয়ারি ১৯৮৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | কালাইগ্নার এম. কারুনানিধী |
নামকরণের কারণ | রাজা শম্ভুবারায়ার |
সদরদপ্তর | তিরুভান্নামালাই |
তালুক | তিরুভান্নামালাই, তিরুভান্নামালাই গ্রামীণ আরণি, চেয়য়ার, চেনগাম, পোলুর, বান্দাসি, কালাসাপাক্কাম, চেটপেট থান্দ্ররাপাট্টু, ও ভেম্বাক্কাম |
সরকার | |
• শাসক | জেলা কালেক্টর |
• কালেক্টর | থিরু কে এস কান্দাসামি |
আয়তন | |
• জেলা | ৬,১৯১ বর্গকিমি (২,৩৯০ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | 2nd |
জনসংখ্যা (2011)[১] | |
• জেলা | ২৪,৬৪,৮৭৫ |
• ক্রম | 4th rank in Tamil Nadu |
• জনঘনত্ব | ৬৫৪/বর্গকিমি (১,৬৯০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১৪,৯৬,৩৪৩ |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | [[ISO 3166-2:IN|]] |
যানবাহন নিবন্ধন | TN-25 |
Coastline | ০ কিলোমিটার (০ মাইল) |
Precipitation | ৫,৬৪৬ মিলিমিটার (২২২.৩ ইঞ্চি) |
ওয়েবসাইট |
তিরুভান্নামালাই জেলা ১২টি তালুকে বিভক্ত। এর মোট আয়তন ৬,১৯১ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৪,৬৪,৮৭৫ জন। তিরুভান্নামালাই জেলা চাল ও রেশম উৎপাদনের জন্য বেশ পরিচিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাতিরুভান্নামালাইয়ের মন্দিরের শহরটি ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির একটি এবং এটি সাঈ ধর্মীয় শাখার একটি কেন্দ্র। যা অরুণাচল পাহাড় ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তামিলদের দ্বারা শতাব্দী ধরে পালিত হয়ে আসছে। মন্দিরের ধারণা ও স্থাপত্যের ভিত্তি হল ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং উৎসব সমৃদ্ধ।
স্বাধীনতার পর তিরুভান্নামালাই জেলা উত্তর আরকোট জেলার অধীন ছিল। ১৯৮৯ সালে উত্তর আরকোট জেলাকে ভেঙে দুটি জেলা করা হয়; বেলোর জেলা ও তিরুভান্নামালাই জেলা। পি. কোলাপ্পান ছিলেন এ জেলার প্রথম কালেক্টর।
ভূগোল
সম্পাদনাতিরুভান্নামালাই জেলার পূর্বে কাঞ্চীপুরম জেলা এবং চেঙ্গালপট্টু জেলা, দক্ষিণে বিলুপুরম জেলা, পশ্চিমে কৃষ্ণগিরি জেলা এবং উত্তরে ভেলোর, রানীপেট ও তিরুপট্টুর জেলা অবস্থিত।
জনসংখ্যা
সম্পাদনাবছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৭,৫৪,২৮৭ | — |
১৯১১ | ৮,৭৫,১১৭ | +১.৫% |
১৯২১ | ৯,৪২,৩৭৮ | +০.৭৪% |
১৯৩১ | ১০,৭০,৩২০ | +১.২৮% |
১৯৪১ | ১১,৭৩,২৯৮ | +০.৯২% |
১৯৫১ | ১২,২৩,১৫৪ | +০.৪২% |
১৯৬১ | ১৩,২৮,৩৫৯ | +০.৮৩% |
১৯৭১ | ১৫,২৪,৩৪৯ | +১.৩৯% |
১৯৮১ | ১৭,৮৫,৭৯৮ | +১.৬% |
১৯৯১ | ২০,৪২,৯৭৯ | +১.৩৫% |
২০০১ | ২১,৮৬,১২৫ | +০.৬৮% |
২০১১ | ২৪,৬৪,৮৭৫ | +১.২১% |
উৎস:[২] |
২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুযায়ীতিরুভান্নামালাই জেলার জনসংখ্যা ছিল ২৫৬৪,৮৭৫ জন, এর মধ্যে পুরুষ ১৪১,২০৫ জন এবং মহিলা ১৩১,৩৬৪ জন।[৩] নারী ও পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত হল প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৯৪ জন নারী, যেখানে জাতীয় অনুপাত হল ৯২৯। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির জনসংখ্যা যথাক্রমে মোট জনসংখ্যার ২২.৯৪% এবং ৩.৬৯%। জেলার স্বাক্ষতার হার ৬৬%, জাতীয় স্বাক্ষরতার হার ৭৩.৯%। জেলায় মোট ৫৮৮,৮৩৬ টি পরিবার বসবাস করে।
অর্থনীতি
সম্পাদনাঅরণি এবং তিরুভান্নমালাই জেলা এ অঞ্চলের যথাক্রমে সর্বাধিক রাজস্ব উৎপাদনকারী অঞ্চল।
২০০৬ সালে পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় তিরুভান্নামালাই জেলাকে পিছিয়ে পড়া জেলাসমূহের মধ্যে ২৫০তমে স্থান দেয় (৬৪০ টি জেলার মধ্যে)। এটি ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ড ফান্ড প্রোগ্রামের আওতায় তহবিল প্রাপ্ত তামিলনাড়ুর ছয়টি জেলার মধ্যে একটি।[৪]
তিরুভান্নমালাই জেলা কৃষি ও রেশম শাড়ির বুনন এই দুটি বড় ব্যবসার জন্য পরিচিত। ধান চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এই জেলার অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসা। ১৯৬৫টি হ্রদ এবং ১৮টি জলাশয় এবং ছোট বাঁধ দ্বারা ১১৬৫৩ হেক্টর জমিতে সেচ দিয়ে ধানের চাষ করা হয়। জেলার জুড়ে পাওয়া ধান প্রক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে চালের মিল রয়েছে। চিয়ারের কাছাকাছি সরকারি মালিকানাধীন আধুনিক চালের মিল রয়েছে এবং সেখানে প্রায় ২৭৮ টি চালের মিল রয়েছে।
প্রশাসন
সম্পাদনাতিরুভান্নামালাই জেলা ৩টি উপজেলা (আরণি, তিরুভান্নামালাই ও চেয়ার), ১২টি তালুকে বিভক্ত; আরনি, চেংগাম, তিরুভান্নালালাই, পলুর, থান্ডারম্প্যাটু, ভান্ডভাসি, কালাসাপকাম, চেটপোট, চেয়ার এবং ভেবাককাম। এগুলো আবার ২৭টি ব্লক ও ১০৬১টি গ্রাম রয়েছে। জেলায় ৮টি শহর রয়েছে যেগুলোর জনসংখ্যা এক লক্ষের বেশি।[৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "2011 Census of India" (Excel)। Indian government। ১৬ এপ্রিল ২০১১।
- ↑ Decadal Variation In Population Since 1901
- ↑ "Census Info 2011 Final population totals"। Office of The Registrar General and Census Commissioner, Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-২৬।
- ↑ Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৭।
- ↑ Census of India 2011: Provisional Population Totals. Cities having population 1 lakh and above.