তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি বাংলাদেশের বৃহত্তর ঢাকা এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় এবং পেট্রোবাংলার অধীনে তিতাস গ্যাস তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তিতাস ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানী আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবারহের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের কার্যক্রম শুরু হয়।[১][২][৩]
গঠিত | ২১ নভেম্বর, ১৯৬৪ |
---|---|
সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
ব্যবস্থাপনা পরিচালক | প্রকৌশলী মোঃ হারুনুর রশিদ মোল্লাহ্ |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | পেট্রোবাংলা |
সম্পৃক্ত সংগঠন | বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | titasgas |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে বিরাট গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস-ডেমরা সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ করে দেয়। ১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল কোম্পানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমান এর বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হয়। কোম্পানী গঠনের শুরু থেকে ৯০% শেয়ারের মালিক ছিল তৎকালীন সরকার। ১৯৭২ সালের জাতীয়করণ আদেশের অধীনে বাকি মালিকানা স্বত্ত্ব সরকারের কাছে স্থানান্তর করা হয় । অবশিষ্ট ১০% শেয়ার ৯ আগস্ট, ১৯৭৫ তারিখে শেল অয়েল কোম্পানীর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী ১.০০ (এক লক্ষ) পাউন্ড-স্টার্লিং পরিশোধের বিনিময়ে পেট্রোবাংলার মাধ্যমে সরকারি মালিকানায় স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে কোম্পানীর অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে ২,০০০ (দুই হাজার) কোটি ও ৯৮৯.২২ কোটি টাকা।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সম্পাদনালক্ষ্য
সম্পাদনাপ্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ও নিরাপদ বিতরণ।
উদ্দেশ্য
সম্পাদনা- গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান ।
- প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
- গ্যাস বিপণনে সুশাসন নিশ্চিতকরণ।
কার্যক্রম
সম্পাদনাতিতাসের অন্তর্ভূক্ত এলাকাগুলো হলো বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Mohiuddin, Sheikh (২০০৫-০১-১৪)। "Frustration in Titas Gas: No promotion, posting, recruitment"। Ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৬। [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Booth, Jenny (২০০৮-০২-০৫)। "The multimillionaire gas workers of Bangladesh"। The Times। London। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০২-০৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "No let-up in Dhaka's gas crisis as winter arrives"। Dhaka Tribune। ২০১৮-১২-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০৭।