তিচ্ছা বীরতুঙ্গ

শ্রীলঙ্কান কূটনীতিক

জেনারেল তিচ্ছা ইন্দ্রক বীরতুঙ্গ (১৯৩০-২০০৩) ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর কমান্ডার ছিলেন, এছাড়া আশির দশকে নবগঠিত 'জয়েন্ট অপারেশন্স হেডকোয়ার্টার্স' নামের যুগ্ম সামরিক সদর দপ্তরের প্রথম প্রধান ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীতে তাকে 'ষাঁড়' নামে ডাকা হতো।

তিচ্ছা ইন্দ্রক বীরতুঙ্গ
ডাকনামষাঁড়
জন্মআগস্ট ২৯, ১৯৩০
মাতারা, শ্রীলঙ্কা (তখন সিলন)
মৃত্যুনভেম্বর ২০০৩
কলম্বো
আনুগত্যশ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা
সেবা/শাখা শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী
কার্যকাল১৯৫১-১৯৮৬
পদমর্যাদাজেনারেল
ইউনিটশ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী হাল্কা পদাতিক রেজিমেন্ট
জেমুনু ওয়াচ (পদাতিক)
নেতৃত্বসমূহযুগ্ম সামরিক অভিযান মহাপরিদপ্তরের প্রধান অধিনায়ক,
সেনা কমান্ডার,
সেনা স্টাফ প্রধান
যুদ্ধ/সংগ্রাম১৯৭১ সালের সাম্যবাদী রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র বিদ্রোহ বিরোধী সমরাভিযান
শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ
পুরস্কারবিশিষ্ট সেবা বিভূষণ
অন্য কাজকানাডায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার

সামরিক জীবন সম্পাদনা

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

বীরতুঙ্গ নবগঠিত সিলন সেনাবাহিনীতে ১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবর যোগ দেন, তাকে প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাজ্যের মন্স অফিসার ক্যাডেট স্কুল এবং রয়্যাল মিলিটারি একাডেমীতে পাঠানো হয়েছিলো; প্রশিক্ষণ শেষে তিনি সিলন লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে ১৯৫১ সালের ২ আগস্ট তারিখে কমিশন প্রাপ্ত হন। তাকে ১৯৫৬ সালের ৪ জুলাই রুহুনু রেজিমেন্টে অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়; একই বছরের ২২ অক্টোবর সিলন লাইট ইনফ্যান্ট্রির ১ ব্যাটেলিয়নে অ্যাডজুটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং ১৯৫৮ সালের ২৫শে জুলাই তিনি সেনাবাহিনী সদর দপ্তরের প্রশাসনিক শাখায় স্টাফ ক্যাপ্টেনের নিয়োগ পান। ১৯৬২ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি পদাতিক রেজিমেন্টে বদলী হন এবং জেমুনু ওয়াচ রেজিমেন্ট তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ঐ রেজিমেন্টে বদলী হন। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে তিনি পানাগোদাস্থিত ১ ব্রিগেড গ্রুপের ব্রিগেড মেজর হন। ১৯৬৬ সালের ২৩শে নভেম্বর থেকে ১৯৬৭ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পরে অস্ট্রেলিয়াতে ইউনিট কমান্ড কোর্স এবং ব্রিটেনের জয়েন্ট সার্ভিস ডিফেন্স কলেজে কোর্স করতে যান।

ফিল্ড কমান্ড সম্পাদনা

১৯৬৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি জেমুনু ওয়াচের ১ম ব্যাটেলিয়নের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডিং কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। ১৯৬৯ সালের ১ অক্টোবর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং পূর্ণ কমান্ডিং কর্মকর্তা হন। তিনি পরে সিলন আর্মি সার্ভিস কোর এবং সিলন আর্মি পায়োনিয়ার কোরের কমান্ড গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে সাম্যবাদী রাজনৈতিক দল জেভিপি সশস্ত্র বিদ্রোহ করলে শ্রীলঙ্কার সরকার সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহ দমনের কাজ দেয়; তিচ্ছা ১৫ আগস্ট ১৯৭১ তারিখে মোনারাগালা জেলায় সামরিক সমন্বয়কারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান এবং ১৬ এপ্রিল ১৯৭২ থেকে ৭ মে ১৯৭২ পর্যন্ত কুরুনেগালা জেলাতে একই পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালের ১ নভেম্বর তিনি টাস্ক ফোর্স অ্যান্টি ইলিসিট ইমিগ্রেশনের কমান্ডার নিযুক্ত হন, এটা জাফনাতে ছিলো; এই পদে তিনি ১৯৭৬ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৭৪ সালের ১ জানুয়ারী তাকে কর্নেল পদবীতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ১ মার্চ তিনি ওয়েস্টার্ন কমান্ডের অধিনায়ক হন এবং পরে ১৯৭৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে অপারেশন্স অ্যান্ড ট্রেনিং-এর পরিচালক হন। ১৯৭৭ সালের ১ ডিসেম্বরে ব্রিগেডিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে তাকে সেনাবাহিনীর ইন্সপেক্টর অব ট্রেনিং করা হয়। তিনি এই সময়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, ভারতে পড়তে যান।

উচ্চতর কমান্ড সম্পাদনা

১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ তাকে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ পদে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি মেজর জেনারেল হন এবং তাকে সেনা কমান্ডার পদ দেওয়া হয়, ১৯৮৫ সালের ২ নভেম্বর তিনি এই পদে ছিলেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন এবং জয়েন্ট অপারেশন্স কমান্ডের অধিনায়ক হন, ২৯ আগস্ট ১৯৮৬ তারিখে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর প্রাপ্ত হন এবং তাকে পূর্ণ জেনারেল পদবী দেওয়া হয়।[১][২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "INVESTIGATION REPORT" (পিডিএফ)AustralianBroadcasting Authority। ২০০১-০৬-১৭। ২০০৮-০৮-০৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০১-০৯ 
  2. Ex -Army chief’s funeral today

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা