তাসমিন মাহফুজ

তাসমিন মাহফুজ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নারী সাংবাদিক। তিনি মার্কিন য

তাসমিন মাহফুজ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত নারী সাংবাদিক। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেলিভিশন উপস্থাপিকা হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্যে ২০১৫ সালে গ্র্যাসি পদক অর্জন করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হওয়ায় এ পদককে আমেরিকায় নারী সাংবাদিকতায় শীর্ষ স্থানীয় পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [২]


তাসমিন মাহফুজ
Tasmin Mahfuz
জন্ম (1987-05-28) ২৮ মে ১৯৮৭ (বয়স ৩৬)
নাগরিকত্বমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষাস্নাতক
স্নাতকোত্তর
মাতৃশিক্ষায়তনএমরয় বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাসংবাদ উপস্থাপক
কর্মজীবন২০১২ - বর্তমান
পরিচিতির কারণটিভি উপস্থাপিকা
টেলিভিশনএবিসি চ্যানেল ফোর
উপাধিউপস্থাপিকা
পিতা-মাতাআবুল ওয়াহিদ মাহফুজ (পিতা)
নাজমুন মাহফুজ [১]
পুরস্কারগ্র্যাসি পদক (২০১৫)
ওয়েবসাইটতাসমিন মাহফুজ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন সম্পাদনা

তাসমিনের বাবা আবুল ওয়াহিদ মাহফুজ চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে তিনি পরিবারের সাথে ফ্লোরিডায় বসবাস করেন। তাসমিনের জন্ম ও বেড়া উঠা পরিবারের সাথেই। তাসমিন ২০১১ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে সমিন জর্জিয়ার এমরয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। আইন শিক্ষা বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন সম্পাদনা

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তাসমিন মাহফুজ ডাব্লুডিভিএম-টিভিতে যোগ দেন। তিনি ওয়াশিংটন ডিসি মার্কেটের দর্শকদের উদ্দেশ্যে সংবাদ উপস্থাপ করেন। যা মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া পশ্চিম ভার্জিনিয়া এবং পেনসিলভানিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। তাসমিন এবিসি ৪ ইউটা এ দক্ষিণ উটাহ অঞ্চলের ব্যুরো প্রধান ছিলেন।[১] ২০১২ সালে তুরস্কের ইস্তানবুল থেকে প্রচারিত ইব্রু টেলিভিশন নামে একটি চ্যানেল থেকে ব্রডকাস্ট সাংবাদিক হিসেবে তার প্রথম সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়। তারপরে, তিনি সেখানে সংবাদ প্রতিবেদক হিসাবে চাকরি শুরু করেন। সেখানে তিনি নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক সিটি এবং ওয়াশিংটন ডিসি থেকে রিপোর্ট করেছেন। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, জাতিসংঘ, সিরিয়ায় বিষয়ক সংক্রান্ত, এব মার্কিন-ইরানের সম্পর্ক বিষয়ে তিনি একাধিক প্রতিবেদন করেছেন। [৩]

এছাড়া তিনি বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাত্কারও গ্রহণ করেছেন। সাংবাদিক নাজমুন মাহফুজ তাসমিন মাহফুজের মা, তিনি সাউথ ফ্লোরিডা এর পিবিএস এবং ক্যাবল টেলিভিশনের জন্য সাপ্তাহিক টেলিভিশন অনুষ্ঠান তৈরি এবং হোস্ট করতেন। তাসমিন সেখানে মায়ের কাছ থেকেই অল্প বয়সে টিভি প্রোগ্রামের বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। [৪] তাসমিন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউডিভিএম নিউজের প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন। [৫]

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

২০১৫ সালে নারী সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্র্যাসি পদক, যুক্তরাষ্ট্রে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ফোবানা পুরস্কার,[১] মাল্টিমিডিয়া সংবাদিকতায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী হন। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "যুক্তরাষ্ট্রে 'কৃতী' নারী সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কৃত বাংলাদেশি তাসমিন"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৪ জুন ২০১৫। ২৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯ 
  2. "বাংলাদেশি তাসমিন : মার্কিন সেরা নারী সংবাদ প্রযোজক"দৈনিক ইত্তেফাক। ২৯ জুন ২০১৫। ২৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯ 
  3. "যুক্তরাষ্ট্রে নারী সাংবাদিক বাংলাদেশি তাসমিনের সাফল্য"কোয়ান্টাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৯ 
  4. "Bangladesh's Tasmin gets Gracie Award"ঢাকা ট্রিবিউন। ২৪ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯ 
  5. "ফোবানা পুরস্কার পেলেন তাসমিন ও হানিফ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৫ অক্টোবর ২০১৭। ২৯ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা