তাবান শোরেশ (জন্ম: ১৯৮৩) একজন ব্রিটিশ সাহায্য কর্মী,[১] নারী অধিকার কর্মী এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান: দ্য লোটাস ফ্লাওয়ারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একজন কুর্দি (আনফাল) গণহত্যা থেকেও বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি। [১][২]

তাবান শোরেশ
স্মৃতিস্তম্ভপুথাফরোয়ার্ড.অর্গ - মূর্তি, ন্যাশনাল থিয়েটার, লন্ডন
জাতীয়তাব্রিটিশ, ইরাকি কুর্দি
পেশাদাতব্য প্রতিষ্ঠাতা
প্রতিষ্ঠানদ্য লোটাস ফ্লাওয়ার
পিতা-মাতা
  • সামি শোরেশ (পিতা)
পুরস্কাররেড উইমেন অব দ্য ইয়ার ফাইনালিস্ট ২০১৬

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

পেশমেরগা (কুর্দি সামরিক) এবং কুর্দি সাহিত্যে বিশিষ্টতার সাথে তার বাবার সম্পৃক্ততার কারণে, শোরেশের পরিবার সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে নির্যাতিত অনেক কুর্দি পরিবারের মধ্যে অন্যতম ছিল। [৩] যখন শোরেশের বয়স মাত্র চার বছর, তখন একদিন ইরাকি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের বাড়িতে হানা দেয় এবং তার মাকে সহ তার দাদা-দাদীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সে যাত্রায় শোরেশ ও তার পরিবার অন্যান্য অনেক ইরাকি কুর্দিদের সাথে দুই সপ্তাহের জন্য বন্দী ছিলেন। ১৯৮৬ সালে শোরেশ ও তার পরিবার তাদের বহনকারী গাড়ি ও চালক পরিবর্তন করে একটি জীবন্ত গণ কবরস্থানের পাশ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সেই সময় সাদাম হুসেনের পক্ষে কিছু কুর্দি কাজ করছিল। [৩][৪]

১৯৮৭ সালে, তিন মাস আত্মগোপন এবং বারো মাস পালানোর পর, শোরেশের পরিবার ইরানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। এরপর শোরেশ জানতে পারে যে, ইতিমধ্যে তার বাবাকে থ্যালিয়াম বিষ দেয়া হয়েছিল এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে যুক্তরাজ্যে সরিয়ে নিয়েছে, যেখানে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করেছিলেন। শোরেশ তার পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে নিয়ে এক বছর পরে ১৯৮৮ সালে ইরাক থেকে যুক্তরাজ্যে চলে আসে। যুক্তরাজ্যে থেকেই শোরেশ তার পড়াশোনা শেষ করেন। তারপর শেষ পর্যন্ত শোরেশ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। [৫]

মানবিক কাজ সম্পাদনা

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক সরকার শোরেশের সাথে যোগাযোগ করে এবং গণহত্যা স্মরণ দিবসের জন্য হাউস অফ লর্ডসে তার অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলে। এই সময় তিনি উত্তর মেসোপটেমিয়ার আদিবাসী কুর্দি ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইয়াজিদিদের দুর্দশার কথা জানতে পারেন। ইয়াজিদিরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের অবর্ণনীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছিল। [৬]

শোরেশ তখন রোয়াঙ্গা ফাউন্ডেশনের সাথে একটি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য ক্যারিয়ার বিরতি নেন এবং সিনজার পাহাড়ে আটকে পড়া বাস্তুচ্যুত ইয়েজিদিদের মধ্যে সাহায্য বিতরণ করেন। এরপর তিনি ১৫ মাস এই অঞ্চলে অবস্থান করেন এবং যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আগে রোয়াঙ্গা ফাউন্ডেশনকে তাদের মানবিক কর্মসূচী পরিচালনায় সহায়তা করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Becker-Hicks, Harry (১৬ এপ্রিল ২০১৪)। "One woman's remarkable reflection on surviving genocide"The Daily Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Taban Shoresh | HuffPost"www.huffingtonpost.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৯ 
  3. "BBC World Service - Imprisoned By Saddam When I Was Four"www.bbc.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৯ 
  4. HALABY, BUSHRA JUHI and JAMAL (২০০৬-১০-০৯)। "Woman: Saddam Guards Buried People Alive" (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১৯ 
  5. Corcoran, Kieran (১৬ নভেম্বর ২০১৭)। "This British-Iraqi woman quit her City job to help women enslaved by ISIS live normal lives again"Business Insider। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭ 
  6. Bagot, Martin (১৩ আগস্ট ২০১৪)। "Iraqi who survived Saddam Hussein Kurdish genocide pleads for the thousands of trapped Yazidis"Daily Mirror। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৭