তান্ডা
তান্ডা (স্থানীয়ভাবে তাঁড়া নামেও পরিচিত ছিল) মধ্যযুগের বাংলার একটি শহর এবং কররানী রাজবংশের রাজধানী।[১]
তাঁড়া | |
অবস্থান | গৌড়ের বিপরীতে ও গঙ্গার পশ্চিমে |
---|---|
অঞ্চল | বঙ্গ |
ধরন | রাজধানী |
যার অংশ | বাংলা সালতানাত, সুরি সাম্রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্য, ব্রিটিশ ভারত |
ইতিহাস | |
সময়কাল | মধ্যযুগ |
সংস্কৃতি | বাংলা সালতানাত, সুরি সাম্রাজ্য, মুঘল সাম্রাজ্য |
স্থান নোটসমূহ | |
অবস্থা | ১৮২৬ খ্রিষ্টাব্দে নদীগর্ভে বিলুপ্ত |
অবস্থান
সম্পাদনাতান্ডার অবস্থান বর্তমান মালদা থেকে ২৪.১৪ কিমি দক্ষিণপূর্ব ও তেলিয়াগড়ি গিরিপথ থেকে ১৯.৩১ কিমি পশ্চিমে ছিল। এর বিপরীতে ছিল গৌড় এবং এই শহর গঙ্গার পশ্চিমে অবস্থিত ছিল।[১]
রাজধানী
সম্পাদনাসুরি সম্রাট শের শাহ সুরি তান্ডায় টাকশাল গড়ে তুলেছিলেন।[১] পরে সুলায়মান খান কররানী গৌড় থেকে তান্ডায় রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিলেন। পরবর্তীতে বায়েজিদ কররানী ও দাউদ খান কররানীও তান্ডা থেকে শাসন করেন। এসময় তান্ডার টাঁকশাল বজায় ছিল এবং ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দ (৯৮৪ হিজরি) পর্যন্ত তা বজায় থাকে। পরবর্তীতে মুঘল সেনাপতি মুনিম খান গৌড়ে কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। তবে মহামারীর কারণে রাজধানী পুনরায় তান্ডায় সরিয়ে নেয়া নিলেও এর গুরুত্ব আগের মত ছিল না। এরপর রাজধানী রাজমহলে স্থানান্তরিত করা হয়।[১]
সমৃদ্ধি
সম্পাদনাইংরেজ বণিক ও ভারতে প্রথম দিককার একজন ইংরেজ পর্যটক রালফ ফিচ তান্ডাকে একটি উন্নয়নশীল শহর বলে বর্ণনা করেছেন।[১]
বিলুপ্তি
সম্পাদনাগঙ্গা নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে তান্ডার পতন চলতে থাকে এবং ১৮২৬ সালে তা বন্যায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে নদীতে বিলীন হয়ে যায়।[১]