তাজা পীর মসজিদ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি আজারবাইজানের একটি অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য নিদর্শন। এটি বাকু শহরের ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর নির্মাণ কাজ ১৯০৫ সালে শুরু হয় এবং ১৯১৪ সালে শেষ হয়।[] আজারবাইজানের নাবাত খানম আশুরবেয়োভা নামক একজন মহিলা দানবীর মসজিদটির নির্মাণের ধারণা এবং অর্থায়ন করেন।

তাজা পীর মসজিদ
Təzəpir məscidi
প্রধান ফটক
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাশিখব
অঞ্চলআবশেরন
ধর্মীয় অনুষ্ঠানশিয়া
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
মসজিদ
অবস্থান
অবস্থানবাকু, আজারবাইজান
স্থানাঙ্ক
স্থাপত্য
স্থপতিজিভার বেই আহমাদবেয়ভ
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামি, শিরওয়ানি শৈলী
সম্পূর্ণ হয়১৯১৪
মিনার

ইতিহাস

সম্পাদনা

নাবাত খানুম আশুরবেয়োভা একজন ধনী ব্যবসায়ী এবং দানবীর ছিলেন। তিনি আজারবাইজানের ইসলামিক সংস্কৃতির একজন উৎসাহী সমর্থক ছিলেন।তিনি এমন একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন যা শহরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যকে প্রতিফলিত করবে। তিনি মসজিদটির নকশার জন্য একজন বিখ্যাত তুর্কি স্থপতি আহমেদ মাহমুদ বেকেকে নিয়োগ করেন।[]

স্থাপত্য

সম্পাদনা

তাজা পীর মসজিদ ঐতিহ্যবাহী অটোমান স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত হয়েছে। এটি একটি বর্গাকার মেঝের উপরে অবস্থিত এবং এর চারটি মিনার রয়েছে। মসজিদের ভিতরে একটি বড় নামাজের হল রয়েছে যেখানে ২,০০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।[] মসজিদের বাইরের অংশটি সাদা মার্বেল দিয়ে নির্মিত। এর মিনারগুলো সবুজ এবং নীল রঙের টাইলস দিয়ে সজ্জিত। মসজিদের ভিতরের নামাজের হলটি সবুজ এবং নীল রঙের টাইলস দিয়ে সজ্জিত।[]

গুরুত্ব

সম্পাদনা

তাজা পীর মসজিদ আজারবাইজানের ইসলামিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এটি শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি। মসজিদটি প্রতিদিন মুসল্লিদের দ্বারা পরিদর্শন করা হয় এবং এটি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা