তাইওয়ান–ব্রাজিল সম্পর্ক

তাইওয়ান–ব্রাজিল সম্পর্ক হল প্রজাতন্ত্রী চীন বা তাইওয়ান এবং সংযুক্ত প্রজাতন্ত্রী ব্রাজিল রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তাইওয়ান ও ব্রাজিলের মধ্যে কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, কারণ ব্রাজিল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে স্বীকৃতি দেয়। তবে দুই দেশই অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র দ্বারা অনানুষ্ঠানিকভাবে পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

তাইওয়ান–ব্রাজিল সম্পর্ক
মানচিত্র Taiwan এবং Brazil অবস্থান নির্দেশ করছে

প্রজাতন্ত্রী চীন

ব্রাজিল
কূটনৈতিক মিশন
তাইপেই ইকোনোমিক অ্যান্ড কালচারাল অফিস ইন ব্রাজিলকমার্শিয়াল অফিস অব ব্রাজিল টু তাইপেই
ইউএন-২৭৫৮'র প্রতিস্থাপনে ব্রাজিলের বিরোধিতা
ব্রাজিলে নির্মিত মান্দারিন এয়ারলাইন্স এমব্রায়ের-১৯০ বিমান

ইতিহাস সম্পাদনা

ব্রাজিলই প্রথম দেশ হিসেবে প্রজাতন্ত্রী চীনকে (আরওসি) ১৯১২ সালে এর প্রতিষ্ঠারর পর থেকেই সমর্থন দেয়।[১] ১৯৭১ সালে ব্রাজিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রেজোল্যুশন ২৭৫৮তে জাতিসংঘে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) দ্বারা আরওসির প্রতিস্থাপনের ঘোর বিরোধিতা করে, তবে ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৪ সালে ব্রাজিল প্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন।[২] তাইওয়ান এবং ব্রাজিলের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের পর উভয় দেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশন, প্রতিনিধিত্বকারী অফিস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।

প্রতিনিধিত্ব সম্পাদনা

প্রজাতন্ত্রী চীন সরকার ব্রাজিলিয়ায় তাইপেই ইকোনোমিক অ্যান্ড কালচারাল অফিস ইন ব্রাজিল স্থাপন করেন (চীনা: 駐巴西臺北經濟文化代表處),[৩] এছাড়া সাও পাওলোতে[৪] এবং রিও দি জেনেরিওতে আরো দুটি অফিস চালু করে তারা। রিও দি জেনেরিওর অফিসটি ২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যায়।[৫]

একইভাবে ব্রাজিল সরকার তাইওয়ানের রাজধানীতে কমার্শিয়াল অফিস অব ব্রাজিল টু তাইপেই (পর্তুগিজ: Escritório Comercial do Brasil em Taipé, চীনা: 巴西商務辦事處) স্থাপন করেছে।[৬]

ব্রাজিলের অভিবাসী তাইওয়ানিজ সম্পাদনা

১৯৬০-এর দিক থেকে ব্রাজিলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তাইওয়ানিজের অভিবাসন ঘটে। অধিকাংশ তাইওয়ানিজ ব্রাজিলীয়ই কাওসিউংয়ের কৃষক।[১]

অনেক তাইওয়ানিজ ব্রাজিলীয়ই বর্তমানে সাও পাওলো, রিও গ্রান্ডে দো সুল, প্যারানা এবং রিও দি জেনেরিওতে বাস করে। উত্তর ব্রাজিলের অবস্থিত ব্রাজিলের পঞ্চম-বৃহত্তম শহর রিসিফে হল তাইওয়ানিজ ব্রাজিলীয়দের, বিশেষ করে মেইনং, কাওসিউংয়ের অপর স্থাপনা।[১] সাও পাওলোর উপশহরগুলোতে একশরও বেশি তাইওয়ানিজ ব্রাজিলীয়রা মাশরুম কারখানা স্থাপন করে, যা পুরো ব্রাজিলে মাশরুম সরবরাহ করে।[৭]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্পাদনা

এশিয়ায় তাইওয়ান ব্রাজিলের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক সহযোগী। ব্রাজিল থেকে তাইওয়ানে রপ্তানিকৃত পণ্যসামগ্রি হল ওর, সয়াবিন, ভূট্টা, কাঠ, স্টীল, তুলা, চামড়া এবং গ্রানাইট। ব্রাজিল হল তাইওয়ানের অষ্টাদশ বাণিজ্যিক সহযোগী। তাইওয়ান থেকে ব্রাজিলে রপ্তানিকৃত পণ্যসামগ্রি হল তড়িৎ যন্ত্রসামগ্রি, রেকর্ড করার যন্ত্র, এলসিডি, স্টীল এবং প্লাস্টিকের সামগ্রি।[৮]

তাইওয়ানের অনেক ইলেকট্রনিক কোম্পানি ব্রাজিলে তাদের শাখা খুলেছে। ফক্সকন, আসুস, এমএসআই, কম্প্যাল, গিগাবাইট, এসির, এওসি, ডি-লিঙ্ক এবং আরো অনেক ইলেকট্রনিক কোম্পানি এর মধ্যে অন্যতম।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. The Reaction of ROC Government to Taiwanese immigrated to Brazil in 1960s (পিডিএফ), তাইওয়ান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ২০০৩-০৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  2. "中华人民共和国与各国建立外交关系日期简表"www.gov.cn। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫ 
  3. "Taipei Economic and Cultural Office in Brazil" 
  4. "Taipei Economic and Cultural Office in São Paulo" 
  5. "巴西-里約熱內盧 - 外交部領事事務局全球資訊網"boca.gov.tw। ২১ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫ 
  6. "Commercial Office of Brazil in Taipei" 
  7. 中時電子報 (১১ আগস্ট ২০১৫)। "書刊頻道 - 中時電子報"中時電子報। ১৪ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫ 
  8. "經濟部國際貿易局 ::: 國家檔"trade.gov.tw। ১৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৫ 

টেমপ্লেট:তাইওয়ানের বৈদেশিক সম্পর্ক টেমপ্লেট:ব্রাজিলের বৈদেশিক সম্পর্ক