তথ্য কমিশন (বাংলাদেশ)

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশের তথ্য কমিশন বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত স্বাধীন প্রতিষ্ঠান যা ২০০৯ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। [১] তার প্রধান কাজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করার উদ্দেশ্যে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধান এবং তথ্য সহজলভ্য করার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্পর্কে নাগরিকগণের জানার অধিকার নিশ্চিত করা। এতে কর্তৃপক্ষগুলোর দুর্নীতি হ্রাস, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে সৃষ্ট বা পরিচালিত বেসরকারি সংস্থাসমূহ তথ্য কমিশনের তালিকাভুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। যথাসময়ে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য তথ্য কমিশন তালিকাভুক্ত কর্তৃপক্ষগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আপীল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেন। [২][৩]

বাংলাদেশের তথ্য কমিশন
ধরনসাংবিধানিক সংস্থা
শিল্পতথ্য সংস্থা
প্রতিষ্ঠাকাল২০০৯
সদরদপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
ওয়েবসাইটতথ্য কমিশন ওয়েবসাইট

ইতিহাস সম্পাদনা

বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তথ্য অধিকার বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে গণ্য। এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রে তথ্য অধিকার আইন আছে। এ পর্যন্ত ৮৮টিরও বেশি দেশ তথ্য অধিকারকে আইনগতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন মহলে তথ্য অধিকার আইন পাশের দাবি জোরদার হতে থাকে। অবশেষে নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে পাশ হয় তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯। আইনটিতে তথ্য কমিশন নামে একটি সংবিধিবদ্ধ ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়। [৪]

তথ্য প্রদানে সেরা সম্পাদনা

২০১৩ সালের তথ্য কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট এখনো প্রকাশিত হয়নি। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদে উত্থাপিত তথ্য কমিশনের ২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের ৫১ পৃষ্ঠায় ৩.১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে তথ্য প্রদানে সেরা তিনটি প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ হচ্ছে নিম্নরূপ :-

  1. ব্র্যাক
  2. প্রগতি কো-অপারেটিভ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড(প্রগতি ব্যাংক)
  3. ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি [১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "তথ্য অধিকার আইন"বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৯ 
  2. "Information Commission formed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জুলাই ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ 
  3. "Information Commission bureaucratised"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ 
  4. "Information Commission to expand operation soon"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা