ঢাকা বিশ্ব সঙ্গীত উৎসব

ঢাকা বিশ্ব সঙ্গীত উৎসব বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সঙ্গীত উৎসব। এই অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক সঙ্গীত শিল্পী গান পরিবেশন করেন। উৎসবটি স্থানীয় লোকসঙ্গীত ও ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সমসাময়িক বিশ্ব সঙ্গীত পরিবেশনার একটি বিস্তৃত ও বিশাল দ্বার খুলে দিয়েছে। [][][]

ঢাকা বিশ্ব সঙ্গীত উৎসব
ধরনবিশ্ব সঙ্গীত
তারিখসমূহফেব্রুয়ারি
অবস্থান (সমূহ)ঢাকা, বাংলাদেশ
কার্যকাল২০১১-বর্তমান
গঠিত২০১১
পৃষ্ঠপোষক(গণ)গ্রামীণফোন
কালচারপট গ্লোবাল

ইতিহাস

সম্পাদনা

ঐতিহাসিক দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর মর্মার্থে ও আর্থ-রাজনৈতিক প্রভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তঃসাংস্কৃতিক সংস্থা কালচারপট গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা রুনি খান একটি বড় অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেন। দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ এর ৪০ তম বার্ষিকীতে এই মহাউৎসব কল্পনা থেকে বাস্তব পরিণতি পায়। []

বিশ্ব সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি সঙ্গীতের প্রভাবের অনুপস্থিত অনুভব করে আয়োজকরা পরিকল্পনা করে এমন একটি অনুষ্ঠানের যেখানে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশি শিল্পীরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরবে।[] রুনির ধারণায় মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশের এক্সকালিবুর এন্টারটেইনমেন্টের প্রধান ফারহান কুদ্দুস, যিনি বার্ষিক বিশ্ব সঙ্গীত অনুষ্ঠানেরও পরিকল্পনা করছিলেন, তাঁর সাথে যোগ দিলেন। একই সময়ে, বাংলাদেশি টেলিযোগযোগ সংস্থা গ্রামীণফোন ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উৎযাপনের উপর জোর দেবে এমন অনুষ্ঠানের সন্ধান করছিল। রুনির এমন একটি উৎসব আয়োজনের ধারণা যেখানে বিশ্বজুড়ে সঙ্গীতজ্ঞরা তাদের মাতৃভাষায় তাদের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত পরিচালনা করবেন গ্রামীণফোনের কাছে খুব ভালো লাগে। এই ধারণার আরও একটি দৃষ্টিনন্দন দিক ছিল এই উৎসবটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক শহর হিসাবে গড়ে তুলবে। ব্রিটিশ বাংলাদেশী পিয়ানোবাদক ও সুরকার কীশোন খান, লোকখি টেরার ব্যান্ড, লন্ডনের কিছু গুণী সঙ্গীত পরিচালক এই উৎসবে যোগ দেন এবং অনুষ্ঠানটিকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

কীশোন খান অন্যান্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত সঙ্গীতশিল্পীদের সাথে তাঁর দীর্ঘ প্রতিষ্ঠিত সম্পর্ক তাকে আফ্রিকান এবং লাতিন ধারার সঙ্গীতের সেরা কয়েকজন গায়ককে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। আরেক ব্রিটিশ বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী ইদ্রিস রহমানও এই অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য কিছু বিশ্বখ্যাত ব্যান্ড এবং সঙ্গীতশিল্পীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং আয়োজক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। [] বেশ কয়েকটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ৪-৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে অনুষ্ঠানটি সংঘটিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

সম্পাদনা

২০১১ সালে ধানমন্ডির সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এই উৎসবের উদ্বোধনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উৎসবটি শেষ হয় একটি দুর্দান্ত সমাপ্তির সাথে যেখানে পৃষ্ঠপোষক আটটি ব্যান্ড মঞ্চে একত্রিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের এক বিশাল মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়।[][][]

পৃষ্ঠপোষক

সম্পাদনা

মূলত ৮টি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানটির উদ্যোগ নেয়। এগুলো হল-

  • কালচারপট গ্লোবাল ইউকে
  • যাত্রিক ট্র্যাভেলস
  • এক্সক্যালিবুর এন্টারটেইনমেন্ট
  • সিম্বিয়েন্স পার্টনার
  • গ্রামীণফোন

শিল্পী

সম্পাদনা

২০১১ সালের উদ্বোধন মহা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন-

আন্তর্জাতিক শিল্পী

সম্পাদনা
  • টুন্ডে জেগিয়েড
  • ডেল সোসিমি
  • জুলিয়া বিয়েল

জাতীয় শিল্পী

সম্পাদনা
  • অজব
  • পোরোবাশি
  • ব্যান্ড লালন
  • শাহ জাহান মুন্সী
  • রব ফকির

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Music without Boundaries"Star Weekend MagazineThe Daily Star (Bangladesh)। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১১। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ 
  2. "A World of Music Descends on Dhaka"The Daily Star (Bangladesh)। ২২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ 
  3. "Dhaka World Music Fest 2011"। TigerToursBD.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Harmony in Diversity"The Daily Star (Bangladesh)। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ 
  5. "The First Ever Dhaka World Music FestIVAL"। Bangladesh-web.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ 
  6. "Dhaka World Music Fest 2011"। TigerToursbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. "Dhaka World Music Fest ends with hope"। WeeklyHoliday.net। ১৫ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১২