ঢাকা কমার্স কলেজ

ঢাকা কমার্স কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের মিরপুরে অবস্থিত একটি উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকোত্তর কলেজ। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এটি ঢাকা মহানগরীর প্রথম কলেজ যা বাণিজ্য বিশেষায়িত। শিক্ষার্থীরা বাংলা ও ইংরেজি উভয় মাধ্যমেই শিক্ষা গ্রহণ করে। এই কলেজের মূল প্রতিষ্ঠাতা হলেন অধ্যাপক কাজী নুরুল ইসলাম ফারুকী। এই কলেজটি "ডিসিসি" নামেও পরিচিত। ২০১২ সালে ঢাকা কমার্স কলেজকে বাংলাদেশের সেরা বেসরকারী কলেজ হিসাবে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০১৭, ১৮, ২০১৯ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ গুলোর মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে সেরা বেসরকারী কলেজ নির্বাচিত হয়। ২০১৯–২০২০ সেশনে বিজ্ঞানের জন্যও উচ্চমাধ্যমিক কোর্স শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও ঐতিহ্যবাহী কলেজ হিসেবে ঢাকা কমার্স কলেজ বেশ সুপরিচিত।

ঢাকা কমার্স কলেজ

ঢাকা কমার্স কলেজ লোগো
নীতিবাক্য	রাজনীতি ও ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং স্ব-অর্থায়ন
ধরন	বেসরকারি কলেজ, সহশিক্ষা
স্থাপিত	১৯৮৯ (1989)
প্রতিষ্ঠাতা	প্রফেসর কাজী মো. নুরুল ইসলাম ফারুকী (প্রফেসর কাজী ফারুকী)
চেয়ারম্যান	প্রফেসর শফিক আহমেদ সিদ্দিকী
অধ্যক্ষ	প্রফেসর ড. মো. আবু মাসুদ
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ	১১২
শিক্ষার্থী	৬,৬০০
অবস্থান	ঢাকা , বাংলাদেশ ২৩.৮০৬৩৮৯° উত্তর ৯০.৩৫২২২২° পূর্ব / 23.806389; 90.352222
শিক্ষাঙ্গন	শহর, ০৫ হেক্টর
ভাষা	বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম
পোশাকের রঙ	অ্যারো ও নেভি ব্লু
সংক্ষিপ্ত নাম	ডিসিসি
অধিভুক্তি	জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
ক্রীড়া	ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, দাবা, বেসবল, মার্শাল আর্ট, রাগবি, বাস্কেটবল
ওয়েবসাইট	dcc.edu.bd

অবস্থান

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা রোডে রাইনখোলা বাজার সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত।

ভর্তির যোগ্যতা

উচ্চ মাধ্যমিক কোর্সে ভর্তির আবেদনের ক্ষেত্রে

কমার্স থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ -৩.৫০ এবং সাইন্স -এ ৪.৫০ থাকতে হয়। এই কলেজে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হয়। । অনার্স কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এস.এস.সি এবং এইচ.এস.সি উভয় পরীক্ষায় গড়ে জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হয়। অনার্সে মার্কেটিং , ফিনান্স, একাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিকস, ইংরেজি, বাংলা এবং প্রফেশনাল কোর্সে বিবিএ, এমবিএ ও সিএসই বিভাগে ভর্তি করা হয়। রেগুলার মাস্টার্সের ভর্তি অনার্সের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় এবং এমবিএ ভর্তি বিবিএর ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত।

অনুষদসমূহ

• বাংলা
• ইংরেজি
• ব্যাবস্থাপনা
• হিসাববিজ্ঞান
• মার্কেটিং
• ব্যবসায়
• পরিসংখ্যান
• গণিত
• কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল
• অর্থনীতি
• ভূগোল
• ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং
• বিজ্ঞান
• পদার্থবিজ্ঞান
• রসায়ন
• জীববিজ্ঞান
• গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
• শারীরিক শিক্ষা
• সমাজতত্ত্ব
• এমবিএ প্রোগ্রাম

ফলাফল

শিক্ষাবর্ষ	ছাত্রসংখ্যা	উত্তীর্ণ ছাত্র	জি.পি.এ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা	ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান
২০০৩	৮৪৭	৮৪২
২০০৪	৮৯৭	৮৯৫	৫৩
২০০৫	৯০৪	৯০৪	৭১	দশম
২০০৬	১৪৩৭	১৪৩৬	২২৭	ষষ্ঠ
২০০৭	১৫০৫	১৫০০	২২৪	সপ্তম
২০০৮	১৯২৪	১৯২৩	৫১৮	চতুর্থ
২০০৯	১৮১৫	১৮১৪	৪০৯	পঞ্চম
২০১০	২০২৬	২০২২	৪২৩
২০১১	২০৪৩	২০৪২	৮৩১
২০১২	২৪৪৬	২৪৪৩	১১৫৫
২০১৩	১৯৪০	১৯৩০	৮৭১

কলেজ ভবন

ঢাকা কমার্স কলেজ ভবন

কলেজের দাপ্তরিক, একাডেমিক ও অন্যান্য সহায়ক কার্যক্রম সমূহ সম্পাদনের জন্য ২ টি সুবৃহৎ ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভবন ১১ তলা বিশিষ্ট অপরটি ১২ তলা বিশিষ্ট। ১১ তলা ভবনটি পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং এতে মোট রুম রয়েছে ৫০ টি। আর ১২ তলা ভবনটি দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এবং এতে রুম রয়েছে ৭০ টি। কলেজের নিজস্ব অডিটোরিয়াম রয়েছে।কাজী ফারুকী অডিটোরিয়ামে প্রায় ১৬০০ টি আসন রয়েছে।

গ্রন্থাগার

কলেজের ১১ তলা ভবনের ৪র্থ তলায় কলেজটির গ্রন্থাগার অবস্থিত। গ্রন্থাগারটি সিলেবাস ভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য জ্ঞানমূলক বইয়ের সমন্বয়ে গঠিত। গ্রন্থাগারে ৩,০০০ বই রয়েছে। লাইব্রেরীটি সকল শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত হলেও শুধু কার্ডধারী শিক্ষার্থীরাই বই বাসায় নিয়ে যেতে পারে। গ্রন্থাগারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

ল্যাবসমূহ

কলেজটিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদানের ২টি ল্যাব রয়েছে।

• কম্পিউটার ল্যাব
• টাইপ ল্যাব

ল্যাব শুধু কার্ডধারী শিক্ষার্থীরাই ব্যবহার করতে পারে।

ক্লাসসমূহ

এই কলেজের সকল শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য সিঙ্গেল ডেক চেয়ার রয়েছে। শ্রেণীকক্ষগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

পরীক্ষা কক্ষ

শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য পৃথক পরীক্ষা কক্ষ রয়েছে। পরীক্ষা কক্ষগুলো প্রথম ভবনের ১০ম ও ১১তম তলায় অবস্থিত।

ড্রেস কোড

এই কলেজে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ড্রেস কোড রয়েছে।

নোটিশ

কলেজের প্রয়োজনীয় নোটিশ কলেজের নোটিশ বোর্ডে ও কলেজ গেটে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও www.dcc.com.bd তে দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেয়া হয়।

ফলাফল পর্যালোচনা

কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সাময়িকের ফল সরাসরি অভিভাবকদের হাতে প্রদান করা হয়। প্রতি সাময়িক শেষে অভিভাকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবং ফলাফল উন্নতিতে করণীয় বিষয় পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া বছরের বিভিন্ন সময়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা : এই কলেজে অধ্যয়নরত কোনো শিক্ষার্থী যদি ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে চায় তাহলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারে।

বহিঃসংযোগ

• দাপ্তরিক ওয়েবসাইট