ডৌহাখলা ইউনিয়ন
ডৌহাখলা ইউনিয়ন বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১][২]
ডৌহাখলা | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৮নং ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে ডৌহাখলা ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°২৬′২৯″ উত্তর ৯০°২০′৪২″ পূর্ব / ২৪.৪৪১৩৯° উত্তর ৯০.৩৪৫০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ময়মনসিংহ বিভাগ |
জেলা | ময়মনসিংহ জেলা |
উপজেলা | গৌরীপুর উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাডৌহাখলা ইউনিয়নের
উত্তরে গৌরীপুর ইউনিয়ন, গৌরীপুর ও গৌরীপুর পৌরসভা এবং তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়ন
দক্ষিণে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়ন
পূর্বে বোকাইনগর ইউনিয়ন
পশ্চিমে ভাংনামারী ইউনিয়ন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন
ইতিহাস
সম্পাদনাবাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোর অন্যতম হচ্ছে মৃৎশিল্প। একসময় মৃৎশিল্পের জন্য ডৌহাখলা বিখ্যাত ছিল। মাটির নান্দনিক কারুকার্য ও বাহারি নকশার কারণে এই শিল্পের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদার কারণে বাইরের বিভিন্ন নদী বন্দরে মৃৎসামগ্রী রপ্তানি করা হতো। বিভিন্ন গবেষণা ও অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, বিভিন্ন সিরামিক বা দগ্ধমৃত্তিকা, মূর্তি, ভাস্কর্য, অলঙ্কার, নকশা করা মাটির পাত্র, নান্দনিক ইট ও শৌখিন মৃৎসামগ্রী দহন করার জন্য বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন খলা বা কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। যেমন ইটখলা, ধানের খলা, মৃৎশিল্পের খলা, দহনখলা ইত্যাদি।
গবেষণা থেকে জানা যায়, এই দহনখলাকে কেন্দ্র করে স্থানটির নাম হয় ডৌহাখলা। ১৭৮৭ সালে বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তনে তার একটি শাখা নদী অর্থাৎ রেনেলের অঙ্কিত দুই তিন কিলোমিটার প্রশস্তের সোহাই নদী শত বছর আগে গাজীপুর, রাঘবপুর, বিসকা, কলতাপাড়া এলাকায় মরা গাঙ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। ১৭৮৭ এর আগে জেমস রেনেল তার মানচিত্রে বিভিন্ন নদীর অবস্থান চিহ্নিত করে গেছেন। গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের গাজীপুরের আশেপাশে কিছু জায়গায় এখনও ইতিহাসের গন্ধ লেগে আছে।
কালের স্বাক্ষী বহনকারী ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদ ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোডের দুপাশে গড়ে উঠা গৌরীপুর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো ডৌহাখলা ইউনিয়ন। এটি ময়মনসিংহ মহানগর থেকে পূর্ব পার্শ্বে ১৫ কি: মি: দূরে এবং গৌরীপুর উপজেলা হতে পশ্চিম-দক্ষিন পার্শ্বে ১২ কি: মি: দূরে অবস্থিত। ঐতিহাসিক জমিদারদের বসতভিটা ছিল ডৌহাখলা ইউনিয়নে। জমিদারদের প্রাচীর, ভাঙা প্রাচীর গুলো আজো কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। সময়ের পরিবর্তনে আজ ডৌহাখলা ইউনিয়ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনা১ নং ওয়ার্ড: তাঁতকুড়া, রুকনাকান্দা, কাটাশিয়া
২ নং ওয়ার্ড: তেলিজানী, গয়েশখিলা, নন্দীগ্রাম
৩ নং ওয়ার্ড: কলতাপাড়া, চূড়ালী
৪ নং ওয়ার্ড: গাজীপুর, পাড়া রাজিবপুর, দরুন লালমা, মামদীপুর, ঝাউগাই, চন্দপাড়া, পায়ড়া, চর শ্রীরামপুর, কৃষ্ণনগর
৫ নং ওয়ার্ড: সিংজানী, চর ঘোড়ামারা
৬ নং ওয়ার্ড: কদিম ডৌহাখলা, রামপুর সিংজানী, ছোট বৃ ডৌহাখলা, ইসপিনজামপুর, দরুন সিংজানী, মল্লিকপুর, বাঁশাটি, গনিতাশ্রম, বেদাশ্রম, দেবাশ্রম
৭ নং ওয়ার্ড: পানাটি, স্বল্প পানাটি, মৌজা পানাটি, কাজীর পানাটি, বড় বৃ ডৌহাখলা, স্বল্প ডৌহাখলা
৮ নং ওয়ার্ড: মরিচালী, হরিদ্রাকান্দি, কুমার রামপুর, কর্মকারপাড়া, ত্বকপুর
৯ নং ওয়ার্ড: নগুয়া, আহছানপুর, কলাদিয়া, চক কলাদিয়া, রতনপুর, বিল কেইলা, রুকুন্দীপুর, হিরনসনখিলা, চানপুর, দৌলতপুর
আয়তন ও জনসংখ্যা
সম্পাদনা৩০.০২ (বর্গ কিঃ মিঃ) ও ৩৮,৫০০ জন (প্রায়)
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনাডৌহাখলা জমিদার বাড়ি, কেইলা বিল ইত্যাদি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ডৌহাখলা ইউনিয়ন"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "গৌরীপুর উপজেলা"। বাংলাপিডিয়া। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫। ২১ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০।
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |