ডেমন স্লেয়ার: কিমেতসু নো ইয়াইবা
ডেমন স্লেয়ার: কিমেতসু নো ইয়াইবা (অনুবাদ: দৈত্য হত্যাকারী) হলো কোয়োহারু গোতোগে বিরচিত এবং অলংকারিত বিখ্যাত মাঙ্গা ও এক অনবদ্য সৃষ্টি। ইউফোটাবেল স্টুডিও কর্তৃক এই মাঙ্গার অ্যানিমে অভিযোজন ৪ঠা জুন, ২০১৮ সালে "উইকলি শোনেন জাম্প"-এ ঘোষণা করা হয়।[১] ২০১৯ সালের ৬ই এপ্রিল থেকে ২৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিরিজটি ধারাবাহিকভাবে টোকিও এমএক্স, জিটিভি, জিওয়াইটি, বিএস১১ এবং আরো অন্যান্য চ্যানেলে সম্প্রচারিত হতে থাকে।[২][৩] ইউফোটাবল কর্মচারীদের দ্বারা প্রস্তুত স্ক্রিপ্ট সহিত হারুও সোতোজাকি অ্যানিমেটি পরিচালনা করে এসেছেন। সঙ্গীত গীতিকারের ভূমিকায় রয়েছেন ইউকি কাজিউরা এবং গো শিইনা। চরিত্র পরিকল্পনা করেছেন আকিরা মাতসুশিমা এবং হিকারু কোনদো হলেন মূল অ্যানিমেটির প্রযোজক।[৪] প্রারম্ভিক থিম টেমপ্লেট:নিহোনগো গেয়েছেন লিসা, [৫] এবং সমাপ্তির থিম "ফ্রম দা এজ" গেয়েছেন ফিকশনজাংশন।[৬] উনিশতম পর্বের এন্ডিং থিমের জন্যে নামি নাকাগাওয়ার সাথে গো শিনা টেমপ্লেট:নিহোনগো গানটি গেয়েছেন। অ্যানিপ্লেক্স অফ আমেরিকা ঘোষণা করে যে সিরিজটা তারা দত্তাধিকারে নিয়ে নিয়েছে,[৭] এবং ক্রান্চিরোল, হুলু আর ফানিমেশননাও-এ স্ট্রিমিং সম্পন্ন করা হয়েছে।[৮] এছাড়াও অ্যানিমেল্যাব সিরিজটি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে যুগপতভাবে সম্প্রচার করেছে।[৯] ২৬ পর্বের এই সিরিজটিতে মূল মাঙ্গার প্রথম খন্ড থেকে সপ্তম খন্ডের শুরু অব্দি কাহিনীর বিবরন দেওয়া আছে। [১০]
ডেমন স্লেয়ার: কিমেতসু নো ইয়ায়বা প্রথম মৌসুম | |
---|---|
মৌসুম মৌসুম ২ | |
পর্বের সংখ্যা | ২৬ |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | টোকিও এমএক্স, জিটিভি, জিওয়াইটি, বিএস১১ |
মূল মুক্তি | ৬ এপ্রিল ২০১৯ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | –
সম্প্রচারনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে, জাপানে ২০১৯ সালে ২৯শে মার্চ থেকে দুই সপ্তাহের জন্যে প্রথম পাঁচটি পর্ব সিনেমার পর্দায় প্রকাশিত হয়; তখন এর নামকরণ দেওয়া হয় 鬼滅の刃 兄妹の絆 (কিমেতসু নো ইয়ায়বা:কিওদাই নো কিজুনা)[১১] এটিকেই লোস এঞ্জেলেস আরাতানি থিয়েটারে ৩১শে মার্চ, ২০১৯ সালে দেখানো হয়। [১২] ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল, অস্ট্রেলিয়ায় অ্যানিমেল্যাব থেকে ম্যাডম্যান এন্টারটেইনমেন্ট বিশেষ কিছু নির্বাচিত থিয়েটারে এই সিনেমা প্রদর্শিত করে।[১৩]
২০১৯ সালের জুলাই মাসে সিরিজটির ইংরেজী ভাষায় ডাব, অ্যাডাল্ট সুইম -এর টুনামি বিভাগে সম্প্রচারিত হবে বলে ঘোষিত হয়।[১৪] ইংরেজি ডাবটি যথাসময়ে ১২ই অক্টোবর সম্প্রচারিত হয়।[১৫]
শেষ পর্বে বিবৃত সিক্যুয়াল ফিল্ম ২০২০ সালে ১৬ই অক্টোবর মুক্তি পায়; এই ফিল্মে "অসীম ট্রেন" আর্কটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এটির নির্মাণে একই কর্মচারীগণ কাজ করেছেন ও ব্যবহৃত কণ্ঠস্বরও একই শিল্পীদের থেকে কৃত। [১৬]
পর্ব তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম [১৭][১৮] | পরিচালক | মূল সম্প্রচারের তারিখ [১৯] | English air date | |
---|---|---|---|---|---|
১ | "নিষ্ঠুরতা" Transcription: "জানকোকু" (জাপানি: 残酷) | হারুও সোতোজাকি | ৬ এপ্রিল ২০১৯ | October 12, 2019 [১৫] | |
তানজিরো কোমাদো হলো এক কিশোর যে খুব সুখের সাথে তার পরিবারের সাথে বসবাস করে। কিন্তু হঠাৎ একদিন বাড়ি ফিরে এসে সে দেখে যে তার বিধবা মা, দুই ভাই ও এক বোনকে কেউ নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে দিয়েছে। শুধুমাত্র তার এক বোন, নেজুকো তখনও বেঁচে থাকে যে ইতিমধ্যেই এক দানবে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। গিউ তোমিওকো, একজন দানব শিকারী তখন সেখানে এসে উপস্থিত হয় নেজুকোর শিরশ্ছেদ করতে, কিন্তু তানজিরো তাকে বাধা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে তার বোনকে আবার মানুষরূপে ফিরিয়ে নিয়ে আনবে। গিউ অবশেষে এই দুই ভাইবোনদের ছেড়ে দেয় কারন সে মুগ্ধ হয়ে গেছিলো তানজিরোর তীক্ষ্ণ-বুদ্ধি আর নেজুকোর দানব হওয়ার পরেও দাদাকে রক্ষা করার গভীর ইচ্ছাশক্তি দেখে। গিউ তাদেরকে সাকোনজি উরোকোদাকির কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেয় যে সাগিরী পাহাড়ে থাকে। সে তানজিরোকে আরও সাবধান করে দেয় যে নেজুকো যেন সূর্যের আলোতে না যায়। ভাইবোনে মিলে মৃত পরিবারের সদস্যদের মাটিতে কবর দিয়ে পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। | |||||
২ | "প্রশিক্ষক সাকোনজি উরোকোদাকি" Transcription: "ইকু-শু উরোকোদাকি সাকোনজি" (জাপানি: 育手・鱗滝左近次) | হারুও সোতোজাকি | ১৩ এপ্রিল ২০১৯ | October 19, 2019 | |
তানজিরো নেজুকোকে দিনেরবেলায় একটি বাঁশের ঝুড়িতে ভরে কাঁধে বহন করে সাগিরী পাহাড়ে আসে। পথে এক দানব তাদের উপর আক্রমণ করে, কিন্তু কোনোরকমে তারা দানবটিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। সাকোনজি উরোকোদাকি এসময় সেখানে এসে উপস্থিত হন এবং তিনি দানবটিকে মেরে ফেলার আদেশ দেন তানজিরোকে। তবে সূর্য ওঠা পর্যন্ত তানজিরো তা করতে ইতঃস্তত করলে দানবটি সূর্যের আলোয় পুড়ে মারা যায়। তানজিরোর করুনতা আর দানবদের প্রতি দূর্বল মানসিকতাকে উপেক্ষা করে উরোকোদাকি দুজনকে সাগিরী পাহাড়ে নিয়ে আসে। নেজুকোকে নিজের কক্ষে রেখে দিয়ে তিনি তানজিরোকে নিয়ে পাহাড়ের শীর্ষে আসেন এবং তাকে সন্ধ্যে হওয়ার আগে ফিরে আসার আদেশ দেন। তানজিরো তার প্রখর ঘ্রাণশক্তির সাহায্যে পাহাড়ের ক্ষীণ বাতাসের সংস্পর্শে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য ফাঁদের সঙ্গে সংগ্রাম করে সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসতে উত্তীর্ণ হয়। গিউ-এর প্রেরিত এক চিঠিতে এই দুই ভাইবোনদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অনুরোধ পেয়ে উরোকোদাকি তানজিরোকে নিজের শিষ্যত্ব প্রদান করেন। | |||||
৩ | "সাবিতো আর মাকোমো" Transcription: "সাবিতো তো মাকোমো" (জাপানি: 錆兎と真菰) | শিনিয়া শিমোমুরা | ২০ এপ্রিল ২০১৯ | October 26, 2019 | |
পরের ছয় মাস ধরে তানজিরো কঠোরভাবে প্রশিক্ষণ নিতে থাকে, যার ফলে শারীরিকভাবে সে শক্ত হয়ে ওঠে এবং নিজের গতিবেগ ও মনোবল বৃদ্ধি করতে তানজিরো একটি বিশেষ শ্বাসক্রিয়া পদ্ধতি পূর্ণ-একাগ্রতা শিখতে থাকে। একদিন উরোকোদাকি তাকে বলেন যে সে যদি নিজের তলোয়ার দিয়ে একটা পাথরের চাইকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারে তবে তিনি তাকে অন্তিম নির্বাচনে প্রবেশ করতে দেবেন। অন্তিম নির্বাচন হলো দানব শিকারী-বাহিনীদের দ্বারা প্রস্তুত একটি উদ্বর্তন পরীক্ষা যার মাধ্যমে একজন দানব শিকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে। তানজিরো তার পরের ছয় মাস পাথরের চাই ভাঙ্গতে কাটিয়ে দেয় কিন্তু কিছুতেই সেটা ভাঙ্গতে পারে না। ঘুমন্ত নেজুকোর জন্যে দুশ্চিন্তা করে করে তানজিরো যখন প্রায় হাল ছেড়ে দিতে বসেছে, তখন মুখোশধারী সাবিতো আর মাকোমোর সাথে তার দেখা হয়। সাবিতো প্রথমেই তানজিরোকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় এবং উরোকোদাকির অনুশীলন নিজের শরীরে একেবারে গেঁথে না নেওয়ার জন্যে তানজিরোকে অবজ্ঞা করে। এরপর থেকে সাবিতো লড়াই এর মাধ্যমে তানজিরোকে প্রশিক্ষণ দিতে থাকে ও মাকোমো প্রত্যেকবার তানজিরোকে নিজের দক্ষতার বিষয়ে অবহিত করতে থাকে। মাকোমো প্রকাশ করে যে তারা আসলে অনাথ এবং উরোকোদাকির আশ্রয়ে বেড়ে উঠেছে। আরো ছয় মাস পর অবশেষে তানজিরোর তলোয়ার সাবিতোর উপরে প্রথম এসে পড়লো, ফলে তার মুখোশের দুভাগ হয়ে যায়। এতে দুই ভাইবোনের মুখে এক হাসি ফুটে ওঠে ও তারা বাতাসে মিলিয়ে যায়। তানজিরো বুঝতে পারে যে তার তলোয়ার আসলে মুখোশের বদলে এক বিশাল পাথরের চাইকেই দুভাগ করে দিয়েছে। | |||||
৪ | "অন্তিম নির্বাচন" Transcription: "সায়শু সেমবেতসু" (জাপানি: 最終選別) | শিনিয়া শিমোমুরা | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | November 2, 2019 | |
দুবছর কেটে যাওয়ার পর তানজিরো অবশেষে অন্তিম নির্বাচনের জন্য ফুজিকাসানে পাহাড়ে রওনা দেয়। যাত্রা শুরু করার আগে উরোকোদাকি তানজিরোকে সাবধান করে দেন যে একজন দানবের শক্তি, সে তার জীবনে যতজন মানুষ খেয়েছে তার সমান এবং তাকে আত্মরক্ষার কবচ হিসেবে একটি মুখোশ দেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তানজিরো জানতে পারে যে এই পাহাড়ে সারাবছর ধরে উইস্টেরিয়া নামে এক ফুল ফোটে যা দানবদের পাহাড়ের সীমানা ছাড়তে বাঁধা দেয়। অন্তিম নির্বাচনের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে গেলে, এই পাহাড়ে সাতদিন দানবদের সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হবে। প্রথম রাত্রে তানজিরো তার কঠোর প্রশিক্ষণের সাহায্যে প্রত্যেকটি দানবকে মেরে ফেলতে সক্ষম হয়, যাদের সাথে তাকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এইবার সে একটি বৃহদাকার এবং ভয়াল হাতের সজ্জায় পরিবেষ্টিত দানবের সম্মুখীন হয় যাকে উরোকোদাকি নিজে থেকে এই অঞ্চলে বন্দী করেছিলেন। তবে তানজিরো যে আসলে উরোকোদাকির শিষ্য, তা জানার পর দানবটি আনন্দ সহকারে স্বীকার করে যে সে এতদিনে উরোকোদাকির তেরোটি শিষ্য মেরেছে, যাদের মধ্যে সাবিতো এবং মাকোমোও ছিল। এটা শোনার পর তানজিরো খুব রেগে গিয়ে দানবের উপর আক্রমণ চালিয়ে দেয়। এদিকে কোথাও সাবিতো আর মাকোমোর আত্মা চিন্তা করতে থাকে যে তানজিরো তাদের হত্যাকারীকে মারতে পারবে কিনা। তবে সাবিতো আশ্বাস দেয় যে তানজিরো জঙ্গলের সবচেয়ে শক্ত পাথরের চাইকে ভাঙ্গতে পেরেছে, অর্থাৎ তার উপর ভরসা করলে সে নিশ্চই তার মর্যাদা রাখবে। বিশেষ কিছু আক্রমনের বিন্যাস রেখে তানজিরো অবশেষে পাণি-দানবের শিরশ্ছেদ করতে সক্ষম হয়। | |||||
৫ | "আমার নিজের ইস্পাত" Transcription: "ওনোরে নো হাগানে" (জাপানি: 己の鋼) | তাকাশি সুহারা | ৪ মে ২০১৯ | November 9, 2019 | |
শিরশ্ছেদের পর দানবটির শরীর ধীরে ধীরে বাতাসে মিলিয়ে যেতে থাকে এবং উরোকোদাকির যে শিষ্যদের সে হত্যা করেছিল, তাদের আত্মারা অবশেষে শান্তি পায়। দানবটি মরতে মরতে তার অতীতের কথা স্মরণ করে। তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই সময় যখন সে একজন কমবয়সী যুবক থেকে দানবে পরিণত হয়ে গেছিল এবং কীভাবে সে সর্বদা তার স্নেহের দাদার হাতের উষ্ণতা অনুভব করতে চেয়েছিল। তানজিরো তার থেকে দুঃখের গন্ধ পাওয়ায় সে তার হাত চেপে ধরে, যার ফলে দানবটির চোখে জল চলে আসে। বাকি সপ্তাহ তানজিরো দানবদের মারতে মারতে কাটিয়ে দেয় এবং তাদের প্রত্যেকজনকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে কীভাবে একজন দানব আবার মানুষে পরিণত হতে পারে কিন্তু কেউ উত্তর দেয় না। তানজিরো আর আরো তিনজন অন্তিম নির্বাচনে উত্তীর্ণ হয় এবং তাদেরকে দানব-শিকারী বাহিনীর সবচেয়ে নিম্ন পদ "মিজুনোতো"-র মর্যাদা দেওয়া হয়। তাদের সবাইকে একটি করে কাসুগাই কাকও দেওয়া হয় যোগাযোগ করার জন্যে। তাদেরকে নিজেদের ব্যক্তিগত তলোয়ারের জন্যে মূল্যবান আকরিক নির্বাচন করতে দেওয়া হয় এবং সাথাসাথী তাদের জন্যে বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থাও করা হয়। তানজিরো উরোকোদাকির কাছে ফিরে আসে এবং নেজুকোর সাথে পুনর্মিলিত হয় যে দেড় বছরের ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। উরোকোদাকি অনুমান করে যে নেজুকো কোনো মানুষ না খাওয়ার জন্যে লম্বা ঘুমের মাধ্যমে নিজের শক্তি পুনরায় সঞ্চিত করেছে। পনেরো দিন পর একজন তরোয়াল কর্মকার, হাগেনেজুকা তানজিরোর তলোয়ার দিতে আসে। তলোয়ারের নিচিরিন ফলক যেহেতু তলোয়ারধারীর উপর নির্ভর করে তার রঙ পরিবর্তন করে নেয়, তাই তানজিরোর ফলকটিও কালো বর্ন ধারণ করে যা কুসংস্কার অনুযায়ী অশুভের প্রতীক। এরপর কাসুগাই কাক তানজিরোকে তার সর্বপ্রথম দায়িত্ব প্রেরন করে: উত্তরপূর্ব দিকের এক নগরে কমবয়সী নারীরা রাত্রে গায়েব হয়ে যাচ্ছে, অবিলম্বে সেখানে পৌঁছে এই রহস্যের জন্যে দায়ী দানবকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হলো। | |||||
৬ | "তলোয়ারবীদ ও সহগমনকারী দানব" Transcription: "ওনি ও সুরেতা কেনশি" (জাপানি: 鬼を連れた剣士) | জুনাছি মিনামো | ১১ মে ২০১৯ | November 16, 2019 | |
নেজুকোকে একটা বাক্সে করে কাধে নিয়ে তানজিরো তার সর্বপ্রথম দায়িত্ব সম্পন্ন করতে নগরে আসে। সেখানে এসে কাজুমির সাথে তার দেখা হয় যার বাগদত্ত সাতোকো আগের রাত্রে উধাও হয়ে গেছে। কাজুমি তানজিরোকে নিয়ে আসে সেই স্থানে, যেখানে সাতোকোকে শেষবারের জন্যে দেখা গেছিলো। তানজিরো সেখান থেকে দানবের গন্ধ অনুসরণ করতে থাকে। কাজুমির মনে আসে যে সাতোকোর বাবা কীভাবে তাকে হেনস্থা করেছিল এই ভাবে যে কাজুমি তার মেয়ের সঙ্গে কিছু একটা করে দিয়ে তাকে গায়েব করে দিয়েছে। এরপর সে বুঝতে পারলো যে তানজিরো দানব-শিকারী বাহিনীর মধ্যে একজন। দানবের গন্ধ অনুসরণ করতে করতে এবার রাত নেমে আসে। তানজিরো জানতে পারে যে আরেকজন মেয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে সেই সময়ে। এর ফলে সে অনুমান করে যে এই সমস্ত ঘটনার পেছনে থাকা দানবটি আসলে মাটির তলা থেকে কোনো জলীয় মাধ্যমের নিরিখে মেয়েদের অপহরন করে আসছে। তানজিরো আর নেজুকো একসাথে মিলে এই দানবটার সাথে লড়াই করে যার একসাথে তিনটে অস্তিত্ব বর্তমান এবং তারা "রক্ত-দানব কৌশল" ব্যবহার করতে সক্ষম যা শুধুমাত্র সেই সমস্ত দানবরাই করতে পারে যাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমানমতো শক্তি আছে। তানজিরো মনে করে যে উরোকোদাকি একবার হাজার বছর বয়স্ক দানব সৃষ্টিকর্তার কথা বলেছিলেন যে একাধারে সমস্ত দানবের পূর্বসুরী এবং মানুষদের দানবে পরিণত করাতেও একমাত্র হাত তারই :মুজান কিবুতসুজি। | |||||
৭ | "মুজান কিবুতসুজি" Transcription: "কিবুতসুজি মুজান" (জাপানি: 鬼舞辻 無慘) | তাকাহিরো মাজিমা মাসাশি তাকেউচি | ১৮ মে ২০১৯ | November 23, 2019 | |
দানবদের জলাতে নেমে গিয়ে তানজিরো একা দুটো দানবের সঙ্গে লড়াই করে, এদিকে যখন নেজুকো আর একটা দানবের হাত থেকে কাজুমি এবং অন্য একজনকে রক্ষা করতে থাকে। জলাটা অন্ধকার আর প্রচণ্ড ঘন হওয়া সত্বেও তানজিরোর জলীয় কৌশল জলের গভীরে তার প্রকৃত রূপ নেয় এবং দুই দানবদের শরীর ছিন্নভিন্ন করে দেয়। এরপর সে দ্রুত সমতলে ফিরে আসে। তানজিরো শেষ দানবটির সম্মুখীন হয় যে এটিমধ্যেই বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গিয়েছিল নেজুকোর সঙ্গে লড়ে। তানজিরো তাকে শেষবারের জন্যে মুজানের কথা জিজ্ঞেস করল কিন্তু মুজানের নাম শুনে দানবটা খুব ভয় পেয়ে গেলো, এই রকম প্রতিক্রিয়া দেখে তানজিরো বেশ চমকে গিয়েছিল। নেজুকো এই লড়াইয়ের পর ঘুমোতে চলে গেলে তানজিরো তাকে তার বাক্সে আবার পুরে নেয়। বিধ্বস্ত কাজুমিকে তানজিরো সান্ত্বনা দেয় এবং জলা থেকে খুঁজে পাওয়া সাতোকোর একটি চুল বাঁধার রিবন স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফেরত দেয়। কাজুমি প্রথমে দুঃখে ভেঙ্গে পড়ে কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে যে তানজিরোকেও একইরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, সে তখন ক্ষমা চায়। তানজিরো তার কাকের নির্দেশিকা মেনে পরবর্তী নগর আকাসুকায় আসে যেখানে তার রক্ত হিম করে দিয়ে মুজান একজন মানুষ রূপে সামনে এসে পড়ে। মুজান বুঝতে পারে যে তানজিরো একজন দানব শিকারী এবং অলসভাবে পাশের একজন ব্যক্তির গলা কেটে দিয়ে তাকে দানবে পরিণত করে দেয়। | |||||
৮ | "মোহনীয় রক্তের গন্ধে" Transcription: "গেনওয়াকু নো চি নো কাওরি" (জাপানি: 幻惑の血の香り) | হিদেকি হোসোকাওয়া | ২৫ মে ২০১৯[ক] | December 7, 2019 | |
আক্রমিত ব্যক্তিটি দানবে রূপান্তরিত হয়ে গেলে সেখানকার পরিস্থিতি বেশ জটিল হয়ে পড়ে। তাকে আটকানোর জন্যে তানজিরো হস্তক্ষেপ করতেই মুজান ভিড়ের মাঝখান থেকে প্রস্থান করার সুযোগ পায়। তবে যেতে যেতে মুজান শুনতে পায় যে তানজিরো তাকে আবার খুঁজে বের করার প্রতিজ্ঞা করছে। পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছোয় এবং তানজিরোকে আটক করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাশ থেকে এক দানবী, তামায়ো ও তার সহচর ইয়ুশিরো তাকে পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে সাহায্য করে। দানব হওয়ার সাথাসাথি তামায়ো একজন ডাক্তারও ছিল, তাই সে মানুষের জীবনের মর্যাদা বোঝে। তামায়ো এই ভাইবোনকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেয় এবং ইয়ুশিরোর রক্ত-দানব কৌশলের মাধ্যমে তাদের অন্যান্য দানবদের প্রার্থনারত চোখের দৃষ্টি থেকে লুকিয়ে রাখে। তামায়ো তানজিরোকে বোঝায় যে, সমস্ত দানবদের মধ্যেই মুজানের রক্ত বয়ে চলে, তাই মুজান সবার অবস্থান ও ক্রিয়াকলাপের বিষয়ে সবসময় জানতে পারে আর কেউ যদি তার কথা প্রকাশ্যে কাউকে বলে ফেলে, তখন তাদের শরীরের কোষগুলি ধ্বংস হতে শুরু করে যাকে "মুজানের অভিশাপ" বলা হয়। তামায়ো আরো বলে যে সে ২০০ বছর ধরে নিরলসভাবে গবেষণা করে এসেছে যার ফলস্বরূপ সে মুজানের অভিশাপকে নিজের ওপর বিকল করে দিতে সফল হয়েছে এবং মানুষ থেকে কাউকে দানবে পরিণত করার কৌশলও তার জানা হয়ে গেছে যদিও সেটা কোনো মৃতপ্রায় বা বিশেষভাবে নির্বাচিত ব্যক্তির ওপরই কাজ করতে পারে যেমন ইয়ুশিরো। ইয়ুশিরো আর নিজের শরীর তামায়ো এমনভাবে মিশিয়ে দিয়েছে যে তারা খুব অল্প পরিমাণ মানুষের রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে, এমনকি দরকারের সময় একে অন্যের দেহে রক্ত স্থানান্তরনও করা অসম্ভব নয়। তানজিরো তামায়োর সাথে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত হয় এবং তাকে তার বোনের রক্ত ও মুজানের শক্তির কাছাকাছি থাকা দানবদের রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় যাতে তামায়ো তার গবেষণা চালিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে, মুজান তানজিরোকে হত্যা করতে তার দুই অনুগত দানবদের পাঠায়। সুসামারু তার তেমারী বল নিয়ে আসে এবং ইয়াহাবা তার হাতে অবস্থিত চোখের সাহায্যে তানজিরোকে মারতে তার অনুসন্ধান করতে থাকে। | |||||
৯ | "তেমারী দানবী এবং শর দানব" Transcription: "তেমারী ওনি তো ইয়াজিরুশি ওনি" (জাপানি: 手毬鬼と矢印鬼) | শিনিয়া শিমোমুরা | ১ জুন ২০১৯ | December 14, 2019 | |
সুসামারূ ইয়ুশিরোর রক্ত-দানব কৌশল নষ্ট করে দেয় এবং তেমারী বলগুলি দিয়ে বাড়ি ভাঙ্গতে শুরু করে। সুসামারূ প্রকাশ করে যে সে আর ইয়াহাবা দ্বাদশ কিজুকি (সর্বাধিক শক্তিশালী দানব শিষ্য)-র মধ্যে দুজন যারা মুজানকে সরাসরি সেবা করে। তেমারীগুলোকে এড়াতে তানজিরো খুব মুশকিলে পড়ে কারন সেগুলো অসম্ভব গতিতে দিক পরিবর্তন করছে এবং সেগুলোকে তলোয়ার দিয়ে কাঁটাও যাচ্ছে না। তবে ইয়ুশিরো তানজিরোকে তেমারীরগুলির অভিমুখ দেখতে সাহায্য করে যা ইয়াহাবা নিয়ন্ত্রণ করছিল কিছু দূর থেকে। যদিও নেজুকো ইয়াহাবাকে মারতে যায় কিন্তু কিছুপরেই ভাইবোনে প্রতিপক্ষ পরিবর্তন করে ফেলে। ইয়ুশিরোও সাসামুরার সাথে লড়াই করতে নামে এবং তার রক্ত-দানব কৌশলের সাহায্যে নিজেকে অদৃশ্য করে হামলা চালায় সাসামুরার ওপর। তানজিরো ইয়াহাবার নিকটে যেতেও কাহিল হয়ে পড়ে কারন ইয়াহাবা সবসময তার শরীরের অভিমুখ পরিবর্তন করে দিচ্ছিল এবং এদিকে নেজুকো তেমারীর আঘাতে তার এক পাও হারিয়ে ফেলেছিল। তানজিরো ক্লান্ত হয়ে পড়া সত্বেও তার কঠোর প্রশিক্ষণের কথা মনে করে এবং নিজের গতিবিধির এমন এক সমাহার সৃষ্টি করে যার ফলে সে অবশেষে ইয়াহাবার নিকটে গিয়ে তার শিরশ্ছেদ করতে সফল হয়। | |||||
১০ | "একসাথে চিরকাল" Transcription: "জুত্ত ইসশো-নি ইরু" (জাপানি: ずっと一緒にいる) | ইউকি ইতো | ৮ জুন ২০১৯ | January 4, 2020 | |
ইয়াহাবা ধীরে ধীরে বাতাসে মিলিয়ে যেতে শুরু করলেও সে তানজিরোকে মেরে ফেলার জন্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়। সে নিজের মৃত্যু পর্যন্ত না থেমে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ চালিয়ে যেতেই থাকে যার ফলে পরস্পর ধাক্কা সামলাতে গিয়ে তানজিরো প্রচন্ড হাপিয়ে পড়ে। এদিকে তামায়োর তৈরি সিরাম খেয়ে নেজুকো তার শক্তি ফিরে পায় ও আবার সুসামুরার সাথে লড়াই করতে শুরু করে। নেজুকোর ইচ্ছাশক্তি এতটাই প্রবল হয়ে যায় যে সে সুসামুরার তেমারীগুলো আবার লাথি মেরে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। তামায়ো এরপর তার রক্ত-দানব কৌশল ব্যবহার করে নিজের রক্তের গন্ধে সুসামারুর সতর্কতা হ্রাস করে দেয়, যার ফলে সে ভুল করে মুজানের নাম বলে ফেলে আর মুজানের অভিশাপ সক্রিয় করে দেয়। সুসামারু শেষপর্যন্ত এক জঘন্য যন্ত্রনায় মরতে বাধ্য হলো। লড়াই শেষে তামায়ো বুঝতে পারে যে এই দুই দানব আসলে দ্বাদশ কাজুমির সদস্য হওয়ার মতো শক্তিশালী মোটেও ছিল না এবং এছাড়াও লক্ষ্য করে যে তাদের চোখের উপর কোনো পদসংখ্যা ছিল না, কিন্তু প্রত্যেক দ্বাদশ কাজুমির চোখে নিজস্ব পদসংখ্যা লেখা থাকে। তবুও তামায়ো গবেষনার জন্যে সুসামারুর রক্ত সংগ্রহ করে। ভোরের আলো ফুটলেই তানজিরো সুসামারুর তেমারীগুলো তার দেহের পাশে রেখে দেয় যাতে অন্তত মরার সময় তার আত্মা শান্তি পায়। যদিও উরাকোদাকি নেজুকোর উপর এক মন্ত্রের ব্যবহারে তাকে মানুষদের বন্ধু ও দানবদের শত্রু ভাবায়, তবুও নেজুকো তামায়ো আর ইয়ুশিরোকে বন্ধু হিসেবেই দেখে। এর ফলে তামায়ো খুব কৃতজ্ঞতা বোধ করে ও কেঁদে ফেলে। ভাইবোনে মিলে আবার নতুন অভিযানে দক্ষিণপূর্ব দিকে যাত্রা করে। পথে তারা জেনিতসু আগাতসুমা-কে দেখতে পায় যে তানজিরোর মতোই অন্তিম নির্বাচনে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সে পথের মাঝখানে এক দুস্থ মহিলাকে বিয়ে করার জন্যে আবেদন করছিল যদিও মহিলাটি প্রস্তাবে নারাজ ছিল। | |||||
১১ | "সুজুমি প্রাসাদ" Transcription: "সুজুমি ওয়াশিকি" (জাপানি: 鼓お屋敷) | শুজি মিয়াহারা | ১৫ জুন ২০১৯ | January 11, 2020 | |
হয়রান হয়ে যাওয়া মহিলাটির থেকে তানজিরো জেনিতসুকে আলাদা করে এবং জেনিতসু তাকে বলে যে সে খুব দূর্বল আর তাই মরার আগে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিতে চায়। এসময় তানজিরোর কাক তাদের দুজনকেই একটা প্রাসাদে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। জেনিতসুর শ্রবণশক্তি, তানজিরোর ঘ্রাণশক্তির মতো প্রখর হওয়ায় তারা সেই প্রাসাদে পৌঁছে দুটি ভীত বাচ্ছাদের খুঁজে পায়। তারা তানজিরোকে বলে যে তাদের দাদাকে একটা দানব প্রাসাদের ভেতরে হরন করে নিয়ে গেছে। পরক্ষনেই আচমকা একটা মানুষকে প্রাসাদের জানলা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয় এবং মাটিতে পড়ে তার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়। তানজিরো প্রাসাদের ভিতরে যাওয়ার সংকল্প নেয় এবং যেহেতু জেনিতসু ইতিমধ্যেই বেশ ভয় পেয়ে গেছিল, তাই তাকে নেজুকোবদ্ধ বাক্সটির খেয়াল রাখতে বলে। এরপর তারা সবাই ভেতরে প্রবেশ করলে প্রাসাদের ভেতরটা আপনাআপনি বিভক্ত হয়ে যায় এবং তানজিরো তেরুকোর সাথে বাকি দুজনের থেকে আলাদা হয়ে যায়। শোইচি জেনিতসুর সাথে একা হয়ে গেলে সে জেনিতসুর কাপুরুষতা দেখে তাকে ভর্ৎসনা করে। যখন জেনিতসু বাইরে বেরোনোর রাস্তা খুঁজছিল তখন পাশ থেকে এক শুয়োরের মাথাধারী মানুষকে তারা যেতে দেখতে পায়। এদিকে প্রাসাদের দানবের আবির্ভাব হয় আর তানজিরো তেরুকোকে নিয়ে লুকিয়ে পড়ে। দানবটি কোনো কারণে তার শিকার হারানোর জন্যে বড়াই করছিল আর সেই সময়ে তানজিরো তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিন্তু ঘরটা হঠাৎ উল্টে যায়, যার ফলে তানজিরো নিচে না দাড়িয়ে দেওয়ালে দাড়িয়ে থাকে। দানবটি তার রক্ত দানব কৌশলের মাধ্যমে যখনই তার শরীরের ওপর গড়ে ওঠা সুজুমি ঢাক বাজায়, গোটা প্রাসাদ উল্টে যায়। ঠিক এইসময় ঘরের মধ্যে আচমকা এক শুয়োরের মাথাধারী মানুষ প্রবেশ করে যার হাতে কুচি কুচি করে ফলক কাটা নিচিরিন তলোয়ার দেখা যায়। | |||||
১২ | "শুয়োরের অনাবৃত্ত দাঁত আর জেনিতসুর ঘুম" Transcription: "ইনোশিশি ওয়া কিবা ও মুকি, জেনিতসু ওয়া নেমুরু" (জাপানি: 猪は牙を剥き、善逸は眠る) | সুসুমূ তাকেউচি | ২২ জুন ২০১৯ | January 18, 2020 | |
শুকর মাথাধারী ইনোশুকে হাশিবারা সুজুমি দানব, কিয়োগাইকে বেপরোয়াভাবে আক্রমণ করতে থাকে কিন্তু তার রক্ত কৌশলের কাছে পেরে ওঠেনা। যখন ঘর আবার উল্টে যায় সে তেরুমির উপর পা দিয়ে ফেলে এবং তানজিরো তাকে তেরুমির উপর থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। রেগে গিয়ে ইনোসুকে তানজিরোর উপর হামলা করতে যায় কিন্তু ঘর হঠাৎ আবার বিভক্ত হয়ে গেলে ইনোসুকে তাদের থেকে আলাদা হয়ে যায়। এদিকে জেনিতসু ভয় পেয়ে চিৎকার করার ফলে একটা দানব তাদের কাছে চলে আসে যাকে দেখে সে সঙ্গে সঙ্গে মূর্ছা যায়। ঘুমিয়ে থাকা সত্ত্বেও জেনিতসু উঠে দাড়ায় এবং বজ্রপাতের মতো সেই দানবটিকে মেরে ফেলে। তবে যখন সে ঘুম থেকে উঠে যায়, তার একাজ করার কোনো স্মৃতি থাকে না আর সে ভেবে বসে যে সোইচি আসলে দানবটাকে মেরেছে। তানজিরো আর তেরুকো এবার প্রাসাদের ভেতর কিয়োশিকে খুঁজে পায়, যাকে খুঁজতেই তারা প্রাসাদে প্রবেশ করেছিল। সে তার বোনকে আলিঙ্গন করে এবং তানজিরোকে বলে যে, তিন দানবের মধ্যে কে তাকে খাবে নিয়ে ঝগড়া হওয়ায়, সে কোনোরকমে ঘর বিভক্ত হয়ে বেঁচে ফিরেছে। তানজিরো তাদেরকে ঘর পরিবর্তন করতে করতে বাইরের পথের খোঁজ করে বাইরে বেরিয়ে যেতে বলে। তানজিরো একা কিয়োগাই -এর সাথে লড়াই করে তবে এবার কিয়োগাই ঘর নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হাওয়াতে থাবাও বসাতে থাকে যা যে কোনোকিছুকেই দুভাগ করে দিতে সক্ষম। তানজিরো উপলদ্ধি করে যে প্রত্যেকটা ঢাক, ঘরটাকে আলাদা আলাদভাবে নির্দিষ্ট দিকে উল্টে দিচ্ছে। এর ফলে সে তার পদক্ষেপ সামলে কিয়োগাই-এর কাছে যায় এবং প্রতিজ্ঞা করে যে সে কখনও হাল ছাড়বে না। | |||||
১৩ | "জীবনের থেকেও কিছু দরকারি" Transcription: "ইনোচি ইয়োরি দাজি-না মোনো" (জাপানি: 命より大事なもの) | ইউশুকে শিবাতা | ২৯ জুন ২০১৯ | January 25, 2020 | |
সমস্ত বাড়ি হঠাৎ তার স্থিতি পাল্টে নেওয়ায় জেনিতসু শোওচির সাথে জানালা দিয়ে বাইরে এসে পড়ে। যে ঘরে তানজিরো আবদ্ধ হয়ে কিয়োগাইকে মারার প্রচেষ্টা করছিল, সেখানে পাশের এক ছোট্ট কক্ষ থেকে কিছু পাতা উড়ে আসে যার উপর তানজিরো সতর্কতার সাথে পা দেয় না। এই দেখে কিয়োগাইয়ের মনে পড়ে কীভাবে, মানুষ জীবনকালে তার লেখা লোকে হেয় করত কিন্তু তানজিরো তার উপর পা পর্যন্ত দিল না। অবশেষে তানজিরো থাবার আঘাত থেকে বেঁচে দ্রুত হালকা নিশ্বাস নিয়ে পা এর ওপর ভর করে কিয়োগাইয়ের নিকটে আসে ও তার শিরশ্ছেদ করে। তবে তানজিরো তার রক্ত কৌশল ও লেখাকে মর্যাদা দেওয়ায় কিয়োগাইয়ের চোখে জল চলে আসে আর সে শান্তির সাথে মিলিয়ে যায়। তানজিরো প্রাসাদের বাইরে আসে ও দেখে যে ইনোশুকে জেনিতসুর উপর খারাপভাবে প্রহার করছে কারন সে কিছুতেই তাকে তানজিরোর বাক্সটা নিতে দিচ্ছে না। ইনোশুকে বুঝতে পেরেছিল যে বাক্সের মধ্যে দানব রয়েছে আর তাই সে সেই দানবকে হত্যা করতে চেয়েছিল। জেনিতসুও জানত যে ভেতরে কোনো দানব আছে কারন সে ভেতরে নেজুকোর হৃৎস্পন্দন শুনতে পাচ্ছিলো। কিন্তু সে তানজিরোকে বিশ্বাস করেছিল কারন তানজিরো জানিয়েছিল যে বাক্সে তার জীবনের চেয়েও দরকারি জিনিস আছে, আর তাই সে বাক্সটা পুরোদমে রক্ষা করেছিল। ইনোশুকে জেনিতসুকে তলোয়ার দিয়ে মারতে গেলেই তানজিরো চিৎকার করে তাকে থামতে বলে ও তার দিকে ছুটে যায়। | |||||
১৪ | "উইস্টেরিয়া পরিবারের বাড়ি" Transcription: "ফুজি নো হানা নো কামোন নো ই" (জাপানি: 藤の花の家紋の家) | হারুও সোতোজাকি শুজি মিয়াহারা | ৬ জুলাই ২০১৯ | February 1, 2020 | |
তানজিরো ইনোসুকেকে ঘুষি মেরে তার পাঁজর ভেঙ্গে দেয়, কিন্তু তাও ইনোসুকে উঠে দাড়ায় ও তানজিরোর সাথে হাতাহাতি লড়তে যায়। এবার তানজিরো নিজের মাথা দিয়ে আঘাত করে ইনোসুকেকে একদম অজ্ঞান করে দেয়। এই আঘাতের ফলে ইনোসুকের মুখোশ খুলে যায় আর তার মেয়েলি সুন্দর মুখ প্রকাশ্যে দৃশ্যমান হয়ে যায়। যখন ইনোসুকে আবার জ্ঞান ফিরে পায়, তখন সে দেখে যে তানজিরোরা দানবদের হাতে মারা যাওয়া মানুষদের কবর দিতে ব্যস্ত। ইনোসুকেও তাদের কবর দিতে সাহায্য করে এবং একাজ সমাপ্ত হওয়ার পর কাসুগাই কাক তাদের তিনজনকে পাহাড়ের নিচে বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে উইস্টেরিয়া পরিবারের বাড়িতে নিয়ে আসে। এই বাড়ির পরিবার একদা দানবদের হাত থেকে দানব শিকারিদের জন্যে রক্ষা পেয়েছিল, তাই তারা বিনামূল্যেই দানব শিকারিদের সেবা যত্ন করে। ডাক্তার এসে তাদের দেখার পর জেনিতসু তানজিরোকে জিজ্ঞাসা করে যে সে কেন একটা দানব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঠিক এইসময়ে নেজুকো বাক্স থেকে বেরিয়ে আসে আর তার সৌন্দর্য্য দেখে জেনিতসু চমকে যায়। জেনিতসু ভাবে যে তানজিরো দানব-শিকারী বাহিনীতে যোগদান করেছে পেছনে একটা সুন্দর দানবী নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। সে তানজিরোর পিছু ধাওয়া করে আর গজরাতে থেকে যে তানজিরোর শুদ্ধ হওয়া উচিত। ইনোশুকে বলে যে এসমস্ত কিছু অনেক গভীর ভাবার বিষয় আর তাই সে ঘুমিয়ে পড়ে। | |||||
১৫ | "নাতাগুমো পাহাড়" Transcription: "নাতাগুমো-জান" (জাপানি: 那多蜘蛛山) | ইউকি ইতো শিনসুকে গোমি | ১৩ জুলাই ২০১৯ | February 8, 2020 | |
তানজিরোরা বিশ্রাম নিয়ে শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠলে কাসুগাই কাক তাদের নাতাগুমো পাহাড়ের দিকে রওনা দিতে বলে। পাহাড়ে তারা একজন আহত দানব-শিকারীকে খুঁজে পায় যে জালে আটকে গাছের উপর ঝুলছিল। সেখানেই তাদের আরেকজন দানব-শিকারী, মুরাতার সাথে দেখা হয় ও সে তাদের বলে যে, তাকে নিয়ে দশজন উচ্চপদস্থ দানব-শিকারীদের এখানে পাহাড়ের দানবদের মারতে এসেছিল কিন্তু মাঝপথে তারা নিজেদেরকেই মারতে শুরু করে। কাসুগাই কাক লক্ষ্য করে যে অনেকেই এই পাহাড়ে মারা গেছে, তাই পাহাড়ে থাকা দানব, দ্বাদশ কাজুমির সদস্য হতে পারে বলে সে অনুমান করে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে দুজন হাসিরাকে (সর্বাধিক শক্তিশালী তলোয়ারবীদ) পাহাড়ে পাঠানো হয় : তোমিওকা গিউ ও শিনোবু। পাহাড়ে, জালে আটকে থাকা শিকারীরা আচমকা তানজিরোদের মারতে শুরু করে। তবে তানজিরো ইনোশুকেকে পাল্টা হামলা করতে বারণ করে যেহেতু শিকারিগুলোর মধ্যে কয়েকজন বেঁচে ছিল। তানজিরো বুঝতে পারে যে তাদের হাত পা পুতুলের মতো সুতোর টানে সঞ্চালিত হচ্ছে আর তাই ইনোশুকে, সুতোর পেছনের ব্যক্তিকে খুঁজতে তার আধ্যাত্বিক সচেতনতার সাহায্য নেয়। | |||||
১৬ | "অন্য কাউকে প্রথমে যেতে দেওয়া" Transcription: "জিবুন দেওয়া নাই দারেকা ও মায় ই" (জাপানি: 自分ではない誰かを前へ) | কেন তাকাহাশি | ২০ জুলাই ২০১৯ | February 15, 2020 | |
মুরাতা একা সঞ্চালিত শিকারিদের সামলে তানজিরোদের দানবের খোঁজে যেতে বলে। পথে তারা একজন মেয়ে শিকারীকে দেখতে পায় যে তাদের থেকে সাহায্যের অনুরোধ করে। এদিকে পাহাড়ের মূল দানব রুই, তার মাকে বাকি দানব শিকারীদের তাড়াতাড়ি শেষ করে দিতে বলে, নয়তো সে বাবাকে মা এর ব্যাপারে জানিয়ে দেবে। মা তা শুনে বেশ ভয় পেয়ে যায় আর হিংস্রভাবে সুতো সঞ্চালন করে যার ফলে শিকারীদের হাড় ভেঙ্গে যায়। তানজিরো শিকারীদের গাছের ডালে এমন ভাবে ঝুলিয়ে দেয় যাতে তারা নড়তে না পারে। কিন্তু রেগে গিয়ে মা দানবী তাদের সবার ঘাড় মটকে দেয় সুতোর টানে। কিছু করতে না পারায় তানজিরোরা দ্রুত বেগে মা দানবীর খোজে ছুটে যায় কিন্তু তাদের পথে আবার এক ধরহীন দানব তাদের সামনে চলে আসে। দুজনে মিলে দানবটিকে দ্বিখণ্ডিত করে দেয় ও এর ফলে শেষমেশ দানবটির মৃত্যু হয়। ইনোশুকে তানজিরোকে আকাশে ছুঁড়ে দেয় এবং তানজিরো উপর থেকে মা দানবীর অবস্থান চিহ্নিত করতে পারে। মা দানবী, মৃত্যুর পর এই দানব পরিবারের থেকে শান্তি পাবে ভেবে তানজিরোর কাছে আত্মসমর্পণ করে। ফলে তানজিরো তাকে শান্তিপূর্নভাবে কোনোরকম যন্ত্রণা দেওয়া ছাড়াই শিরশ্ছেদ করে। মরার সময় দানবী তাকে সতর্ক করে দিয়ে যায় যে পাহাড়ে দ্বাদশ কাজুমির একজন রয়েছে। | |||||
১৭ | "শুধুমাত্র একটা জিনিসে দক্ষতা অর্জন" Transcription: "হিতোতসু নো কোতো কিওয়ামে কে" (জাপানি: 一つのこと極めけ) | শুজি মিয়াহারা তাকুয়া নোনাকা | ২৭ জুলাই ২০১৯ | February 22, 2020 | |
জেনিতসু অনেক্ষনেই বাকি দুজনের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল। জঙ্গলের মধ্যে একা ঘুরতে ঘুরতে মাকড়শা পরিবারের বড় ছেলের সাথে তার দেখা হয় যে তার বিষ দিয়ে মানুষদের মাকড়সা বানিয়ে দিতে পারে। জেনিতসুকে তার এক মাকড়সা কামড়ে দেয় ও আধঘণ্টার মধ্যে জেনিতসু তার মানুষরূপ হারাতে বসে। জেনিতসু ভয়ে একটা গাছে লুকিয়ে পড়ে আর স্মরণ করে তার অতীতের দিনগুলো। ঋণ শোধ করার জন্যে জেনিতসু, জিগোরো কুয়াজিমার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিল।একবার জেনিতসু প্রশিক্ষণের ভয়ে যে গাছের তলায় লুকিয়েছিল, সেই গাছেই বাজ পড়ে। তারপর সে সবসময় নিজেকে আশাহীন মানুষ হিসেবে কল্পনা করেছিল, সে চেয়েছিল নিজের কাপুরুষতার অবসান ঘটুক। জেনিতসু উপলদ্ধি করে যে তার চুল পড়া শুরু হয়ে গেছে এবং মূর্ছা যায়। ঘুমের মধ্যেই জেনিতসু আবার উঠে পড়ে ও বড়ো ছেলের উপর হামলা শুরু করে। সে বজ্রপাত সমস্ত কৌশলের শুধুমাত্র একটা কৌশলই শিখেছিল কিন্তু সেটা সে নিখুঁতভাবে রপ্ত করেছিল।বিদ্যুতের গতিতে জেনিতসু আক্রমণ করে বড়ো ছেলের মাথা দেহ থেকে উড়িয়ে দেয় কিন্তু পরক্ষনেই তার মুখ থেকে রক্ত পড়তে থাকে। জেনিতসু জেগে ওঠে কিন্তু ততখনে তার শরীরের মধ্যে বিষ প্রবল প্রভাব দেখাতে শুরু করে দিয়েছে, ফলে সে হাত পা নড়াতেও অসমর্থ হয়ে পড়ে। তানজিরো, জেনিতসুর আক্রমণ কানে শুনতে পায় এবং আওয়াজ লক্ষ্য করে এগিয়ে যায় কিন্তু তাদের পথে মাকড়সা পরিবারের মেয়ে সামনে চলে আসে। ইনোশুকে তার পেছন করলে সে বাবাকে ডাকে ও বৃহদাকার দানব বাবা আবির্ভূত হয়। | |||||
১৮ | "নকল বন্ধন" Transcription: "নিসেমোনো নো কিজুনা" (জাপানি: 偽物の絆) | আকিহিকো উদা | ৩ আগস্ট ২০১৯ | February 29, 2020 | |
নাতাগুমো পাহাড়ে গিউ ও শিনোবু এসে পৌঁছায় আর দুজনে দুদিকে বেঁকে যায়। এদিকে তানজিরো আর ইনোশুকে দানব বাবার শরীর তলোয়ার দিয়ে কাটা তো দূর, সামান্য আঁচও লাগাতে পারে না। তানজিরো একটা গাছ কেটে তার ওপর ফেলার চেষ্টা করে কিন্তু উল্টে সেই গাছটা দিয়েই দানব তাকে আকাশে ছুঁড়ে দেয়। জেনিতসু তার শরীরের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ যখন প্রায় হারাতে বসে, তখন শিনোবু পরীর মতো এসে পড়ে তার কাছে। তানজিরো মাটিতে নেমে মাকড়সা পরিবারের মেয়ের চিৎকার শুনতে পায় ও সেটা অনুসরণ করে এগিয়ে চলে। তানজিরো দেখে যে রুই তার বোনের উপর অত্যাচার করছে এবং তাকে বাঁধা দিলে রুই বলে যে এটা তার পরিবারের ব্যাপার। এবার তানজিরো রুই-এর সঙ্গে লড়াই শুরু করে। তবে রুই এর সুতোকে সে যথাসম্ভব এড়ানোর চেষ্টা করলেও তার ছোটখাটো জায়গায় কেটে যায়।এদিকে ইনোশুকে খুব চেষ্টা করে কোনোমতে দানব বাবার হাত কাটতে পারে কিন্তু কিছুপরেই সে আরো কদাকার ও বৃহৎ হয়ে যায়; তাকে হামলা করতে গেলে তলোয়ারই ভেঙ্গে যায়। দানব বাবা ইনোশুকের মাথা গুড়িয়ে দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিউ প্রবেশ করে ও দানবকে নিমেষের মধ্যে টুকরো টুকরো করে শেষ করে দেয়, যা ইনোশুকে দেখে বিশাল চমকে যায়। এদিকে রুই এর নিকটে আসতে তানজিরো তলোয়ার দিয়ে সুতো ছেদ করতে গেলে উল্টে সুতোই তার তলোয়ার ছেদ করে দেয়। | |||||
১৯ | "হিনোকামি" Transcription: "হিনোকামি" (জাপানি: ヒノカミ) | তোশীইউকি শিরাই | ১০ আগস্ট ২০১৯ | March 7, 2020 | |
ইনোশুকে গিউ-এর ক্ষমতা দেখে অবাক হয়ে যায়, কিন্তু গীউ তাকে বলে যে এই দানব দ্বাদশ কিজুমির সদস্যই নয়। এদিকে শিনোবু জেনিতসুর উপর প্রতিষেধক ব্যবহার করে বিষের প্রভাব রোধ করে। রুই তানজিরোকে সুতোর জালে আবদ্ধ করে মারার চেষ্টা করলে নেজুকো জালের সামনে এসে এই আক্রমণ প্রতিহত করে কিন্তু নিজে আহত হয়। রুই অবাক হয়ে যায় দানব হওয়া সত্ত্বেও নিজের দাদাকে বাঁচানোর জন্যে নেজুকোর এগিয়ে আসা দেখে। সে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে যে তার নেজুকোর মতো বোন চাই এবং তাই সে তাকে তানজিরোর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। রুই প্রকাশ করে যে সে দ্বাদশ কাজুমির সদস্য আর তাই নেজুকোকে নিজের কাছে ফিরিয়ে নেওয়া তানজিরোর জন্যে অসম্ভবের কাছাকাছি। নেজুকো রুই এর মুখে আঁচড় কাটলে রুই রেগে গিয়ে তাকে ধারালো সুতোয় জড়িয়ে ভাসমান অবস্থায় রেখে দেয়। তানজিরো জল কৌশলের অন্তিম কৌশল অবলম্বন করে রুই এর সুতো ছেদ করতে সক্ষম হয় ও তার দিকে ধেয়ে আসে। তবে রুই সুতোর শক্তি আরো বাড়িয়ে সেটা লাল করে দেয় এবং তানজিরোকে এই লাল সুতোর খাঁচায় জড়িয়ে দিতে যায়। তানজিরো এইসময় মনে করে যে কীভাবে তার বাবা শীতের রাত্রে সূর্য দেবের জন্যে অবিরাম কাগুরা নাচ নাচতো। তার বাবা যে কৌশলের সাহায্যে এই অসম্ভবকে সম্ভব করতো, তা তানজিরো এখন ব্যবহার করে। এতে তার তলোয়ারে আগুনে জ্বলে উঠলো ও সুতোর খাঁচা ছিঁড়ে রেখে দিল। তানজিরো রুই এর নিকটে এসে পড়তে পারলেও বুঝতে পারে যে তাকে মারা মানে, একই সময়ে সুতোর দ্বারা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়াও। কিন্তু নেজুকোর মা নেজুকোর স্বপ্নে এসে তাকে জাগিয়ে তোলে ও নেজুকো তার রক্ত কৌশল ব্যবহার করে সুতোয় আগুন ধরিয়ে। এতে তানজিরো রুই এর সুতো থেকে বেঁচে যায় এবং তার মাথা আলাদা করতেও সফল হয়। মারার আগে তানজিরো প্রতিশ্রুতি নেয় যে তার আর নেজুকোর বন্ধন কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। | |||||
২০ | "ভণিতার পরিবার" Transcription: "ইয়োসে আতসুমে নো কাজোকু" (জাপানি: 寄せ集めの家族) | তাকাশি সুহারা | ১৭ আগস্ট ২০১৯ | March 14, 2020 | |
তানজিরো আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় ও হাত পা নাড়াতে অসমর্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু তাও দেখা যায় যে রুই মরেনি, সে তার গলা নিজে থেকেই কেটে নিয়েছিল সুতো দিয়ে। এবার রুই, তানজিরোকে টুকরো টুকরো করে কেটে দিতে গেলে গীউ সেখানে এসে উপস্থিত হয়। রুই সুতোর চাদর ছুঁড়ে দেয় গিউ এর দিকে কিন্তু গিউ জল কৌশলের একাদশতম কৌশল (নিজসৃষ্ট কৌশল) ব্যবহার করে সেই আক্রমণ রোধ করে ও অতি সহজেই রুই এর শিরশ্ছেদ করে। এদিকে মাকড়সা পরিবারের মেয়ে দানবী দৌড়তে দৌড়তে স্মরণ করে কীভাবে রুই তাকে এই দানব রূপ দিয়েছে ও অন্য সবাইকে একটা পরিবারের মতো থাকার ভান করতে নির্দেশ দিয়েছিল। পরিবারের মধ্যে কেউ কিছু ভুল কাজ করলে তাকে অত্যাচারিত হতে হত। সে শিনোবুর সামনে এসে পড়ে এবং শিনোবু জানতে যে সে কতজনকে এখনো পর্যন্ত মেরেছে। শাস্তি হিসেবে তার উপর একটু একটু করে অত্যাচার করার আবেদন জানালে সে তাতে অরাজি হয় ও শিনোবু তার ঘাড় কেটে দেয়। শিনোবুর তরোয়াল খালি মাথার দিকেই ধারালো কারন সে দানবদের শিরশ্ছেদ করতে পারে না।কিন্তু মেয়ে দানবী তরোয়ালে লেগে থাকা উইস্টেরিয়া বিষের কারণে মরে যায়, যেটা শিনোবু নিজের হাতে আবিষ্কার করেছে। এদিকে রুই মরতে মরতে ভাবে যে সে তার মানুষ সময়কালের পরিবারের কথা কোনোদিন মনে করতে পারতো না আর তাই সে দানব হয়ে এক ভণিতার পরিবার বানিয়েছিল, সে স্মৃতি ফিরিয়ে আনার জন্যে। সে চেয়েছিল তানজিরো আর নেজুকোর মতো তারও এমন এক বন্ধন থাকুক। | |||||
২১ | "নিয়ম ভঙ্গ" Transcription: "তাইরিতসু ইহান" (জাপানি: 隊律違反) | তাকুয়া নোনাকা | ২৪ আগস্ট ২০১৯ | March 21, 2020 | |
রুই তার মানুষ জীবনের কথা মনে করে। সে জন্মগ্রহন করেছিল বেশ দূর্বল শরীর নিয়ে আর তাই একদিন মুজান তাকে দানব বানিয়ে শক্তি প্রদান করে। পরবর্তীকালে সে তার বাবা মা কেই মেরে দেয় কিন্তু তার মা তাকে দূর্বল শরীর নিয়ে জন্ম দেওয়ার জন্যে শেষবারের মতো ক্ষমা চেয়েছিল। রুই ভেবেছিল এই পরিবার খাঁটি নয় কিন্তু আসল সত্যটাকে সে কখনই গুরুত্ব দেয় না।রুই কখনো তার মাকড়সা পরিবারের সাথে সন্তুষ্ট ছিল না। মৃত্যুর সময় সে বুঝতে পারে যে তার আসল পরিবারটাই সবচাইতে খাঁটি ছিল এবং অবশেষে তার আত্মা পরিবারের মর্যাদা বুঝতে পারে। এদিকে গিউ দুই বছর আগেকার তানজিরোকে চিনতে পারে। কিন্তু পরক্ষনেই নেজুকোকে খারাপ দানবী ভেবে শিনোবু তার ওপর হামলা করে। গিউ শিনোবুকে সামলে নেয় ও তাদের পালাতে বলে। তবুও অন্তিম নির্বাচনে উত্তীর্ণ আরেকজন দানব শিকারী ও শিনোবুর সাথি কানাও সুইউরি নেজুকোকে মারতে চলে আসে। শিনোবু গিউকে জানায় যে সে বাহিনীর নিয়ম ভঙ্গ করছে নেজুকোকে পালানোর পথ করে দিয়ে। তবে কাসুগাই কাক বার্তা পাঠায় যে তানজিরো আর নেজুকোকে সদর দফতরে জীবিত অবস্থায় হেফাজতে আনতে হবে। বাকি আহত শিকারীদের প্রজাপতি প্রাসাদে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্যে এবং তানজিরোকে বাঁধা অবস্থায় প্রধান তলোয়ারবীদ বা হাসিরাদের সামনে উপস্থিত করানো হয়। | |||||
২২ | "প্রাসাদের কর্তা" Transcription: "ওয়াকাতা-সামা" (জাপানি: お館様) | ইউকি ইতো | ৩১ আগস্ট ২০১৯ | March 28, 2020 | |
তানজিরোকে মোট নয়জন সবচাইতে দক্ষশীল দানব শিকারীদের সামনে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো যে সে তার নিজের দানবী বোনকে সঙ্গে করে নিয়ে অভিযানে গেছে। তবে তানজিরোর রায় ছিল যে নেজুকো মানুষদের রক্ষা করে, হত্যা করে না। কিন্তু বায়ু স্তম্ভ সানেমি শিনাজুগাওয়া তার বোনকে আঘাত করলে তানজিরো ক্ষিপ্রভাবে উল্টে সানেমিকে মাথা দিয়ে আঘাত করে। এইবার সেখানে দানব-শিকারীদের কর্তা এসে উপস্থিত হয় এবং তানজিরোর বর্তমান পরিস্থিতিকে সমর্থন করে নেজুকোকে নিয়ে অভিযানে যাওয়ায় সম্মতি দেয়। উরোকোদাকির প্রেরিত একটি চিঠি পড়ে জানা যায় যে যদি নেজুকো কোনোদিন কোনো মানুষের উপর হামলা করে, তবে উরোকোদাকি, তানজিরো আর গিউ সেপ্পুকু (রীতি অনুযায়ী আত্মহত্যা) গ্রহণ করবে। সানেমি এবং রেনগুকো কিন্তু এর বিরুদ্ধাচরণ করে। তবে কর্তা তাও স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, এরকমটা এখনো নিশ্চিত নয় যে নেজুকো কোনো মানুষকে হত্যা করবেই। তিনি এও বলেন যে তানজিরোর সাথে ইতিমধ্যেই মুজানের দেখা হয়েছে। কিবুতসুজির ব্যাপারে জানতে আগ্রহী হলে কর্তা বলেন যে তানজিরোকে মারতে এমনকি দানবদেরও পাঠানো হয়েছিল। তাই তিনি তানজিরোকে শুধু শুধু ছেড়ে দিতে চান না। কিন্তু তবুও সানেমি, নেজুকো যে ক্ষতিকারক, তা প্রমাণ করতে নিজের হাত কেটে নেজুকোকে প্রলুদ্ধ করার চেষ্টা করে। নেজুকো শুধুমাত্র তার লালসা সংযম রাখার চেষ্টা করতে থাকে। | |||||
২৩ | "হাসিরা বৈঠক" Transcription: "চুগো কায়গী" (জাপানি: 柱合会議) | কেন তাকাহাসি | ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | April 4, 2020 | |
তানজিরো তার হাতের দড়ি ছিঁড়ে এগিয়ে এসে নেজুকোকে সাবধান করে দেয় এবং নেজুকো নিজের পরিবারের কথা মনে করে নিজেকে সংযম রাখতে সফল হয়। এতদ্বারা প্রমাণিত হয় যে নেজুকো স্বেচ্ছায় কোনো মানুষের উপর আক্রমণ করতে পারে না। তাই কর্তা তানজিরোকে তার বোনের সাথে দ্বাদশ কাজুমির কোনো একজন সদস্যকে মেরে এই প্রমাণ আরো যথাযথ করার পরামর্শ দেয়। এরপর তানজিরো আর নেজুকোকে কোচো প্রাসাদে নিয়ে আসা হয় বিশ্রাম ও চিকিৎসার জন্যে। সেখানে এসে কানাও -এর সাথে তাদের আবার দেখা হয়, তবে সে কোনো কথাই বলে না; তার মুখে শুধু হাসির ঝলক দেখা যায়। প্রাসাদের ভেতরে জেনিতসু ওষুধ খেতে তেতো হওয়ায় বেশ ঝামেলা করে। পাশে ইনোশুকেকেও দেখতে পাওয়া যায়, তবে তার গলার স্বর ভেঙ্গে গেছে পাহাড়ে লড়াই এর সময়। নেজুকোকে তার নিজস্ব ঘর দেওয়া হয়েছে থাকার, কিন্তু সে তার বাক্স থেকে বেশি বেরোয় না। অপর দিকে হাসিরাদের এক বৈঠক বসে, যেখানে উল্লেখ করা হয়, বাহিনীতে নতুন সদস্যদের অবিলম্বে নিয়োগ করা দরকার। এখনকার সময়কালে অধিক শিকারী নিয়োগ করাটা অত্যন্ত মুশকিল ব্যাপার হিসেবে বিবেচিত করা হয় যেহেতু ভারীমাত্রায় লোকে দানবদের ওপর অবিশ্বাস করে। তবুও আবেগের বশে প্রভাবিত মানুষদের নিয়োগ করতে কোনো অসুবিধা নেই। রুই এর কঠোর আক্রমণ প্রমাণ করে দিয়েছে যে মুজান আর লুকিয়ে নেই, সে এমন একটা বিবর্তন সৃষ্টির ছক কাটছে যা সহজে অগ্রাহ্য করা যাবে না। অতএব, সবার প্রস্থানের পর কর্তা শপথ গ্রহণ করে যে তারা মুজানকে পরাজিত করবেই করবে। | |||||
২৪ | "পুনর্বাসনে প্রশিক্ষণ" Transcription: "কিনো কায়ফুকু কুনরেন" (জাপানি: 機能回復訓練) | শুজি মিয়াহারা আকিহিকো উদা | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯[খ] | April 18, 2020 | |
এক উপরিতলের দ্বাদশ কাজুমির খবর পেয়ে রেঙ্গুকো শিকারে বেরিয়ে পড়ে। এদিকে প্রাসাদে তানজিরোদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। জেনিতসু প্রথম প্রথম না এলেও, দুই সপ্তাহ পর থেকে আসে। তাদেরকে বিভিন্ন অনুশীলন করতে হতো, এমনকি ট্যাগ খেলাও তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আওই এর সাথে এই খেলায় জিততে পারলেও, কানাওকে হারানো খুব কঠিন ছিল। এমনকি ইনোশুকে আর জেনিতসু তার সাথে জেতার কোনো আশা না দেখে, এই খেলাটা খেলাই বন্ধ করে দেয়।কোচো ত্রয়ীর সঙ্গে তানজিরোর এই বিষয়ে কথা হলে তারা বলে, এর পেছনে অবিরত স্বাসক্রিয়ার ভূমিকা রয়েছে। প্রত্যেক হাশিরা আর কানাও এতে দক্ষ হয়ে গেছে। কানাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বড়ো বড়ো জিনিস ফু দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। তানজিরো এই স্বাসক্রিয়ায় দক্ষ হওয়ার জন্যে অনুশীলন করতে থাকে এবং কিছু সপ্তাহ পরে সে উপলদ্ধি করে যে তার শক্তির উন্নতি লাভ ঘটেছে।এক রাত্রে, শিনোবুর সাথে প্রাসাদের ছাদে তানজিরোর কথা হয়। শিনোবু তার দিদির স্বপ্ন তানজিরোর হাতে ন্যাস্ত করতে ইচ্ছুক, কেননা নেজুকো এবং তানজিরোর ভালবাসা দেখে দানবদের প্রতি সহানভূতিশীল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার দিদির ইচ্ছা ছিল যাতে একদিন মানুষ ও দানব, সবাই একসাথে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। তবুও এক দানবই তার দিদিকে হত্যা করে দেয়। তার দিদি সর্বদা চেয়েছিল, শিনোবু তার হাসিটা চিরকালই রেখে দিক তার মুখে এবং শিনোবুর দিদির কাছে এই হাসির মূল্য সেদিনই বেড়ে যাবে, যেদিন মানুষ আর দানব একসাথে থাকতে পারবে। | |||||
২৫ | "সুগুকো, কানাও সুয়ুরি" Transcription: "সুগুকো সুয়ুরি কানাও" (জাপানি: 継ぐ子 栗花落カナヲ) | শিনিয়া শিমোমুরা | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | April 25, 2020 | |
তানজিরো কোচো ত্রয়ীদের সাথে নিজ প্রশিক্ষণে সুফল লাভ করে এবং সহনশক্তির বিষয়ে অনেককিছু উপলদ্ধি করতে পারে। ইনোশুকে ও জেনিতসুও ধীরে ধীরে তানজিরোর মতো অনুশীলন করা শুরু করে এবং তাদের সবাইকে দেখে কানাও ছোটবেলার কথা মনে করে। কানাও খুব গরীব ঘরে জন্মগ্রহন করেছিল। এমনরকম দারিদ্রের সংসার ছিল তাদের যে শেষমেষ কানাওকে তার বাবা দাস হিসেবে বিক্রি করতে আসে। শিনোবুর দিদি কানায়, তাকে দেখে করুণাবোধ করলে সে তার বাবার কাছ থেকে তাকে কেড়ে নিয়ে পালায়। কানাও ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্যে এতটা ভেঙ্গে ছিল, যে তার কিছু করার বাসনাই ছিল না। কানায় তখন তাকে একটা পয়সা দেয় এবং বলে যে এটা তাকে কোনো কিছু নির্বাচনে সাহায্য করবে। তবে কানায় এও বলে দেয় যে সুযোগ এলে মানুষের আত্মা আপনা থেকেই হৃদয়ের বন্ধ দরজা খুলে নেবে।এদিকে তানজিরোদের নতুন তলোয়ার দিতে হাগেনেজুকা এবং কানামোরি আসে, যদিও পূর্ববর্তি তলোয়ার ভাঙ্গায় তারা বেশ উত্তপ্ত ছিল। এমতাবস্থায় ইনোশুকে আবার তার আগের তলোয়ারের মতো এবারেরটারও ফলক কুচি কুচি করে কাটতে গেলে কানামোরি ভীষন রকম রেগে যায়। তানজিরো তার অনুশীলন সম্পন্ন করে আরো নিখুঁত তলোয়ারবিদ হয়ে ওঠে ও তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ইনোশুকে আর জেনিতসুও কঠিন পরিশ্রম করতে থাকে। তানজিরো শিনোবুর থেকে হিনোকামি নাচ বা অগ্নি কৌশলের বিষয়ে জানতে চায়। কিন্তু শিনোবু বলে যে সে এই বিষয়ে কিছু জানে না। রেঙ্গুকো হয়তো এবিষয়ে কিছু জানতে পারে কারন সে অগ্নিশিখা কৌশলে পারদর্শী। তবে অগ্নিশিখা আর অগ্নি কৌশল দুটি সম্পূর্ণ আলাদা।এদিকে এক বাষ্পচালিত ট্রেনের ভিতর এক দানবের আবির্ভাব হয় যে যাত্রীদের নিজের শিকারে পরিণত করে। | |||||
২৬ | "নতুন অভিযান" Transcription: "আরাতানারু নিম্মু" (জাপানি: 新たなる任務) | হারুও সোতোজাকি ইউচি তেরাও | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | May 2, 2020 | |
এক মাস আগে, কিবুতসুজি দ্বাদশ কাজুমির নিম্নতলের পাঁচ দানবদের ডাকে এবং রুই এর মৃত্যুর খবর জানায়। কিবুতসুজি মহিলার ছদ্মবেশে আসে যাতে কেউ তাকে হঠাৎ চিনতে না পারে আর বিওয়া হাতে এক দানবীকে গোটা আয়তন নিয়ন্ত্রিত করতে দেখা যায়। কিবুতসুজি ঘোষণা করে যে সে নিম্নতলের সবাইকে দূর্বল ও অদক্ষ হওয়ার জন্যে বরখাস্ত করে দেবে এবং সেই মুহূর্তেই একজনকে রেখে বাকি সব দানবদের কিবুতসুজি মেরে ফেলে। কিবুতসুজি যখন ১ম নিম্ন দানবকে শেষ কথা বলতে দেওয়ার সুযোগ দেয়, সে জানায় যে তার হাতে মরার মতো সম্মান পেয়ে সে তার জীবন সার্থক মনে করেছে। উত্তর শুনে কিবুতসুজি খুশি হয়ে তার মধ্যে নিজের রক্ত অনুপ্রবিষ্ট করে দেয় এবং জানায় যে তানজিরোকে মারতে পারলে সে আরো রক্ত পাবে। এদিকে বর্তমান সময়ে, কাসুগাই কাক তানজিরোদের মূগেন (অসীম) ট্রেনের তদন্তে বেরিয়ে পড়তে নির্দেশ দেয়। বেরোনোর আগে তানজিরো আওইকে ধন্যবাদ জানায়, এতদিন তাদের খেয়াল রাখার জন্যে। তানজিরো এরপর কানাওকে ধন্যবাদ জানাতে আসে এবং সর্বদা নিজের মনের কথা শুনে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেয়। কিছক্ষণ বাদে, গিউকে এত উপকার করার পর কীভাবে ধন্যবাদ জানাবে, তা তানজিরো ঠিক ভেবে উঠতে পারে না। তবে গিউ বলে যে ভালো কাজের মাধ্যমে সে যেন তাকে ধন্যবাদ জানায় এবং তানজিরো এ কথার নিশ্চিতরূপে প্রতিশ্রুতি দেয়। এইবার তাদের দল স্টেশনে আসে মুগেন ট্রেনের উদ্দেশ্যে। ইনোশুকে ও তানজিরো জীবনে ট্রেন না দেখায়, সেটাকে মায়াবী প্রাণীরূপে অনুমান করে। জেনিতসু তাদের গ্রামের চাষা হিসেবে অভিহিত করে এবং বেশি গোলমাল বাঁধতে নিষেধ করে কারন সরকারি পুলিশেরা দানব ও দানব-শিকারী কাউকেই মানে না। তবুও সবাই পুলিশের তাড়া খেয়ে সবাই চলন্ত ট্রেনে উঠে পড়ে, কিন্তু সবার অজান্তেই ট্রেনের ভিতরে রেঙ্গুকো আর দ্বাদশ কাজুমির ১ম নিম্ন দানব তাদের পরবর্তী পর্বে স্বাগত জানানোর জন্যে উপস্থিত থাকে । |
চরিত্র
সম্পাদনা- তানজিরো কামাদো ( 竈門 炭治郎)
- নেজুকো কামাদো ( 竈門 禰豆子)
- জেনিতসু আগাতসুমা ( 我妻 善逸)
- ইনোশুকে হাশিবিরা ( 嘴平 伊之助)
- গেনিয়া শিনাজুগাওয়া ( 不死川 玄弥)
- কানাও সুয়ুরি ( 栗花落 カナヲ)
- গিউ তোমিওকা ( 冨岡 義勇)
- শিনোবু কোচো ( 胡蝶 しのぶ)
- কিয়োজুরো রেঙ্গুকো ( 煉獄 杏寿郎)
- তেনগেন উজুই ( 宇髄 天元)
- মিতসুরি কানরোজি ( 甘露寺 蜜璃)
- মুইচিরো তোকিতো ( 時透 無一郎)
- গিয়োমেই হিমেজিমা ( 悲鳴嶼 行冥)
- ওবানাই ইগুরো ( 伊黒 小芭内)
- সানেমি শিনাজুগাওয়া ( 不死川 実弥)
- আওই কানজাকি ( 神崎 アオイ)
- গোতো ( 後藤)
- সুমি নাকাহারা (中原 すみ), নাহো তাকাদা ( 高田 なほ) এবং কিয়ো টেরুচি ( 寺内 きよ)
- কানায় কোচো ( 胡蝶 カナエ)
- মুজান কিবুতসুজি ( 鬼舞辻 無惨)
হোম মিডিয়া
সম্পাদনাসিরিজটি ২০১৯ সালের ৩১শে জুলাই, অ্যানিপ্লেক্স কর্তৃক ১১টি ব্লু-রে এবং ডিভিডি আকারে জাপানে মুক্তি পায়,[২২] আর অবসিত হয় ২০২০ সালের ২৪ জুনে।[২৩] প্রত্যেক খন্ডেই সিরিজের চরিত্র পরিকল্পক, আকিরা মাতসুশিমা প্রচ্ছদ চিত্র অঙ্কন করেছেন এবং লিমিটেড-এডিশনে বিশেষ সিডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা মূলত অরিজিনাল ড্রামা বা সাউন্ডট্র্যাক নিয়ে পূর্ন। উত্তর আমেরকায় অ্যানিপ্লেক্স অফ আমেরিকা প্রথম লিমিটেড-এডিশন এর ব্লু-রে খন্ডটি ২০২০ সালের ৩০শে জুন এবং দ্বিতীয় খন্ডটি ২৪শে নভেম্বর, ২০২০ সালে প্রকাশিত করে। এই কোম্পানিই ফানিমেশনের সঙ্গে অংশীদারি গ্রহণ করে স্ট্যান্ডার্ড-এডিশন এর ব্লু-রে খন্ডগুলি ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২১ সালের জানু়ারিতে মুক্তি দেবে বলে ঘোষণা করে।[২৪]
খন্ড. | পর্ব | প্রচ্ছদ চিত্র | বোনাস বা বিশেষ ডিস্ক | মুক্তিকাল | Ref. | |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১-২ | তানজিরো | ড্রামা সিডি এবং সাউন্ডট্র্যাক | ৩১ জুলাই, ২০১৯ | [২২] | |
২ | ৩-৫ | গিউ | সাউন্ডট্র্যাক | ২৮ আগস্ট, ২০১৯ | [২৫] | |
৩ | ৬-৭ | নেজুকো | ড্রামা সিডি | ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | [২৬] | |
৪ | ৮-১০ | তানজিরো এবং কিবুতসুজি | সাউন্ডট্র্যাক | ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ | [২৭] | |
৫ | ১১-১২ | জেনিতসু | ড্রামা সিডি | ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ | [২৮] | |
৬ | ১৩-১৪ | ইনোশুকে | সাউন্ডট্র্যাক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ | [২৯] | |
৭ | ১৫-১৭ | তানজিরো, জেনিতসু এবং ইনোশুকে | ড্রামা সিডি | ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ | [৩০] | |
৮ | ১৮-১৯ | তানজিরো | সাউন্ডট্র্যাক | ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | [৩১] | |
৯ | ২০-২১ | নেজুকো | সাউন্ডট্র্যাক | ২৫ মার্চ, ২০২০ | [৩২] | |
১০ | ২২-২৪ | শিনোবু | ড্রামা সিডি | ২৭ মে, ২০২০ | [৩৩] | |
১১ | ২৫-২৬ | তানজিরো এবং নেজুকো | সাউন্ডট্র্যাক | ২৪ জুন, ২০২০ | [২৩] |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ressler, Karen (জুন ৩, ২০১৮)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Manga Gets TV Anime by ufotable"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ জুন ৩, ২০১৮।
- ↑ Pineda, Rafael Antonio (আগস্ট ৩, ২০১৮)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime Premieres in Spring"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩, ২০১৮।
- ↑ Hodgkins, Crystalyn (ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime Premieres on April 6"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯।
- ↑ Hodgkins, Crystalyn (নভেম্বর ২৪, ২০১৮)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime Reveals Staff, More Cast"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৪, ২০১৮।
- ↑ Pineda, Rafael Antonio (মার্চ ২৪, ২০১৯)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime's Video Previews LiSA's Opening Song"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৪, ২০১৯।
- ↑ Hodgkins, Crystalyn (এপ্রিল ১৩, ২০১৯)। "'FictionJunction feat. LiSA' Performs Ending Theme for Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৩, ২০১৯।
- ↑ Aniplex USA [@aniplexUSA] (ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯)। "Enter the realm of the demons as Demon Slayer premieres April 2019! Don't miss this melancholy tale of humans and demons from studio ufotable and based on the popular manga by Koyoharu Gotouge serialized in Weekly Shonen Jump magazine." (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২০, ২০১৯ – টুইটার-এর মাধ্যমে।
- ↑ Sherman, Jennifer (এপ্রিল ২, ২০১৯)। "Aniplex of America Licenses We Never Learn: BOKUBEN, Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩, ২০১৯।
- ↑ "Demon Slayer - In Cinemas April 2"। Madman Entertainment। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৯।
Be among the first in Australia to feast on a smorgasbord of Demon Slayer episodes, before it heads to AnimeLab for its weekly simulcast season.
- ↑ Luster, Joseph (এপ্রিল ১২, ২০১৯)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime to Run for Two Cours"। Crunchyroll। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৯, ২০১৯।
- ↑ Hodgkins, Crystalyn (ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime's New Videos Reveal Theatrical Debut Before TV Airing"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯।
- ↑ Sherman, Jennifer (মার্চ ৭, ২০১৯)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime's Theatrical Version Gets U.S. Premiere on March 31"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৭, ২০১৯।
- ↑ Madman Entertainment [@Madman] (মার্চ ২১, ২০১৯)। "Presented by @AnimeLab, feast your eyes on a special feature-length premiere of Demon Slayer. Devour an exclusive five-episode presentation, before it begins its weekly simulcast season. At select cinemas across Australia on April 2 for ONE NIGHT ONLY Demonslayer.com.au" (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২১, ২০১৯ – টুইটার-এর মাধ্যমে।
- ↑ Rafael Antonio Pineda (জুলাই ৪, ২০১৯)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime to Air With English Dub on Toonami"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৫, ২০১৯।
- ↑ ক খ Rafael Antonio Pineda (সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯)। "Toonami Premieres Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime on October 12"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯।
- ↑ Sherman, Jennifer (এপ্রিল ১০, ২০২০)। "Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime Film Opens on October 16"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ মে ৬, ২০২০।
- ↑ "Story" ストーリー। kimetsu.com। Aniplex। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৬, ২০১৯।
- ↑ "Story"। demonslayer-anime.com। Aniplex of America। এপ্রিল ৬, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৬, ২০১৯।
- ↑ "Kimetsu no Yaiba" 鬼滅の刃। Tokyo MX। এপ্রিল ৬, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৬, ২০১৯।
- ↑ "World Premiere of Demon Slayer Episode 8"। Madman Anime Festival। Madman Entertainment। সংগ্রহের তারিখ মে ২২, ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ AnimeLab [@AnimeLab] (সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯)। "The World Premiere of Demon Slayer Episode 24 has just started at #MadFest!! Don't miss out!!" (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ – টুইটার-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第1巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ ক খ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第11巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ Mateo, Alex (মে ৫, ২০২০)। "Aniplex USA to Release Demon Slayer: Kimetsu no Yaiba Anime on Blu-ray Disc"। Anime News Network। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第2巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第3巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第4巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第5巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第6巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第7巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第8巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第9巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
- ↑ "『鬼滅の刃』Blu-ray&DVD 第10巻"। kimetsu.com (Japanese ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২০, ২০২০।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি