স্যার ডেভিড ব্রুস্টার (১১ ডিসেম্বর ১৭৮১ - ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৮) ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক, লেখক এবং একাডেমিক প্রশাসক। বিজ্ঞানে তাকে প্রধানত ফিজিকাল অপটিক্সে তার পরীক্ষামূলক কাজের জন্য স্মরণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে মেরুকরণ অধ্যয়ন এবং ব্রুস্টারের কোণ আবিষ্কার। তিনি ফটোইলাস্টিসিটি আবিষ্কার করেন, এর ফলে অপটিকাল মিনারেলজির ক্ষেত্র তৈরি হয়। তাঁর এই কাজের জন্য উইলিয়াম হুইওয়েল তাকে "আধুনিক পরীক্ষামূলক অপটিক্সের জনক" এবং "অপটিক্সের জোহানস কেপলার" বলে অভিহিত করেন।

Sir David Brewster
জন্ম11 December 1781
মৃত্যু
Allerly House, Gattonside, Roxburghshire
জাতীয়তাScottish
নাগরিকত্বGreat Britain
মাতৃশিক্ষায়তনUniversity of Edinburgh
পরিচিতির কারণPhysical optics, Brewster's angle, photoelasticity, stereoscope, kaleidoscope
পুরস্কারCopley Medal (1815)
Rumford Medal (1818)
Keith Prize (1827–9, 1829–31)
Royal Medal (1830)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রPhysics, mathematics, astronomy
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনIsaac Newton, Étienne-Louis Malus
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেনJames David Forbes
টীকা

তিনি ছিলেন আলোকচিত্র শিল্পের একজন অগ্রদূত,[১]ব্রুস্টার একটি উন্নত স্টেরিওস্কোপ আবিষ্কার করেন, যাকে তিনি "ল্যান্টিকুলার স্টেরিওস্কোপ" বলে অভিহিত করেন এবং যা ছিল প্রথম বহনযোগ্য ত্রিমাত্রিক দেখার যন্ত্র। তিনি বাইনোকুলার ক্যামেরা, [২] দুই ধরনের পোলারিমিটার, পলিজোনাল লেন্স, লাইটহাউস ইলিউমিনেটর এবং কালাইডোস্কোপ আবিষ্কার করেন।

ব্রুস্টার একজন প্রেসবিটেরিয়ান ছিলেন এবং স্কটল্যান্ডের ফ্রি চার্চ বিঘ্ন শোভাযাত্রায় তার ভাইয়ের অবলম্বনকৃত পথে হেঁটেছিলেন। বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ হিসেবে ব্রুস্টার তার আদর্শ আইজ্যাক নিউটনের জীবন ও কাজের উপর মনোযোগ প্রদান করেন। ব্রুস্টার ১৮৩১ সালে নিউটনের একটি বিস্তারিত জীবনী প্রকাশ করেন এবং পরবর্তীতে প্রথম বৈজ্ঞানিক ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি নিউটনের নাখলাস এর অনেক গবেষণাপত্র পরীক্ষা করেন। ব্রুস্টার এছাড়াও জনপ্রিয় বিজ্ঞানের অসংখ্য পুস্তক রচনা করেন এবং তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সাইন্স এসোসিয়েশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৪৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি স্কটল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার আদর্শ হয়ে ওঠেন। তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়(১৮৩৭-৫৯) এবং পরে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে(১৮৫৯-৬৮) দায়িত্ব পালন করেন। ব্রুস্টার এছাড়াও ১৮ খণ্ডের এডিনবার্গ এনসাইক্লোপিডিয়া সম্পাদনা করেন। পদার্থবিজ্ঞানে তার অবদান অনস্বীকার্য এবং প্রশংসার দাবিদার।

জীবন সম্পাদনা

ডেভিড ব্রুস্টার রক্সবার্গশায়ারের জেডবার্গের ক্যাননগেটে জন্মগ্রহণ করেন। মার্গারেট কী (১৭৫৩-১৭৯০) এবং জেমস ব্রুস্টারের (১৭৩৫-১৮১৫) এর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তার পিতা ছিলেন জেডবার্গ গ্রামার স্কুলের রেক্টর এবং উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষক। ডেভিড ছিলেন তার পিতামাতার ছয় সন্তানের (দুই কন্যা ও চার পুত্র) মধ্যে তৃতীয়: জেমস (১৭৭৭-১৮৪৭), ক্রেইগের মন্ত্রী; ফেরিডেন; ডেভিড; জর্জ (১৭৮৪-১৮৫৫), ফিফের স্কুনির মন্ত্রী; এবং প্যাট্রিক (১৭৮৮-১৮৫৯), প্যাসলির অ্যাবে চার্চের মন্ত্রী।

পরিবার সম্পাদনা

ব্রুস্টার দুইবার বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রী জুলিয়েট ম্যাকফারসন (১৭৭৬-১৮৫০), জেমস ম্যাকফারসনের (১৭৩৬-১৭৯৬) কন্যা ছিলেন (জেমস ছিলেন ওসিয়ান কবিতার সম্ভাব্য অনুবাদক)। তারা জুলাই ১৮১০ সালে এডিনবার্গে বিয়ে করেন এবং তাদের চার পুত্র ও একটি কন্যা ছিল:

১.জেমস (১৮১২-বর্তমান)

২.চার্লস ম্যাকফারসন (১৮১৩-১৮২৮),তিনি ডুবে মারা যান।

৩.ডেভিড এডওয়ার্ড ব্রুস্টার (১৭ আগস্ট ১৮১৫ -বর্তমান) ভারতে কর্মরত একজন সামরিক কর্মকর্তা (লেফটেন্যান্ট কর্নেল)।

৪.হেনরি ক্রেইগি (১৮১৬-১৯০৫),একজন সামরিক কর্মকর্তা এবং ফটোগ্রাফার।

৫.মার্গারেট মারিয়া গর্ডন (১৮২৩-১৯০৭) তিনি ব্রুস্টার এর উপর একটি বই লিখেছেন।

ব্রুস্টার দ্বিতীয়বার নিসে স্কারবোরাফের থমাস পারনেলের দ্বিতীয় কন্যা জেন কিরক পারনেলকে (জন্ম.১৮২৭) বিয়ে করেন।

ব্রুস্টার ১৮৬৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে মেলরস এবেতে তার প্রথম স্ত্রী ও দ্বিতীয় পুত্রের পাশে সমাধিস্থ করা হয়। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে হেরিওট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ভবনের নাম রাখা হয়।

আরো দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. John Werge (1890). The Evolution of Photography. Piper and Carter
  2. Sir David Brewster. historiccamera.com