দ্বিতীয় ডেভিড মাইকেল ক্যাস্টেইন, সাধারণত ডেভিড ক্যাস্টেইন নামে পরিচিত একজন আমেরিয়ান উদ্যোক্তা ও মানবসেবক। তিনি জীবনের প্রথম দিকে অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে মার্কেটিং ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। [১][২]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

ডেভিড কাস্টেইন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার পামোনা ভ্যালি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম ডেবরা রোজ ও পিতার নাম ডেভিড ক্যাস্টেইন সিনিওর৷ অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন সময়ে তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য একটি গ্যাং -এ যুক্ত হন। ডেভিড একাধিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু তাঁর বাজে আচরণের জন্য সব স্কুল থেকেই তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে ভ্যালি ভিউ উচ্চ বিদ্যালয় যেখানে ছাত্রদের ব্যবহার কঠোরভাবে বিবেচনা করা হয়। যা হোক, ডেভিড স্কুল জীবন পাশ করে বের হয় আল্টা লোমা উচ্চ বিদ্যালয় হতে৷ ২০০৬ সালে তিনি সশস্ত্র ডাকাতির জন্য অভিযুক্ত হন।[৩] কিন্তু তিনি হোয়ার্ড ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করার জন্য সিদ্বান্ত নেন যদিও সে মুহূর্তে তিনি ৮ মাসের আইনি গৃহবন্দী অবস্থায় ছিলেন এবং এর আগে ২ বছর কারাদন্ডে ছিলেন। [৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

হোয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নকালে কাস্টেইন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতো৷ তিনি নজরে আসেন সে মুহূর্তে যখন তিনি সিন কম্বস, ড্রেক, লেব্রন জেমস এর মতো খ্যাতিমান তারকাদের নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করা শুরু করেন।[৫] ২০১২ সালে ফ্রান্সের ভোদকা ব্র‍্যান্ড গ্রে গুজ তাঁকে সোশাল মার্কেটিং এর পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করে। [৬][৭] তাঁর অপরাধ কর্মকাণ্ড ছেড়ে দেওয়ার সাত বছরের মাথায় তিনি ডেভিড ক্যাস্টেইম ফাউন্ডেশন নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে হোয়ার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বক্তৃতায় ও ফলিত যোগাযোগে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং সমাজবিজ্ঞান এ হালকা ধারণা নিয়ে ডেভিডের হোওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি জীবন সমাপ্ত হয়।[৮] তাঁর ইউনিভার্সিটির স্নাতকত্ব অনুষ্ঠানে তিনি সর্বপ্রথম বক্তৃতা দেন। স্নাতক প্রাপ্ত হবার পর তিনি ডেভিড ক্যাস্টেইন এন্ড এসোসিয়েটস নামে একটি মার্কেটিং ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ফার্মটি প্রতিষ্ঠার পরপরই বিভিন্ন কোম্পানি যেমন উবার, বার্কশায়ার হ্যাথোওয়ে, কোর্ট ফার্নিচার ইত্যাদি থেকে ক্লায়েন্ট আসা শুরু হয়।[৯] পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকত্ব লাভ করেন ও সবচেয়ে সৃজনশীল শিক্ষার্থী হওয়ার কারনে গোল্ডেন বুলডগ পুরস্কার তাঁকে দেওয়া হয়। [১০] এরপরে ডেভিড আবার তাঁর আগের ইউনিভার্সিটি হোওয়ার্ডে ফিরে আসেন সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভের উদ্দেশ্যে। চিকিৎসা সমাজবিজ্ঞান ও সামাজিক বৈষম্য বিষয়েও তিনি সেখানে পড়াশোনা করেন।[১১] এসবের পাশাপাশি, ক্যাস্টেইন গ্রিক ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সংস্থা কাপ্পা আলফা সাই এর একজন সদস্য।[১২]

চলচ্চিত্র সম্পাদনা

তাঁর জীবনকাহিনীর উপর ভিত্তি করে ফক্স ৫ ডিসি (২০১৩ সালে), ইংক পেপার সিজার্স (২০১৬ সালে) চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Bullock, David। "Young and Hungry"। Huffington Post। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. Brown, Tia। "When Cupid Calls"। Ebony Magazine। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০১৫ 
  3. Sholley, Diana। "From poverty to PhD, former Pomona gang member establishes philanthropic foundation"। Inland Valley Daily Bulletin। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫ 
  4. Edmonds, Chloe। "Howard Student's Journey From 'Menace' To Glory"। District Chronicles। ৪ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ 
  5. "Top 30 Under 30 Distinguished HBCU-Educated Scholars."। HBCU Buzz। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৬ 
  6. Kormanik, Beth। "Luxury Branding"। Biz Bash। ২ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১২ 
  7. "Grey Goose: The proof of social media"। Washington City Paper। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১২ 
  8. Umeh, Maureen। "David Castain Talks About His Foundation & The Importance of Education with FOX 5 DC"। Fox 5 DC। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  9. "David Castain and Associates Company Profile"। Data Fox। ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  10. "2014 Golden Bulldog Award Recipient for Most Creative"। Georgetown University। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০১৪ 
  11. Barnwell, Devin। "Prominent HU Alum Promotes His Foundation With A Sweet Treat"। The Hilltop। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৫ 
  12. "Theta Tau Lineage"। Theta Tau Chapter of Kappa Alpha Psi। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০১৪